
সোমবার ক্যালিফোর্নিয়ার একটি ফেডারেল আদালতে দায়ের করা নিষ্পত্তির নোটিশ অনুযায়ী, ৬ জানুয়ারী, ২০২১-এর ক্যাপিটল হামলার পর ইউটিউব ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট স্থগিত করার ঘটনায় ট্রাম্পের দায়ের করা মামলা মীমাংসা করতে ২২ মিলিয়ন ডলার দিতে সম্মত হয়েছে। এই অর্থ ট্রাম্পের হোয়াইট হাউস স্টেট বলরুম নির্মাণ প্রকল্পের জন্য “ট্রাস্ট ফর দ্য ন্যাশনাল মল” নামের অলাভজনক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ব্যয় করা হবে।
ইউটিউব, গুগলের মূল কোম্পানি অ্যালফাবেটের সহযোগী প্রতিষ্ঠান, ৬ জানুয়ারী পরে ট্রাম্পকে ডিপ্ল্যাটফর্ম করার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে ট্রাম্পের মামলা নিষ্পত্তিতে সম্মত হয়েছে। এছাড়াও, ট্রাম্পের সহযোগীদের মধ্যে আমেরিকান কনজারভেটিভ ইউনিয়নকে ২.৫ মিলিয়ন ডলার দেওয়ারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
৬ জানুয়ারীর হামলার পর ট্রাম্পকে প্রধান সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলো থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ইউটিউব তার পোস্টিং সুবিধা ১২ জানুয়ারি থেকে সীমিত করে দেয়, “সহিংসতার সম্ভাবনা” এবং “ভোট জালিয়াতির” ভুয়া দাবিকে ভিত্তি করে। এই পদক্ষেপ ফেসবুক ও টুইটারের পদক্ষেপের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ছিল।
আইন বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন যে ব্যক্তিগত কোম্পানিগুলি ট্রাম্পের First Amendment (বাকস্বাধীনতা) লঙ্ঘন করেনি। ইউটিউবও বলেছে যে তারা কোনো রাষ্ট্রীয় সংস্থা নয়, তাই তার সম্পাদকীয় সিদ্ধান্ত রাষ্ট্রীয় First Amendment অধিকারকে প্রভাবিত করে না।
মিডিয়া পর্যবেক্ষকরা এই মীমাংসাকে সমালোচনা করেছেন, বলেছেন যে এটি অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলিকে ক্ষমতাধর ব্যক্তিদের চাপের সামনে পিছু হটানোর উদাহরণ তৈরি করতে পারে। এর আগেও ট্রাম্প মেটা ও এক্স (পুরনো টুইটার) সহ অন্যান্য প্ল্যাটফর্মের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল এবং মিলিয়ন ডলারের মীমাংসা পেয়েছিল।
সারসংক্ষেপে, ট্রাম্প ও ইউটিউবের মধ্যে এই চুক্তি একটি বড় বিগ টেক ফার্মের সঙ্গে মীমাংসার উদাহরণ, যা একই সঙ্গে রাষ্ট্রপতি ও মিডিয়া কোম্পানির মধ্যকার উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্ককে তুলে ধরে।