০১:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

১৪ ঘণ্টা আটক থাকার পর ফেরত পাঠানো হলো” নাথান ল-কে

হংকংয়ের নির্বাসিত গণতন্ত্রপন্থী কর্মী নাথান ল সিঙ্গাপুরে প্রবেশ করতে গিয়েও ব্যর্থ হয়েছেন। বৈধ ভিসা থাকা সত্ত্বেও শনিবার রাতে সিঙ্গাপুর বিমানবন্দরে তাকে আটক করে কর্তৃপক্ষ। প্রায় চার ঘণ্টা অপেক্ষার পর জানানো হয়, তার প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এরপর মোট ১৪ ঘণ্টা সিঙ্গাপুরে কাটিয়ে তিনি রবিবার সান ফ্রান্সিসকোর উদ্দেশে বিমানে ফিরে যান।

লন্ডনে বসবাসরত নাথান ল জানান, তিনি সিঙ্গাপুরে কেবল একটি আমন্ত্রণ-ভিত্তিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন। তবে প্রবেশ নিষিদ্ধ করার কোনো স্পষ্ট কারণ তাকে জানানো হয়নি। এক বিবৃতিতে তিনি সন্দেহ প্রকাশ করে বলেন, “আমার মনে হচ্ছে সিদ্ধান্তটি রাজনৈতিক ছিল। তবে গণপ্রজাতন্ত্রী চীন সরাসরি বা পরোক্ষভাবে যুক্ত কিনা তা নিশ্চিত নই।”

সিঙ্গাপুরের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়টি নিয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি।

নাথান ল হংকংয়ের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অন্যতম পরিচিত মুখ। তিনি ২০১৪ সালের আমব্রেলা বিপ্লবের সময় ছাত্রনেতা হিসেবে আলোচনায় আসেন এবং সহকর্মী জোশুয়া ওংয়ের সাথে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পরিচিতি পান। ২০১৬ সালে হংকংয়ের আইনসভায় নির্বাচিত হলেও, চীনের প্রতি আনুগত্যের শপথ গ্রহণের সময় তার উচ্চারণ বিতর্কিত হওয়ায় তাকে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়।

২০২০ সালে বেইজিং হংকংয়ে বিতর্কিত জাতীয় নিরাপত্তা আইন চাপিয়ে দেওয়ার পর নাথান ল বিদেশে নির্বাসিত হন। পরবর্তীতে ২০২৩ সালে হংকং পুলিশ তাকে এবং আরও কয়েকজন নির্বাসিত কর্মীকে গ্রেপ্তারের জন্য তথ্য দিলে এক মিলিয়ন হংকং ডলার পুরস্কার ঘোষণা করে।

এই ঘটনার মাধ্যমে আবারও প্রশ্ন উঠেছে, গণতন্ত্রপন্থী কর্মীদের ওপর বিদেশেও রাজনৈতিক চাপ বিস্তৃত হচ্ছে কিনা।

ট্যাগ

শিক্ষা ভবনের সামনে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

১৪ ঘণ্টা আটক থাকার পর ফেরত পাঠানো হলো” নাথান ল-কে

প্রকাশিত হয়েছে: ০৭:৫৩:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

হংকংয়ের নির্বাসিত গণতন্ত্রপন্থী কর্মী নাথান ল সিঙ্গাপুরে প্রবেশ করতে গিয়েও ব্যর্থ হয়েছেন। বৈধ ভিসা থাকা সত্ত্বেও শনিবার রাতে সিঙ্গাপুর বিমানবন্দরে তাকে আটক করে কর্তৃপক্ষ। প্রায় চার ঘণ্টা অপেক্ষার পর জানানো হয়, তার প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এরপর মোট ১৪ ঘণ্টা সিঙ্গাপুরে কাটিয়ে তিনি রবিবার সান ফ্রান্সিসকোর উদ্দেশে বিমানে ফিরে যান।

লন্ডনে বসবাসরত নাথান ল জানান, তিনি সিঙ্গাপুরে কেবল একটি আমন্ত্রণ-ভিত্তিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন। তবে প্রবেশ নিষিদ্ধ করার কোনো স্পষ্ট কারণ তাকে জানানো হয়নি। এক বিবৃতিতে তিনি সন্দেহ প্রকাশ করে বলেন, “আমার মনে হচ্ছে সিদ্ধান্তটি রাজনৈতিক ছিল। তবে গণপ্রজাতন্ত্রী চীন সরাসরি বা পরোক্ষভাবে যুক্ত কিনা তা নিশ্চিত নই।”

সিঙ্গাপুরের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়টি নিয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি।

নাথান ল হংকংয়ের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অন্যতম পরিচিত মুখ। তিনি ২০১৪ সালের আমব্রেলা বিপ্লবের সময় ছাত্রনেতা হিসেবে আলোচনায় আসেন এবং সহকর্মী জোশুয়া ওংয়ের সাথে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পরিচিতি পান। ২০১৬ সালে হংকংয়ের আইনসভায় নির্বাচিত হলেও, চীনের প্রতি আনুগত্যের শপথ গ্রহণের সময় তার উচ্চারণ বিতর্কিত হওয়ায় তাকে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়।

২০২০ সালে বেইজিং হংকংয়ে বিতর্কিত জাতীয় নিরাপত্তা আইন চাপিয়ে দেওয়ার পর নাথান ল বিদেশে নির্বাসিত হন। পরবর্তীতে ২০২৩ সালে হংকং পুলিশ তাকে এবং আরও কয়েকজন নির্বাসিত কর্মীকে গ্রেপ্তারের জন্য তথ্য দিলে এক মিলিয়ন হংকং ডলার পুরস্কার ঘোষণা করে।

এই ঘটনার মাধ্যমে আবারও প্রশ্ন উঠেছে, গণতন্ত্রপন্থী কর্মীদের ওপর বিদেশেও রাজনৈতিক চাপ বিস্তৃত হচ্ছে কিনা।