১০:১১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা আটক নিয়ে ঢাকায় জামায়াতের বিক্ষোভ

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেছেন, “ফিলিস্তিন যতদিন মুক্ত না হয়, স্বাধীন না হয়, আমরা ততদিন তাদের পাশে থাকবো। আমাদের সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে।”

শুক্রবার অনুষ্ঠিত এই সমাবেশটি আয়োজন করে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ। গাজায় ত্রাণবাহী আন্তর্জাতিক নৌবহর গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা ইসরায়েলি বাহিনী কর্তৃক আটকের প্রতিবাদেই এই কর্মসূচি হয়। ওই নৌবহরে প্রায় ৪০টিরও বেশি জাহাজ ছিল, যেগুলোতে খাদ্য, চিকিৎসা সামগ্রী ও মানবিক ত্রাণ ছিল গাজার ক্ষুধার্ত মানুষের জন্য। এতে বিশ্বের ৩৭টি দেশের ৪০০ জনেরও বেশি কর্মী, পার্লামেন্ট সদস্য, চিকিৎসক ও সাংবাদিক অংশ নিয়েছিলেন। সুইডিশ জলবায়ু আন্দোলনের কর্মী গ্রেটা থুনবার্গও ছিলেন এর মধ্যে।

রফিকুল ইসলাম খান তার বক্তব্যে বলেন, ইসরায়েল গাজায় ধারাবাহিক গণহত্যা চালাচ্ছে, যেখানে নারী-শিশুরা সবচেয়ে বেশি লক্ষ্যবস্তু হচ্ছে। তিনি বিশ্ব মুসলিম উম্মাহকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “শহীদের রক্তের বিনিময়েই ফিলিস্তিন স্বাধীনতা অর্জন করবে, ইনশাআল্লাহ।”

তিনি জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান, অবিলম্বে ইসরায়েলের আগ্রাসন বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে এবং আটক অধিকারকর্মীদের মুক্তি দিতে। একই সঙ্গে তিনি বাংলাদেশের সরকারের নিন্দা জ্ঞাপন ও মুক্তির দাবিকে স্বাগত জানান।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর উত্তর জামায়াতের আমীর মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন। এতে কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি স্পেন থেকে যাত্রা করা গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা ইতালি ও গ্রিস হয়ে গাজামুখী হয়। গাজা উপকূল থেকে প্রায় ১২০ কিলোমিটার দূরে আন্তর্জাতিক জলসীমায় ইসরায়েলি নৌবাহিনী নৌযানগুলো আটকে দেয় এবং যাত্রীদের গ্রেপ্তার করে। তুরস্ক এ ঘটনাকে “ইসরায়েলের জলদস্যুতা” আখ্যা দিয়ে নিন্দা জানিয়েছে। বাংলাদেশ সরকারও আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে সকল আটককৃতের অবিলম্বে মুক্তি দাবি করেছে।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও শহরে ইসরায়েলের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ছে

ট্যাগ

গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা আটক নিয়ে ঢাকায় জামায়াতের বিক্ষোভ

প্রকাশিত হয়েছে: ০৪:৫৫:৫৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ অক্টোবর ২০২৫

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেছেন, “ফিলিস্তিন যতদিন মুক্ত না হয়, স্বাধীন না হয়, আমরা ততদিন তাদের পাশে থাকবো। আমাদের সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে।”

শুক্রবার অনুষ্ঠিত এই সমাবেশটি আয়োজন করে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ। গাজায় ত্রাণবাহী আন্তর্জাতিক নৌবহর গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা ইসরায়েলি বাহিনী কর্তৃক আটকের প্রতিবাদেই এই কর্মসূচি হয়। ওই নৌবহরে প্রায় ৪০টিরও বেশি জাহাজ ছিল, যেগুলোতে খাদ্য, চিকিৎসা সামগ্রী ও মানবিক ত্রাণ ছিল গাজার ক্ষুধার্ত মানুষের জন্য। এতে বিশ্বের ৩৭টি দেশের ৪০০ জনেরও বেশি কর্মী, পার্লামেন্ট সদস্য, চিকিৎসক ও সাংবাদিক অংশ নিয়েছিলেন। সুইডিশ জলবায়ু আন্দোলনের কর্মী গ্রেটা থুনবার্গও ছিলেন এর মধ্যে।

রফিকুল ইসলাম খান তার বক্তব্যে বলেন, ইসরায়েল গাজায় ধারাবাহিক গণহত্যা চালাচ্ছে, যেখানে নারী-শিশুরা সবচেয়ে বেশি লক্ষ্যবস্তু হচ্ছে। তিনি বিশ্ব মুসলিম উম্মাহকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “শহীদের রক্তের বিনিময়েই ফিলিস্তিন স্বাধীনতা অর্জন করবে, ইনশাআল্লাহ।”

তিনি জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান, অবিলম্বে ইসরায়েলের আগ্রাসন বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে এবং আটক অধিকারকর্মীদের মুক্তি দিতে। একই সঙ্গে তিনি বাংলাদেশের সরকারের নিন্দা জ্ঞাপন ও মুক্তির দাবিকে স্বাগত জানান।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর উত্তর জামায়াতের আমীর মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন। এতে কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি স্পেন থেকে যাত্রা করা গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা ইতালি ও গ্রিস হয়ে গাজামুখী হয়। গাজা উপকূল থেকে প্রায় ১২০ কিলোমিটার দূরে আন্তর্জাতিক জলসীমায় ইসরায়েলি নৌবাহিনী নৌযানগুলো আটকে দেয় এবং যাত্রীদের গ্রেপ্তার করে। তুরস্ক এ ঘটনাকে “ইসরায়েলের জলদস্যুতা” আখ্যা দিয়ে নিন্দা জানিয়েছে। বাংলাদেশ সরকারও আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে সকল আটককৃতের অবিলম্বে মুক্তি দাবি করেছে।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও শহরে ইসরায়েলের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ছে