মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান অঙ্গরাজ্যের গ্র্যান্ড ব্ল্যাঙ্ক শহরে এক ভয়াবহ বন্দুক ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কমপক্ষে চারজন নিহত হয়েছেন। রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫) ল্যাটার-ডে সেন্টস-এর যীশু খ্রিস্টের চার্চে প্রার্থনা চলাকালে এই হামলা চালানো হয়।
পুলিশ জানায়, ৪০ বছর বয়সী থমাস জ্যাকব সানফোর্ড নামে এক ব্যক্তি প্রথমে নিজের গাড়ি গির্জার ভেতরে ঢুকিয়ে দেয়। এরপর তিনি একটি অ্যাসল্ট রাইফেল দিয়ে এলোপাথাড়ি গুলি চালান এবং পরে পুরো ভবনে আগুন ধরিয়ে দেন। হামলার সময় গির্জার ভেতরে শত শত মানুষ অবস্থান করছিলেন।
গ্র্যান্ড ব্ল্যাঙ্ক পুলিশ প্রধান উইলিয়াম রেনিয়ে জানান, হামলার আট মিনিটের মধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে পার্কিং লটে গুলি চালিয়ে সানফোর্ডকে হত্যা করে পুলিশ। তিনি আরও জানান, আগুনে পুড়ে যাওয়া ভবনের ধ্বংসস্তূপ থেকে এখন পর্যন্ত চারটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে আরও হতাহতের আশঙ্কা রয়েছে। আহত অন্তত আটজনের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর।
এফবিআই এই হামলাকে “লক্ষ্যবস্তু সহিংসতা” হিসেবে আখ্যা দিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। ফ্লিন্ট শহরের উপকণ্ঠে অবস্থিত এই গির্জার ভবন প্রায় সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। ঘটনাস্থলের ছবিতে দেখা গেছে, আক্রমণকারীর ট্রাকটি ভবনের পাশে দাঁড়ানো, যার পেছনে দুটি মার্কিন পতাকা ঝোলানো ছিল।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করে বলেছেন, “এটি যুক্তরাষ্ট্রে খ্রিস্টানদের ওপর আরেকটি পরিকল্পিত আক্রমণ। সহিংসতার মহামারী এখন জাতীয় নিরাপত্তার বড় হুমকি।” এ ছাড়া তিনি বামপন্থী গোষ্ঠীগুলিকে দায়ী করে নতুন প্রচারণা শুরু করার ঘোষণা দিয়েছেন।
চার্চ কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে বলেছে, “উপাসনাস্থল শান্তি, প্রার্থনা ও আশ্রয়ের জায়গা হওয়া উচিত। এই ভয়াবহ ঘটনায় নিহতদের জন্য আমরা শোক প্রকাশ করছি এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।”
যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক সহিংসতা নতুন নয়, তবে সাম্প্রতিক সময়ে উটাহ ও টেক্সাসসহ বিভিন্ন স্থানে ধারাবাহিক হামলার ফলে পরিস্থিতি আরও উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে উঠেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ধর্মীয় উপাসনাস্থলকে লক্ষ্য করে বাড়তে থাকা এ ধরনের সহিংসতা দেশজুড়ে গভীর নিরাপত্তা সংকট তৈরি করছে।
প্রকাশক ও সম্পাদক
© কপিরাইট সমাচার বিশ্ব ২০২৫ | আমাদের ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।