০১:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফিলিস্তিনিদের আত্মনিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত না হলে আমরা গ্রহণ করব না

হামাস নেতা মাহমুদ মারদাউই বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাজা শান্তি পরিকল্পনা এখনও হামাস বা অন্যান্য ফিলিস্তিনি দলগুলোর কাছে পৌঁছায়নি। তিনি বলেন, পরিকল্পনাটি ঘোষণার আগে তাদের কাছে উপস্থাপন করা হয়নি, এবং এর বিধানসমূহ মূলত ইসরায়েলের দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

মারদাউই স্পষ্ট করেছেন, হামাস কোনো প্রস্তাব গ্রহণ করবে না, যদি সেটি ফিলিস্তিনি জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার নিশ্চিত না করে এবং তাদেরকে সম্ভাব্য আক্রমণ থেকে রক্ষা না করে। তার এই বক্তব্য থেকে বোঝা যাচ্ছে, হামাসের জন্য স্ব-শাসন ও নিরাপত্তা হচ্ছে প্রধান শর্ত।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, হামাসের এই অবস্থান ট্রাম্পের পরিকল্পনার বাস্তবায়নকে জটিল করে তুলতে পারে, কারণ আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতা, নিরাপত্তা ও স্থানীয় অংশগ্রহণ ছাড়া কোনো সমাধান কার্যকর হওয়া সম্ভব নয়।

হামাস নেতা মাহমুদ মারদাউই স্পষ্ট করে আরো বলেছেন, ট্রাম্পের গাজা শান্তি পরিকল্পনা এখনও তাদের কাছে পৌঁছায়নি এবং ফিলিস্তিনি জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত না করা হলে তারা কোনো প্রস্তাব গ্রহণ করবে না। এর প্রেক্ষিতে কিছু মূল দিক তুলে ধরা হলো—

  1. ফিলিস্তিনি রাজনীতিতে প্রভাব:

    • হামাসের অবস্থান অনুযায়ী, ট্রাম্পের পরিকল্পনা বিরোধপূর্ণ হতে পারে, কারণ এটি ফিলিস্তিনি স্বায়ত্তশাসনের মূল দাবিকে পূরণ করে না।

    • ফিলিস্তিনি দলগুলোর মধ্যে বিভাজন ও মতপার্থক্য পরিকল্পনার বাস্তবায়নে বড় বাধা সৃষ্টি করতে পারে।

  2. আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া:

    • পশ্চিমা দেশগুলো, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় অংশীদাররা শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য হামাস ও ফিলিস্তিনি নেতৃত্বের সঙ্গে সমন্বয় বাড়ানোর চেষ্টা করতে হবে।

    • হামাসের এ ধরনের প্রতিক্রিয়া আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের সতর্ক করেছে যে, শুধুমাত্র ইসরায়েলি দৃষ্টিভঙ্গির ওপর ভিত্তি করে প্রস্তাব কার্যকর হওয়া সম্ভব নয়।

  3. পরিকল্পনার বাস্তবায়ন ঝুঁকি:

    • জিম্মি মুক্তি, ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার এবং অস্থায়ী আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েন—সবকিছুই হামাসের সম্মতি ছাড়া কার্যকর হবে না।

    • ফিলিস্তিনি জনগণের নিরাপত্তা ও স্বায়ত্তশাসনের নিশ্চয়তা ছাড়া পরিকল্পনা আংশিক বা ব্যর্থ হতে পারে।


হামাসের এই প্রতিক্রিয়া স্পষ্টভাবে ইঙ্গিত দেয় যে, ট্রাম্পের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য স্থানীয় অংশগ্রহণ, স্বচ্ছতা এবং নিরাপত্তা নিশ্চয়তার ওপর নির্ভরশীল। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও ইসরায়েলকে লক্ষ্য রাখতে হবে যে, ফিলিস্তিনি জনগণের স্বায়ত্তশাসন ও নিরাপত্তা ছাড়া কোনো স্থায়ী শান্তি সম্ভব নয়।

ট্যাগ

শিক্ষা ভবনের সামনে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

ফিলিস্তিনিদের আত্মনিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত না হলে আমরা গ্রহণ করব না

প্রকাশিত হয়েছে: ০৯:৫৩:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

হামাস নেতা মাহমুদ মারদাউই বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাজা শান্তি পরিকল্পনা এখনও হামাস বা অন্যান্য ফিলিস্তিনি দলগুলোর কাছে পৌঁছায়নি। তিনি বলেন, পরিকল্পনাটি ঘোষণার আগে তাদের কাছে উপস্থাপন করা হয়নি, এবং এর বিধানসমূহ মূলত ইসরায়েলের দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

মারদাউই স্পষ্ট করেছেন, হামাস কোনো প্রস্তাব গ্রহণ করবে না, যদি সেটি ফিলিস্তিনি জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার নিশ্চিত না করে এবং তাদেরকে সম্ভাব্য আক্রমণ থেকে রক্ষা না করে। তার এই বক্তব্য থেকে বোঝা যাচ্ছে, হামাসের জন্য স্ব-শাসন ও নিরাপত্তা হচ্ছে প্রধান শর্ত।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, হামাসের এই অবস্থান ট্রাম্পের পরিকল্পনার বাস্তবায়নকে জটিল করে তুলতে পারে, কারণ আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতা, নিরাপত্তা ও স্থানীয় অংশগ্রহণ ছাড়া কোনো সমাধান কার্যকর হওয়া সম্ভব নয়।

হামাস নেতা মাহমুদ মারদাউই স্পষ্ট করে আরো বলেছেন, ট্রাম্পের গাজা শান্তি পরিকল্পনা এখনও তাদের কাছে পৌঁছায়নি এবং ফিলিস্তিনি জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত না করা হলে তারা কোনো প্রস্তাব গ্রহণ করবে না। এর প্রেক্ষিতে কিছু মূল দিক তুলে ধরা হলো—

  1. ফিলিস্তিনি রাজনীতিতে প্রভাব:

    • হামাসের অবস্থান অনুযায়ী, ট্রাম্পের পরিকল্পনা বিরোধপূর্ণ হতে পারে, কারণ এটি ফিলিস্তিনি স্বায়ত্তশাসনের মূল দাবিকে পূরণ করে না।

    • ফিলিস্তিনি দলগুলোর মধ্যে বিভাজন ও মতপার্থক্য পরিকল্পনার বাস্তবায়নে বড় বাধা সৃষ্টি করতে পারে।

  2. আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া:

    • পশ্চিমা দেশগুলো, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় অংশীদাররা শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য হামাস ও ফিলিস্তিনি নেতৃত্বের সঙ্গে সমন্বয় বাড়ানোর চেষ্টা করতে হবে।

    • হামাসের এ ধরনের প্রতিক্রিয়া আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের সতর্ক করেছে যে, শুধুমাত্র ইসরায়েলি দৃষ্টিভঙ্গির ওপর ভিত্তি করে প্রস্তাব কার্যকর হওয়া সম্ভব নয়।

  3. পরিকল্পনার বাস্তবায়ন ঝুঁকি:

    • জিম্মি মুক্তি, ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার এবং অস্থায়ী আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েন—সবকিছুই হামাসের সম্মতি ছাড়া কার্যকর হবে না।

    • ফিলিস্তিনি জনগণের নিরাপত্তা ও স্বায়ত্তশাসনের নিশ্চয়তা ছাড়া পরিকল্পনা আংশিক বা ব্যর্থ হতে পারে।


হামাসের এই প্রতিক্রিয়া স্পষ্টভাবে ইঙ্গিত দেয় যে, ট্রাম্পের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য স্থানীয় অংশগ্রহণ, স্বচ্ছতা এবং নিরাপত্তা নিশ্চয়তার ওপর নির্ভরশীল। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও ইসরায়েলকে লক্ষ্য রাখতে হবে যে, ফিলিস্তিনি জনগণের স্বায়ত্তশাসন ও নিরাপত্তা ছাড়া কোনো স্থায়ী শান্তি সম্ভব নয়।