জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলো জনগণের সম্মতি নিশ্চিত করতে গণভোট আয়োজনের বিষয়ে একমত হলেও কখন ও কীভাবে গণভোট হবে, তা নিয়ে এখনো মতভিন্নতা রয়ে গেছে।
রোববার (৫ অক্টোবর) রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে চতুর্থ দিনের আলোচনায় এ অগ্রগতির কথা জানান কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তিনি বলেন, “জুলাই সনদ বাস্তবায়নে জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা জরুরি। জনগণের সম্মতির জন্য একটি গণভোট আয়োজনের ব্যাপারে সব রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে। আমরা এটিকে বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার প্রথম বড় পদক্ষেপ হিসেবে দেখছি।”
তবে গণভোটের সময়সূচি নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন প্রস্তাব দিয়েছে দলগুলো। বিএনপি বলেছে, সংসদ নির্বাচনের দিন আলাদা ব্যালটে গণভোট করতে হবে। অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামী চাইছে জাতীয় নির্বাচন ঘোষণার আগেই গণভোট অনুষ্ঠিত হোক। কোনো কোনো দল আবার এখনই আইনি ভিত্তি দেওয়ার দাবি তুলেছে।
আলোচনায় উপস্থিত রাজনৈতিক নেতারা জানান, বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে ৮০ শতাংশ বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে। বাকিগুলোতে কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে। এ বিষয়ে আগামী ৮ অক্টোবর আবারও বৈঠক হবে।
অধ্যাপক আলী রীয়াজ জানান, ১৫ অক্টোবরের মধ্যে সুপারিশ চূড়ান্ত করে সরকারের কাছে পেশ করার আশাবাদী কমিশন। ইতোমধ্যে আলোচনায় যুক্ত ৩০টি দলের মধ্যে তিন-চতুর্থাংশ প্রতিনিধির নাম সনদে স্বাক্ষরের জন্য পাঠানো হয়েছে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে সদস্য বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ইফতেখারুজ্জামান, বদিউল আলম মজুমদার, মো. আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার উপস্থিত ছিলেন।
রাজনৈতিক দলগুলো জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোটে একমত হলেও সময় ও প্রক্রিয়া নিয়ে এখনো মতভিন্নতা বিদ্যমান।
প্রকাশক ও সম্পাদক
© কপিরাইট সমাচার বিশ্ব ২০২৫ | আমাদের ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।