০৭:১৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সার উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম বাড়াতে আজ গণশুনানি

সার উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব নিয়ে আজ (সোমবার, ৬ অক্টোবর) গণশুনানি অনুষ্ঠিত হবে। রাজধানীর বিয়াম ল্যাবরেটরিতে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) এ শুনানির আয়োজন করেছে। এ শুনানিতে পেট্রোবাংলা ও বিভিন্ন গ্যাস সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রস্তাব উপস্থাপন করা হবে।

সরকার ইতোমধ্যে সার কারখানায় সরবরাহকৃত গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। বিইআরসি চূড়ান্ত অনুমোদন দিলে সার কারখানাগুলো নতুন দামে গ্যাস ব্যবহার করতে পারবে। সাধারণত গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব সব শ্রেণির জন্য একসঙ্গে করা হলেও এবারই প্রথম সার কারখানার জন্য আলাদা শ্রেণি হিসেবে প্রস্তাব জমা দেওয়া হয়েছে।

প্রস্তাবে বলা হয়েছে, বাড়তি দাম ছাড়া সার কারখানায় অতিরিক্ত গ্যাস সরবরাহ সম্ভব নয়। নতুন প্রস্তাব অনুযায়ী, সার কারখানার জন্য প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের দাম নির্ধারণ করা হতে পারে ২৪ টাকা, যা বর্তমানে ১৬ টাকা। অর্থাৎ, এক লাফে প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের দাম ৮ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।

পেট্রোবাংলা ও বিতরণ কোম্পানিগুলোর ব্যাখ্যা অনুযায়ী, গ্যাসের নতুন সংস্থান করতে হলে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি করতে হবে, যার ফলে বার্ষিক আর্থিক ব্যয় উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে। সেই অতিরিক্ত ব্যয় বহন করতে হবে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনকে (বিসিআইসি)।

জ্বালানি বিভাগ সূত্র জানায়, ২০১৯ সালে সার কারখানায় প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল ৪ টাকা ৪৫ পয়সা। পরবর্তীতে কয়েক দফায় দাম বাড়িয়ে বর্তমান ১৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়। তবে বিসিআইসি এখন পর্যন্ত বাড়তি গ্যাসের দাম পরিশোধ থেকে বিরত রয়েছে।

বিইআরসি সূত্র জানিয়েছে, গণশুনানিতে সংশ্লিষ্ট পক্ষ, বিশেষজ্ঞ এবং ভোক্তা প্রতিনিধিরা মতামত দেওয়ার সুযোগ পাবেন। শুনানিতে প্রাপ্ত মতামত বিবেচনা করে কমিশন সার শ্রেণির গ্যাসমূল্য সমন্বয়ের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।

ট্যাগ

সার উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম বাড়াতে আজ গণশুনানি

প্রকাশিত হয়েছে: ০৮:২২:১৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৬ অক্টোবর ২০২৫

সার উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব নিয়ে আজ (সোমবার, ৬ অক্টোবর) গণশুনানি অনুষ্ঠিত হবে। রাজধানীর বিয়াম ল্যাবরেটরিতে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) এ শুনানির আয়োজন করেছে। এ শুনানিতে পেট্রোবাংলা ও বিভিন্ন গ্যাস সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রস্তাব উপস্থাপন করা হবে।

সরকার ইতোমধ্যে সার কারখানায় সরবরাহকৃত গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। বিইআরসি চূড়ান্ত অনুমোদন দিলে সার কারখানাগুলো নতুন দামে গ্যাস ব্যবহার করতে পারবে। সাধারণত গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব সব শ্রেণির জন্য একসঙ্গে করা হলেও এবারই প্রথম সার কারখানার জন্য আলাদা শ্রেণি হিসেবে প্রস্তাব জমা দেওয়া হয়েছে।

প্রস্তাবে বলা হয়েছে, বাড়তি দাম ছাড়া সার কারখানায় অতিরিক্ত গ্যাস সরবরাহ সম্ভব নয়। নতুন প্রস্তাব অনুযায়ী, সার কারখানার জন্য প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের দাম নির্ধারণ করা হতে পারে ২৪ টাকা, যা বর্তমানে ১৬ টাকা। অর্থাৎ, এক লাফে প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের দাম ৮ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।

পেট্রোবাংলা ও বিতরণ কোম্পানিগুলোর ব্যাখ্যা অনুযায়ী, গ্যাসের নতুন সংস্থান করতে হলে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি করতে হবে, যার ফলে বার্ষিক আর্থিক ব্যয় উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে। সেই অতিরিক্ত ব্যয় বহন করতে হবে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনকে (বিসিআইসি)।

জ্বালানি বিভাগ সূত্র জানায়, ২০১৯ সালে সার কারখানায় প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল ৪ টাকা ৪৫ পয়সা। পরবর্তীতে কয়েক দফায় দাম বাড়িয়ে বর্তমান ১৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়। তবে বিসিআইসি এখন পর্যন্ত বাড়তি গ্যাসের দাম পরিশোধ থেকে বিরত রয়েছে।

বিইআরসি সূত্র জানিয়েছে, গণশুনানিতে সংশ্লিষ্ট পক্ষ, বিশেষজ্ঞ এবং ভোক্তা প্রতিনিধিরা মতামত দেওয়ার সুযোগ পাবেন। শুনানিতে প্রাপ্ত মতামত বিবেচনা করে কমিশন সার শ্রেণির গ্যাসমূল্য সমন্বয়ের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।