০৭:২১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আল-কবীর : মহান ও সুমহান আল্লাহর গুণবাচক নাম

আল-কবীর (ٱلْكَبِيرُ) আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলার অন্যতম গুণবাচক নাম, যার অর্থ “মহান” বা “সুমহান”। এটি আল্লাহর অসীম মহত্ত্ব, শ্রেষ্ঠত্ব এবং পূর্ণতার প্রতীক। আল্লাহর মহানত্বের তুলনা কোনো কিছুর সাথেই হয় না। তিনি জ্ঞান, শক্তি, মর্যাদা ও শাসনে সর্বোচ্চ এবং সবকিছুর ঊর্ধ্বে।

কুরআনুল কারীমে আল্লাহ বলেছেন—
“তিনি আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর অধিপতি, মহান (আল-কবীর), অতি উচ্চ মর্যাদাশালী।” (সুরা আর-রা’দ, ১৩:৯)

আল-কবীর নামের তাৎপর্য বহুমুখী। প্রথমত, এটি আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ এবং তাঁর মহিমা সীমাহীন। দ্বিতীয়ত, এই নাম আল্লাহর পূর্ণতা ও উচ্চতাকে বোঝায়। তিনি ত্রুটিমুক্ত এবং তাঁর মর্যাদা সব সৃষ্টির ঊর্ধ্বে। তৃতীয়ত, এই নাম আল্লাহর প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শনের গুরুত্ব তুলে ধরে, যা ঈমানের অবিচ্ছেদ্য অংশ।

আল্লাহর নাম আল-কবীর জিকির করার ফজিলত অনেক। এই নাম স্মরণে মানুষের অন্তরে আল্লাহর ভয় ও ভক্তি বৃদ্ধি পায়। বান্দা বুঝতে পারে, সে ক্ষুদ্র এবং প্রকৃত মহান কেবল আল্লাহই। এর ফলে অহংকার ও গর্ব থেকে মুক্তি আসে। বিপদ-আপদ বা দুঃসময়ে এই নাম জিকির করলে ধৈর্য ও তাওয়াক্কুলের শক্তি অর্জিত হয়।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, আল্লাহর আল-কবীর নাম হৃদয়ে ধারণ করলে মানুষ দুনিয়ার ক্ষুদ্র বিষয় দ্বারা প্রভাবিত হয় না। বরং তার জীবন আল্লাহর মহিমা স্বীকার, বিনয়, ধৈর্য এবং ঈমানের দৃঢ়তায় ভরে ওঠে।

ট্যাগ

আল-কবীর : মহান ও সুমহান আল্লাহর গুণবাচক নাম

প্রকাশিত হয়েছে: ০৮:১৪:২৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আল-কবীর (ٱلْكَبِيرُ) আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলার অন্যতম গুণবাচক নাম, যার অর্থ “মহান” বা “সুমহান”। এটি আল্লাহর অসীম মহত্ত্ব, শ্রেষ্ঠত্ব এবং পূর্ণতার প্রতীক। আল্লাহর মহানত্বের তুলনা কোনো কিছুর সাথেই হয় না। তিনি জ্ঞান, শক্তি, মর্যাদা ও শাসনে সর্বোচ্চ এবং সবকিছুর ঊর্ধ্বে।

কুরআনুল কারীমে আল্লাহ বলেছেন—
“তিনি আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর অধিপতি, মহান (আল-কবীর), অতি উচ্চ মর্যাদাশালী।” (সুরা আর-রা’দ, ১৩:৯)

আল-কবীর নামের তাৎপর্য বহুমুখী। প্রথমত, এটি আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ এবং তাঁর মহিমা সীমাহীন। দ্বিতীয়ত, এই নাম আল্লাহর পূর্ণতা ও উচ্চতাকে বোঝায়। তিনি ত্রুটিমুক্ত এবং তাঁর মর্যাদা সব সৃষ্টির ঊর্ধ্বে। তৃতীয়ত, এই নাম আল্লাহর প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শনের গুরুত্ব তুলে ধরে, যা ঈমানের অবিচ্ছেদ্য অংশ।

আল্লাহর নাম আল-কবীর জিকির করার ফজিলত অনেক। এই নাম স্মরণে মানুষের অন্তরে আল্লাহর ভয় ও ভক্তি বৃদ্ধি পায়। বান্দা বুঝতে পারে, সে ক্ষুদ্র এবং প্রকৃত মহান কেবল আল্লাহই। এর ফলে অহংকার ও গর্ব থেকে মুক্তি আসে। বিপদ-আপদ বা দুঃসময়ে এই নাম জিকির করলে ধৈর্য ও তাওয়াক্কুলের শক্তি অর্জিত হয়।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, আল্লাহর আল-কবীর নাম হৃদয়ে ধারণ করলে মানুষ দুনিয়ার ক্ষুদ্র বিষয় দ্বারা প্রভাবিত হয় না। বরং তার জীবন আল্লাহর মহিমা স্বীকার, বিনয়, ধৈর্য এবং ঈমানের দৃঢ়তায় ভরে ওঠে।