১০:০৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আশ-শাকুর: সামান্য আমলে অফুরন্ত পুরস্কারের প্রতিশ্রুতি

আল্লাহ তায়ালার গুণবাচক নামসমূহের মধ্যে একটি হলো আশ-শাকুর (ASH-SHAKOOR), যার অর্থ সর্বাধিক কৃতজ্ঞ বা কৃতজ্ঞতার প্রতিদানদাতা। তিনি এমন এক সত্তা যিনি বান্দার অতি সামান্য আমলের প্রতিদানেও অসীম পুরস্কার ও অনুগ্রহ দান করেন। মানুষের ক্ষুদ্রতম সৎকর্মও তিনি মহানুভবতার সঙ্গে গ্রহণ করেন এবং সীমাহীন প্রতিদান প্রদান করেন।

কুরআনে আল্লাহ বলেন:
“যে কেউ নেক আমল করে, পুরুষ হোক বা নারী, আর সে মুমিন হলে — আমি অবশ্যই তাকে উত্তম জীবন দান করব এবং তাদেরকে তাদের কৃতকর্মের শ্রেষ্ঠ প্রতিদান অবশ্যই দেব।” (সূরা আন-নাহল ১৬:৯৭)

আশ-শাকুরের শিক্ষা অনুযায়ী জীবনযাপন
এই নাম থেকে শিক্ষা নেওয়ার মাধ্যমে একজন মুমিন তার দৈনন্দিন জীবনে আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞ হতে পারে এবং সমাজে মানবিকতা প্রতিষ্ঠা করতে পারে। যেমন:

  • অন্যদের সাহায্যে এগিয়ে আসা, বিনিময়ে কিছু আশা না করা।

  • ক্ষুদ্রতম সৎকর্মেও উৎসাহী থাকা, তা যত ছোটই মনে হোক।

  • মানুষের সাহায্যে হাত বাড়ানো, আর আল্লাহ আশ-শাকুরও তার জন্য সাহায্যের ব্যবস্থা করবেন।

  • আল্লাহর প্রদত্ত প্রতিটি নিয়ামতের জন্য শোকর আদায় করা, যাতে তিনি আরও বাড়িয়ে দেন।

রাসূলুল্লাহ ﷺ এর হাদিসে এসেছে:
“যে মানুষকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে না, সে আসলে আল্লাহকেও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে না।” [আবু দাউদ]

অতএব, আশ-শাকুরের শিক্ষা হলো—কৃতজ্ঞতার চর্চা করা, ভালো কাজকে কখনো ছোট না ভাবা এবং নিঃস্বার্থভাবে অন্যকে সাহায্য করা। আল্লাহ তাঁর বান্দাদের সামান্যতম কাজেরও বহু গুণে প্রতিদান দেন এবং এই নাম আমাদের জীবনে বিনয়, কৃতজ্ঞতা ও সৎকর্মের প্রেরণা জাগিয়ে তোলে।

ট্যাগ

আশ-শাকুর: সামান্য আমলে অফুরন্ত পুরস্কারের প্রতিশ্রুতি

প্রকাশিত হয়েছে: ১০:২০:১৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আল্লাহ তায়ালার গুণবাচক নামসমূহের মধ্যে একটি হলো আশ-শাকুর (ASH-SHAKOOR), যার অর্থ সর্বাধিক কৃতজ্ঞ বা কৃতজ্ঞতার প্রতিদানদাতা। তিনি এমন এক সত্তা যিনি বান্দার অতি সামান্য আমলের প্রতিদানেও অসীম পুরস্কার ও অনুগ্রহ দান করেন। মানুষের ক্ষুদ্রতম সৎকর্মও তিনি মহানুভবতার সঙ্গে গ্রহণ করেন এবং সীমাহীন প্রতিদান প্রদান করেন।

কুরআনে আল্লাহ বলেন:
“যে কেউ নেক আমল করে, পুরুষ হোক বা নারী, আর সে মুমিন হলে — আমি অবশ্যই তাকে উত্তম জীবন দান করব এবং তাদেরকে তাদের কৃতকর্মের শ্রেষ্ঠ প্রতিদান অবশ্যই দেব।” (সূরা আন-নাহল ১৬:৯৭)

আশ-শাকুরের শিক্ষা অনুযায়ী জীবনযাপন
এই নাম থেকে শিক্ষা নেওয়ার মাধ্যমে একজন মুমিন তার দৈনন্দিন জীবনে আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞ হতে পারে এবং সমাজে মানবিকতা প্রতিষ্ঠা করতে পারে। যেমন:

  • অন্যদের সাহায্যে এগিয়ে আসা, বিনিময়ে কিছু আশা না করা।

  • ক্ষুদ্রতম সৎকর্মেও উৎসাহী থাকা, তা যত ছোটই মনে হোক।

  • মানুষের সাহায্যে হাত বাড়ানো, আর আল্লাহ আশ-শাকুরও তার জন্য সাহায্যের ব্যবস্থা করবেন।

  • আল্লাহর প্রদত্ত প্রতিটি নিয়ামতের জন্য শোকর আদায় করা, যাতে তিনি আরও বাড়িয়ে দেন।

রাসূলুল্লাহ ﷺ এর হাদিসে এসেছে:
“যে মানুষকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে না, সে আসলে আল্লাহকেও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে না।” [আবু দাউদ]

অতএব, আশ-শাকুরের শিক্ষা হলো—কৃতজ্ঞতার চর্চা করা, ভালো কাজকে কখনো ছোট না ভাবা এবং নিঃস্বার্থভাবে অন্যকে সাহায্য করা। আল্লাহ তাঁর বান্দাদের সামান্যতম কাজেরও বহু গুণে প্রতিদান দেন এবং এই নাম আমাদের জীবনে বিনয়, কৃতজ্ঞতা ও সৎকর্মের প্রেরণা জাগিয়ে তোলে।