ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আন্তর্জাতিক উদ্বেগের মধ্যে, ব্রিটিশ সরকার ৭১ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে নতুনভাবে নিষেধাজ্ঞার আওতায় এনেছে। এই পদক্ষেপের লক্ষ্য ইরানের পারমাণবিক বিস্তার ঠেকানো। ব্রিটেনের ঘোষণার আগে জাতিসংঘ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নও একই ধরনের নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করেছে।
নতুন নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা ব্যক্তিরা মূলত ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এবং দেশের প্রধান আর্থিক ও জ্বালানি খাতের প্রতিষ্ঠান। নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে তাদের সম্পদ জব্দ, আর্থিক লেনদেনে বিধিনিষেধ আরোপ এবং ভ্রমণে সীমাবদ্ধতা কার্যকর করা হবে।
বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন যে, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ফ্রান্স, রাশিয়া এবং চীনের সঙ্গে ইরানের পারমাণবিক চুক্তি সমাপ্তি মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বাড়াতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল ইতোমধ্যেই ইরানের পরমাণু স্থাপনায় আঘাত হানার পর এই অঞ্চল উত্তপ্ত রয়েছে।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ২০০৬ থেকে ২০১০ সালের নিষেধাজ্ঞা শনিবার পুনর্বহাল করা হয়েছে। ইউরোপীয় দেশগুলো ইরানকে নিষেধাজ্ঞা মানার আহ্বান জানিয়েছে। তবে ইরান এই পদক্ষেপকে কড়া প্রতিক্রিয়া জানানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে।
ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান উল্লেখ করেছেন, দেশ পরমাণু অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তি (এনপিটি) থেকে বের হওয়ার ইচ্ছা নেই। অন্যদিকে, রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেছেন, নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল অবৈধ এবং কার্যকর করা সম্ভব নয়।
প্রকাশক ও সম্পাদক
© কপিরাইট সমাচার বিশ্ব ২০২৫ | আমাদের ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।