১০:১৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রংপুরে সাংবাদিক বাদল হেনস্তা মামলার প্রধান আসামি রকি গ্রেপ্তার

রংপুরে সিনিয়র সাংবাদিক লিয়াকত আলী বাদলকে মারধর ও হেনস্তার মামলায় প্রধান আসামি এনায়েত আলী রকি (৩৮) গ্রেপ্তার হয়েছেন। এ নিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করলো পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় তাকে আদালতে হাজির করা হলে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেওয়ান মনিরুজ্জামান তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এনায়েত আলী রকি রংপুর মহানগরীর চাউল আমোদ রোড সিঙ্গারের গলি এলাকার হায়দার আলীর ছেলে। বুধবার রাতে ঢাকার যাত্রাবাড়ীর রায় সাহেব বাজার এলাকা থেকে র্যাব-১০ এর সহযোগিতায় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।

রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি থানার ওসি আতাউর রহমান জানান, প্রধান আসামি রকি ঘটনার পর থেকে পলাতক ছিলেন। তথ্যপ্রযুক্তি ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে রতন মিয়া ও রকিবুল ইসলাম সাগর নামে আরও দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

গত ২১ সেপ্টেম্বর সাংবাদিক লিয়াকত আলী বাদলকে কাচারী বাজার থেকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে সিটি কর্পোরেশনে এনে মারধর ও হেনস্তা করা হয়। প্রকাশিত সংবাদে বিরক্ত হয়ে এনায়েত আলী রকির নেতৃত্বে সাংবাদিক বাদলকে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করার চেষ্টা করা হয়। পরে সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রধান ফটক আটকে সাংবাদিকদের ওপর মব তৈরি করে হামলা চালান বলে অভিযোগ ওঠে।

এ ঘটনায় বাদল সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে ফাতেমা, ট্রেড লাইসেন্স শাখার প্রধান মিজানুর রহমান মিজু, সাবেক কাউন্সিলর লিটন পারভেজ, প্রশাসনিক কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর কবির শান্তসহ ১৪ জনের নামে মামলা করেন। বাদল দৈনিক সংবাদ, একুশে টেলিভিশন ও বাংলা ট্রিবিউনের রংপুর প্রতিনিধি। তিনি গত ১৭ সেপ্টেম্বর দৈনিক সংবাদে “রংপুরে জুলাই যোদ্ধার নামে অটোর লাইসেন্স, ৫ কোটি টাকার বাণিজ্যের পাঁয়তারা” শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। ওই সংবাদ প্রকাশের চারদিন পরই তার ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।

এদিকে, ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার না করায় রংপুর সম্মিলিত সাংবাদিক সমাজ ধারাবাহিক কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। তারা ইতোমধ্যে পুলিশ কমিশনার, জেলা প্রশাসক, বিভাগীয় কমিশনার, ডিআইজি ও র্যাব-১৩ এর কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করেছে। কর্মসূচির অংশ হিসেবে ৪ অক্টোবর সেনাক্যাম্প ইনচার্জের সাথে সাক্ষাৎ, ৫ ও ৬ অক্টোবর রাজনৈতিক দল, পেশাজীবী ও সুশীল সমাজের নেতাদের সাথে গণসংযোগ এবং ৭ অক্টোবর রংপুর প্রেসক্লাব চত্বরে বেলা ১১টায় সংহতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।

ট্যাগ

সাইয়েদুল ইস্তেগফার : সর্বশ্রেষ্ঠ ক্ষমা প্রার্থনার দোয়া

রংপুরে সাংবাদিক বাদল হেনস্তা মামলার প্রধান আসামি রকি গ্রেপ্তার

প্রকাশিত হয়েছে: ১১:০৭:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ অক্টোবর ২০২৫

রংপুরে সিনিয়র সাংবাদিক লিয়াকত আলী বাদলকে মারধর ও হেনস্তার মামলায় প্রধান আসামি এনায়েত আলী রকি (৩৮) গ্রেপ্তার হয়েছেন। এ নিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করলো পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় তাকে আদালতে হাজির করা হলে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেওয়ান মনিরুজ্জামান তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এনায়েত আলী রকি রংপুর মহানগরীর চাউল আমোদ রোড সিঙ্গারের গলি এলাকার হায়দার আলীর ছেলে। বুধবার রাতে ঢাকার যাত্রাবাড়ীর রায় সাহেব বাজার এলাকা থেকে র্যাব-১০ এর সহযোগিতায় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।

রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি থানার ওসি আতাউর রহমান জানান, প্রধান আসামি রকি ঘটনার পর থেকে পলাতক ছিলেন। তথ্যপ্রযুক্তি ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে রতন মিয়া ও রকিবুল ইসলাম সাগর নামে আরও দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

গত ২১ সেপ্টেম্বর সাংবাদিক লিয়াকত আলী বাদলকে কাচারী বাজার থেকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে সিটি কর্পোরেশনে এনে মারধর ও হেনস্তা করা হয়। প্রকাশিত সংবাদে বিরক্ত হয়ে এনায়েত আলী রকির নেতৃত্বে সাংবাদিক বাদলকে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করার চেষ্টা করা হয়। পরে সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রধান ফটক আটকে সাংবাদিকদের ওপর মব তৈরি করে হামলা চালান বলে অভিযোগ ওঠে।

এ ঘটনায় বাদল সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে ফাতেমা, ট্রেড লাইসেন্স শাখার প্রধান মিজানুর রহমান মিজু, সাবেক কাউন্সিলর লিটন পারভেজ, প্রশাসনিক কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর কবির শান্তসহ ১৪ জনের নামে মামলা করেন। বাদল দৈনিক সংবাদ, একুশে টেলিভিশন ও বাংলা ট্রিবিউনের রংপুর প্রতিনিধি। তিনি গত ১৭ সেপ্টেম্বর দৈনিক সংবাদে “রংপুরে জুলাই যোদ্ধার নামে অটোর লাইসেন্স, ৫ কোটি টাকার বাণিজ্যের পাঁয়তারা” শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। ওই সংবাদ প্রকাশের চারদিন পরই তার ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।

এদিকে, ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার না করায় রংপুর সম্মিলিত সাংবাদিক সমাজ ধারাবাহিক কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। তারা ইতোমধ্যে পুলিশ কমিশনার, জেলা প্রশাসক, বিভাগীয় কমিশনার, ডিআইজি ও র্যাব-১৩ এর কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করেছে। কর্মসূচির অংশ হিসেবে ৪ অক্টোবর সেনাক্যাম্প ইনচার্জের সাথে সাক্ষাৎ, ৫ ও ৬ অক্টোবর রাজনৈতিক দল, পেশাজীবী ও সুশীল সমাজের নেতাদের সাথে গণসংযোগ এবং ৭ অক্টোবর রংপুর প্রেসক্লাব চত্বরে বেলা ১১টায় সংহতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।