০৭:১৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পাকিস্তানি ট্যাংকারে ইসরায়েলের ড্রোন হামলা

পাকিস্তানি ক্রুবাহী একটি তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) ট্যাংকারে ড্রোন হামলা চালিয়েছে দখলদার ইসরায়েল। ইয়েমেনের উপকূলে এ হামলার ঘটনা ঘটে চলতি মাসের শুরুর দিকে। পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নাকভি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া বার্তায় তিনি বলেন, ট্যাংকারটিতে মোট ২৭ জন ক্রু ছিলেন। এর মধ্যে ক্যাপ্টেন মুখতা আকবরসহ ২৪ জন পাকিস্তানি, দুজন শ্রীলঙ্কান এবং একজন নেপালের নাগরিক।

মন্ত্রী জানান, গত ১৭ সেপ্টেম্বর হুতিদের নিয়ন্ত্রণাধীন ইয়েমেনের রাস আল-এসা বন্দরে অবস্থানকালে ট্যাংকারটিতে ইসরায়েলি ড্রোন হামলা চালানো হয়। হামলার পর একটি এলপিজি ট্যাংকার বিস্ফোরিত হয়ে আগুন ধরে যায়। তবে জাহাজে থাকা নাবিকরা তা নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন।

এরপর হুতি বিদ্রোহীরা জাহাজটির নিয়ন্ত্রণ নেয় এবং ক্রুদের জিম্মি করে। পরবর্তীতে তারা ট্যাংকার ও ক্রুদের ছেড়ে দেয় বলে জানান মহসিন নাকভি। বর্তমানে জাহাজটি ইয়েমেনের জলসীমার বাইরে অবস্থান করছে।

তিনি বলেন, “ক্রুদের নিরাপত্তা নিয়ে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন ছিলাম। তবে বেসামরিক ও নিরাপত্তাকর্মীদের প্রচেষ্টায় পাকিস্তানি নাবিকরা মুক্তি পান।”

প্রসঙ্গত, ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের হামলার পর ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সরাসরি সামরিক অভিযান শুরু করে। গত দুই বছরে উভয়পক্ষের মধ্যে বহু হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটেছে।

ট্যাগ

পাকিস্তানি ট্যাংকারে ইসরায়েলের ড্রোন হামলা

প্রকাশিত হয়েছে: ০১:৪৪:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

পাকিস্তানি ক্রুবাহী একটি তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) ট্যাংকারে ড্রোন হামলা চালিয়েছে দখলদার ইসরায়েল। ইয়েমেনের উপকূলে এ হামলার ঘটনা ঘটে চলতি মাসের শুরুর দিকে। পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নাকভি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া বার্তায় তিনি বলেন, ট্যাংকারটিতে মোট ২৭ জন ক্রু ছিলেন। এর মধ্যে ক্যাপ্টেন মুখতা আকবরসহ ২৪ জন পাকিস্তানি, দুজন শ্রীলঙ্কান এবং একজন নেপালের নাগরিক।

মন্ত্রী জানান, গত ১৭ সেপ্টেম্বর হুতিদের নিয়ন্ত্রণাধীন ইয়েমেনের রাস আল-এসা বন্দরে অবস্থানকালে ট্যাংকারটিতে ইসরায়েলি ড্রোন হামলা চালানো হয়। হামলার পর একটি এলপিজি ট্যাংকার বিস্ফোরিত হয়ে আগুন ধরে যায়। তবে জাহাজে থাকা নাবিকরা তা নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন।

এরপর হুতি বিদ্রোহীরা জাহাজটির নিয়ন্ত্রণ নেয় এবং ক্রুদের জিম্মি করে। পরবর্তীতে তারা ট্যাংকার ও ক্রুদের ছেড়ে দেয় বলে জানান মহসিন নাকভি। বর্তমানে জাহাজটি ইয়েমেনের জলসীমার বাইরে অবস্থান করছে।

তিনি বলেন, “ক্রুদের নিরাপত্তা নিয়ে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন ছিলাম। তবে বেসামরিক ও নিরাপত্তাকর্মীদের প্রচেষ্টায় পাকিস্তানি নাবিকরা মুক্তি পান।”

প্রসঙ্গত, ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের হামলার পর ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সরাসরি সামরিক অভিযান শুরু করে। গত দুই বছরে উভয়পক্ষের মধ্যে বহু হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটেছে।