বনী ইসরাঈল—যারা একসময় আল্লাহর অনুগ্রহে সম্মানিত ও বরকতময় জাতি ছিল—তারা অবশেষে আল্লাহর অভিশাপ ও শাস্তির মুখোমুখি হয়। এর পেছনে ছিল তাদের একাধিক গুরুতর অপরাধ, অবাধ্যতা ও সীমালঙ্ঘন।

🔹 ১. সত্যকে অস্বীকার

বনী ইসরাঈল আল্লাহর প্রেরিত সত্যকে জেনেও তা অস্বীকার করত। নিজেদের স্বার্থে তারা সত্যকে গোপন করত এবং আল্লাহর বাণীর বিপরীতে মিথ্যাকে সমর্থন দিত।

🔹 ২. নবী–রাসুলদের অবাধ্যতা

আল্লাহ তাদের মাঝে বহু নবী প্রেরণ করেছিলেন, কিন্তু তারা তাদের অবাধ্য ছিল। কেউ কেউ নবীদের উপহাস করত, আবার কেউ তাদের হত্যা পর্যন্ত করেছিল।

🔹 ৩. অহংকার ও সীমালঙ্ঘন

তারা নিজেদের শ্রেষ্ঠ মনে করত এবং আল্লাহর বিধান উপেক্ষা করত। তাদের আচরণে অহংকার, আত্মপ্রশংসা ও সীমালঙ্ঘনের প্রবণতা ছিল প্রবল।

🔹 ৪. আল্লাহর অনুগ্রহের অপব্যবহার

আল্লাহ তাদেরকে বহু নেয়ামত দিয়েছিলেন—মান্না-সালওয়া, মুক্তি, জ্ঞান, রাজত্ব—কিন্তু তারা কৃতজ্ঞ না হয়ে ঐ নেয়ামতগুলোর অপব্যবহার করেছিল।

🔹 ৫. ঈসা (আঃ)-এর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ

তারা ঈসা (আঃ)-এর বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দিয়েছিল এবং গর্বভরে দাবি করেছিল যে তারা তাকে হত্যা করেছে। এই অমানবিক অপরাধও তাদের ওপর অভিশাপের কারণ হয়।

🔹 ৬. অবাধ্যতা ও বিদ্রোহ

আল্লাহর নির্দেশের প্রতি অবজ্ঞা, নবীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার, এবং নিজেদের ইচ্ছামতো শরিয়ত বিকৃতি—এসব তাদের বিদ্রোহী জাতিতে পরিণত করে।

📖 আল্লাহ বলেন:

“যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলদের অবাধ্যতা করেছে এবং সীমা লঙ্ঘন করেছে, তাদের প্রতি তিনি লা’নত করেছেন।”
— সূরা মায়িদা (৫:৭৮)