০১:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

“অপরাধ প্রতিরোধে” দেশজুড়ে ইন্টারনেট বন্ধ

আফগানিস্তানে দেশব্যাপী যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতা সৃষ্টি হয়েছে তালেবান সরকারের ঘোষণার পর। সোমবার বিকেল থেকে এই পদক্ষেপ কার্যকর হওয়ায় রাজধানী কাবুলসহ হেরাত ও কান্দাহার শহরের বহু মানুষ ইন্টারনেট ও ফোন সংযোগ হারিয়েছেন।

এর আগে তালেবান কর্তৃপক্ষ “অপরাধ প্রতিরোধ”-এর অজুহাতে ধাপে ধাপে বেশ কয়েকটি প্রদেশে উচ্চগতির ইন্টারনেট বন্ধ করে দিয়েছিল। কয়েক সপ্তাহ ধরে ইন্টারনেটের গতি কমে আসছিল এবং কোথাও কোথাও পরিষেবা পুরোপুরি বন্ধ ছিল। এবার সেটি দেশব্যাপী বিস্তৃত হওয়ায় আফগানিস্তান কার্যত ডিজিটাল অন্ধকারে ঢুকে পড়েছে।

তালেবান কর্মকর্তারা এর আগেও জানিয়েছিলেন, ইন্টারনেট বন্ধের এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে “পাপ প্রতিরোধ” করার জন্য। ১৬ সেপ্টেম্বর বালখ প্রদেশের মুখপাত্র প্রকাশ্যে ঘোষণা করেন, নেতার নির্দেশে সেখানে সম্পূর্ণভাবে ফাইবার-অপটিক ইন্টারনেট নিষিদ্ধ করা হয়েছে। একই ধরণের নিষেধাজ্ঞা বাদাখশান, তাখর, কান্দাহার, হেলমান্দ, নাঙ্গারহার ও উরুজগান প্রদেশেও আরোপ করা হয়েছে।

উল্লেখযোগ্য যে, ২০২৪ সালে তালেবান সরকার দেশের ৯,৩৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ ফাইবার-অপটিক নেটওয়ার্ককে একটি অগ্রাধিকার প্রকল্প হিসেবে ঘোষণা করেছিল, যা মূলত প্রাক্তন মার্কিন-সমর্থিত সরকারগুলোর উদ্যোগে নির্মিত হয়েছিল আফগানিস্তানকে বিশ্বের সঙ্গে সংযুক্ত করা এবং দারিদ্র্য হ্রাসের লক্ষ্যে। কিন্তু ২০২১ সালে তালেবান পুনরায় ক্ষমতায় ফেরার পর থেকে তারা ইসলামি আইনের কঠোর ব্যাখ্যা অনুযায়ী বহু সামাজিক ও প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতা জারি করেছে।

ট্যাগ

শিক্ষা ভবনের সামনে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

“অপরাধ প্রতিরোধে” দেশজুড়ে ইন্টারনেট বন্ধ

প্রকাশিত হয়েছে: ০৭:১৫:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আফগানিস্তানে দেশব্যাপী যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতা সৃষ্টি হয়েছে তালেবান সরকারের ঘোষণার পর। সোমবার বিকেল থেকে এই পদক্ষেপ কার্যকর হওয়ায় রাজধানী কাবুলসহ হেরাত ও কান্দাহার শহরের বহু মানুষ ইন্টারনেট ও ফোন সংযোগ হারিয়েছেন।

এর আগে তালেবান কর্তৃপক্ষ “অপরাধ প্রতিরোধ”-এর অজুহাতে ধাপে ধাপে বেশ কয়েকটি প্রদেশে উচ্চগতির ইন্টারনেট বন্ধ করে দিয়েছিল। কয়েক সপ্তাহ ধরে ইন্টারনেটের গতি কমে আসছিল এবং কোথাও কোথাও পরিষেবা পুরোপুরি বন্ধ ছিল। এবার সেটি দেশব্যাপী বিস্তৃত হওয়ায় আফগানিস্তান কার্যত ডিজিটাল অন্ধকারে ঢুকে পড়েছে।

তালেবান কর্মকর্তারা এর আগেও জানিয়েছিলেন, ইন্টারনেট বন্ধের এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে “পাপ প্রতিরোধ” করার জন্য। ১৬ সেপ্টেম্বর বালখ প্রদেশের মুখপাত্র প্রকাশ্যে ঘোষণা করেন, নেতার নির্দেশে সেখানে সম্পূর্ণভাবে ফাইবার-অপটিক ইন্টারনেট নিষিদ্ধ করা হয়েছে। একই ধরণের নিষেধাজ্ঞা বাদাখশান, তাখর, কান্দাহার, হেলমান্দ, নাঙ্গারহার ও উরুজগান প্রদেশেও আরোপ করা হয়েছে।

উল্লেখযোগ্য যে, ২০২৪ সালে তালেবান সরকার দেশের ৯,৩৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ ফাইবার-অপটিক নেটওয়ার্ককে একটি অগ্রাধিকার প্রকল্প হিসেবে ঘোষণা করেছিল, যা মূলত প্রাক্তন মার্কিন-সমর্থিত সরকারগুলোর উদ্যোগে নির্মিত হয়েছিল আফগানিস্তানকে বিশ্বের সঙ্গে সংযুক্ত করা এবং দারিদ্র্য হ্রাসের লক্ষ্যে। কিন্তু ২০২১ সালে তালেবান পুনরায় ক্ষমতায় ফেরার পর থেকে তারা ইসলামি আইনের কঠোর ব্যাখ্যা অনুযায়ী বহু সামাজিক ও প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতা জারি করেছে।