০৬:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

৬২ সদস্যের প্রতিনিধি দল, এক-তৃতীয়াংশ নিরাপত্তাকর্মী:

প্রধান উপদেষ্টার সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ বলেছেন, জাতিসংঘের ৮০তম সাধারণ পরিষদে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের সদস্য সংখ্যা ৬২ জন। যা গত বছরের ৫৭ জনের চেয়ে সামান্য বেশি। তবে টিআইবির সাম্প্রতিক দাবির বিপরীতে তিনি স্পষ্ট করেন যে প্রতিনিধি দল শতাধিক নয়, বরং অনেক বেশি লক্ষ্যনির্ভর ও পরিশ্রমী।

তিনি জানান, গত বছরের পরিসংখ্যানে প্রধান উপদেষ্টার আমন্ত্রণে সফরসঙ্গী হিসেবে ছয়জন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ অন্তর্ভুক্ত ছিলেন, যা এবার নেই। এবারের প্রতিনিধি দলের প্রায় এক-তৃতীয়াংশই নিরাপত্তা কর্মী। তারা প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নিয়োজিত রয়েছেন। আওয়ামী লীগ সমর্থকদের কাছ থেকে ক্রমাগত হুমকির কারণে নিরাপত্তা জোরদার করা হলেও তা এখনো পর্যাপ্ত নয়। এজন্য অনেক নিরাপত্তা কর্মকর্তা প্রতিদিন ১৬ ঘণ্টার শিফটে দায়িত্ব পালন করছেন।

ফয়েজ আহম্মদ বলেন, গত পাঁচ দিনে প্রতিনিধি দলের সদস্যরা অন্তত এক ডজন উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে অংশ নিয়েছেন। এর মধ্যে ছয়জনেরও বেশি রাষ্ট্র বা সরকার প্রধানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনাও হয়েছে। এছাড়া কয়েকজন সদস্য আসন্ন ৩০ সেপ্টেম্বরের রোহিঙ্গা সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন।

তিনি উল্লেখ করেন, টিআইবির সাম্প্রতিক বিবৃতি দুর্ভাগ্যজনকভাবে ভুল তথ্যের ওপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে। একটি মর্যাদাপূর্ণ নাগরিক সমাজের সংগঠন হিসেবে টিআইবির উচিত ছিল তথ্য যাচাই করে বক্তব্য দেওয়া। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্টের ওপর নির্ভর করে বিবৃতি দেওয়াটা হতাশাজনক।

তার অভিযোগ, আওয়ামী লীগ ও তাদের মিত্ররা লাখ লাখ ডলার ব্যয় করছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থান সম্পর্কে ভ্রান্ত তথ্য ছড়াতে এবং আন্তর্জাতিক পরিসরে লবিং চালাতে। এ বিষয়ে অনেক সময় কিছু আন্তর্জাতিক মহল নীরব সমর্থনও দিচ্ছে।

ফয়েজ আহম্মদ জানান, এ বছরের প্রতিনিধি দলে তিনটি রাজনৈতিক দলের নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তাদের সহায়তায় কয়েকজন কর্মকর্তাকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে বিশ্বকে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে যে বাংলাদেশ শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক উত্তরণের জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।

ট্যাগ

শিক্ষা ভবনের সামনে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

৬২ সদস্যের প্রতিনিধি দল, এক-তৃতীয়াংশ নিরাপত্তাকর্মী:

প্রকাশিত হয়েছে: ০৯:২২:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

প্রধান উপদেষ্টার সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ বলেছেন, জাতিসংঘের ৮০তম সাধারণ পরিষদে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের সদস্য সংখ্যা ৬২ জন। যা গত বছরের ৫৭ জনের চেয়ে সামান্য বেশি। তবে টিআইবির সাম্প্রতিক দাবির বিপরীতে তিনি স্পষ্ট করেন যে প্রতিনিধি দল শতাধিক নয়, বরং অনেক বেশি লক্ষ্যনির্ভর ও পরিশ্রমী।

তিনি জানান, গত বছরের পরিসংখ্যানে প্রধান উপদেষ্টার আমন্ত্রণে সফরসঙ্গী হিসেবে ছয়জন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ অন্তর্ভুক্ত ছিলেন, যা এবার নেই। এবারের প্রতিনিধি দলের প্রায় এক-তৃতীয়াংশই নিরাপত্তা কর্মী। তারা প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নিয়োজিত রয়েছেন। আওয়ামী লীগ সমর্থকদের কাছ থেকে ক্রমাগত হুমকির কারণে নিরাপত্তা জোরদার করা হলেও তা এখনো পর্যাপ্ত নয়। এজন্য অনেক নিরাপত্তা কর্মকর্তা প্রতিদিন ১৬ ঘণ্টার শিফটে দায়িত্ব পালন করছেন।

ফয়েজ আহম্মদ বলেন, গত পাঁচ দিনে প্রতিনিধি দলের সদস্যরা অন্তত এক ডজন উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে অংশ নিয়েছেন। এর মধ্যে ছয়জনেরও বেশি রাষ্ট্র বা সরকার প্রধানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনাও হয়েছে। এছাড়া কয়েকজন সদস্য আসন্ন ৩০ সেপ্টেম্বরের রোহিঙ্গা সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন।

তিনি উল্লেখ করেন, টিআইবির সাম্প্রতিক বিবৃতি দুর্ভাগ্যজনকভাবে ভুল তথ্যের ওপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে। একটি মর্যাদাপূর্ণ নাগরিক সমাজের সংগঠন হিসেবে টিআইবির উচিত ছিল তথ্য যাচাই করে বক্তব্য দেওয়া। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্টের ওপর নির্ভর করে বিবৃতি দেওয়াটা হতাশাজনক।

তার অভিযোগ, আওয়ামী লীগ ও তাদের মিত্ররা লাখ লাখ ডলার ব্যয় করছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থান সম্পর্কে ভ্রান্ত তথ্য ছড়াতে এবং আন্তর্জাতিক পরিসরে লবিং চালাতে। এ বিষয়ে অনেক সময় কিছু আন্তর্জাতিক মহল নীরব সমর্থনও দিচ্ছে।

ফয়েজ আহম্মদ জানান, এ বছরের প্রতিনিধি দলে তিনটি রাজনৈতিক দলের নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তাদের সহায়তায় কয়েকজন কর্মকর্তাকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে বিশ্বকে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে যে বাংলাদেশ শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক উত্তরণের জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।