১০:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে জাতিসংঘের পূর্ণ সমর্থন গুতেরেসের

বাংলাদেশের চলমান গণতান্ত্রিক উত্তরণ ও সংস্কার কর্মসূচির প্রতি পূর্ণ সমর্থন ও সংহতি প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সোমবার নিউইয়র্কের জাতিসংঘ সদর দপ্তরে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে এক বৈঠকে এ সমর্থনের কথা জানান তিনি। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে জানানো হয়, অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বে উচ্চপর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদল বৈঠকে অংশ নেয়, যেখানে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান, মুখ্যসচিব সিরাজ উদ্দিন মিয়া এবং এসডিজি সমন্বয়ক লামিয়া মোর্শেদ। বৈঠকে রাজনৈতিক সংস্কার, ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচন, জুলাই অভ্যুত্থানে সংঘটিত গণহত্যার জন্য দায়ীদের জবাবদিহিতা, বৈশ্বিক বাণিজ্যে সুরক্ষামূলক শুল্কনীতির প্রভাব এবং ৩০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠেয় আন্তর্জাতিক রোহিঙ্গা সম্মেলন নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস জাতিসংঘ মহাসচিবকে জানান, অন্তর্বর্তী সরকার ইতোমধ্যেই এমন সংস্কারমুখী পদক্ষেপ নিয়েছে যা একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে। তিনি আরও বলেন, আগামী কয়েক মাস বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং জাতিসংঘের সহায়তা নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অপরিহার্য। ইউনূস অভিযোগ করেন, ক্ষমতাচ্যুত সরকার ও তাদের মিত্ররা পাচার করা সম্পদের মাধ্যমে দেশে অস্থিরতা সৃষ্টির জন্য বিভ্রান্তিকর প্রচার চালাচ্ছে এবং তারা ফেব্রুয়ারির নির্বাচন চায় না। কিছু আন্তর্জাতিক মহলও তাদেরকে সমর্থন দিচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। এর জবাবে গুতেরেস বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণ ও সংস্কার কর্মসূচিতে জাতিসংঘের দৃঢ় সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি আরও জানান, রোহিঙ্গা সংকটের দীর্ঘমেয়াদি সমাধানে জাতিসংঘ অব্যাহতভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবে। গুতেরেস গত ১৪ মাসে অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বের প্রশংসা করে বলেন, বাংলাদেশের এই কঠিন উত্তরণকালীন সময়ে আপনার নেতৃত্ব তিনি শ্রদ্ধা ও প্রশংসা করেন। বৈঠকে অধ্যাপক ইউনূস আন্তর্জাতিক রোহিঙ্গা সম্মেলন আয়োজনের জন্য মহাসচিবকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এই সম্মেলন রোহিঙ্গা সংকটকে বিশ্ব সম্প্রদায়ের অগ্রাধিকার তালিকায় রাখবে এবং শরণার্থী শিবিরে জরুরি মানবিক সহায়তার জন্য প্রয়োজনীয় তহবিল সংগ্রহে সহায়তা করবে। জবাবে জাতিসংঘ মহাসচিব রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধানের পথ খুঁজে পেতে বাংলাদেশের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।

ট্যাগ

শিক্ষা ভবনের সামনে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে জাতিসংঘের পূর্ণ সমর্থন গুতেরেসের

প্রকাশিত হয়েছে: ১০:৫৮:২১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বাংলাদেশের চলমান গণতান্ত্রিক উত্তরণ ও সংস্কার কর্মসূচির প্রতি পূর্ণ সমর্থন ও সংহতি প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সোমবার নিউইয়র্কের জাতিসংঘ সদর দপ্তরে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে এক বৈঠকে এ সমর্থনের কথা জানান তিনি। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে জানানো হয়, অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বে উচ্চপর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদল বৈঠকে অংশ নেয়, যেখানে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান, মুখ্যসচিব সিরাজ উদ্দিন মিয়া এবং এসডিজি সমন্বয়ক লামিয়া মোর্শেদ। বৈঠকে রাজনৈতিক সংস্কার, ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচন, জুলাই অভ্যুত্থানে সংঘটিত গণহত্যার জন্য দায়ীদের জবাবদিহিতা, বৈশ্বিক বাণিজ্যে সুরক্ষামূলক শুল্কনীতির প্রভাব এবং ৩০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠেয় আন্তর্জাতিক রোহিঙ্গা সম্মেলন নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস জাতিসংঘ মহাসচিবকে জানান, অন্তর্বর্তী সরকার ইতোমধ্যেই এমন সংস্কারমুখী পদক্ষেপ নিয়েছে যা একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে। তিনি আরও বলেন, আগামী কয়েক মাস বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং জাতিসংঘের সহায়তা নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অপরিহার্য। ইউনূস অভিযোগ করেন, ক্ষমতাচ্যুত সরকার ও তাদের মিত্ররা পাচার করা সম্পদের মাধ্যমে দেশে অস্থিরতা সৃষ্টির জন্য বিভ্রান্তিকর প্রচার চালাচ্ছে এবং তারা ফেব্রুয়ারির নির্বাচন চায় না। কিছু আন্তর্জাতিক মহলও তাদেরকে সমর্থন দিচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। এর জবাবে গুতেরেস বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণ ও সংস্কার কর্মসূচিতে জাতিসংঘের দৃঢ় সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি আরও জানান, রোহিঙ্গা সংকটের দীর্ঘমেয়াদি সমাধানে জাতিসংঘ অব্যাহতভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবে। গুতেরেস গত ১৪ মাসে অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বের প্রশংসা করে বলেন, বাংলাদেশের এই কঠিন উত্তরণকালীন সময়ে আপনার নেতৃত্ব তিনি শ্রদ্ধা ও প্রশংসা করেন। বৈঠকে অধ্যাপক ইউনূস আন্তর্জাতিক রোহিঙ্গা সম্মেলন আয়োজনের জন্য মহাসচিবকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এই সম্মেলন রোহিঙ্গা সংকটকে বিশ্ব সম্প্রদায়ের অগ্রাধিকার তালিকায় রাখবে এবং শরণার্থী শিবিরে জরুরি মানবিক সহায়তার জন্য প্রয়োজনীয় তহবিল সংগ্রহে সহায়তা করবে। জবাবে জাতিসংঘ মহাসচিব রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধানের পথ খুঁজে পেতে বাংলাদেশের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।