জ্বালানি সরবরাহে বিঘ্ন এড়াতে সরকারি ক্রয় প্রক্রিয়ার আওতায় সংগ্রহ

তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে গত সেপ্টেম্বর মাসে মোট ১০টি এলএনজি বোঝাই কার্গো বাংলাদেশে পৌঁছেছে। সরকারি ক্রয় প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবেই এই সরবরাহ সম্পন্ন হয়েছে বলে রোববার নিশ্চিত করেছেন জ্বালানি খাতের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

রাষ্ট্রায়ত্ত পেট্রোবাংলার পরিচালক এ. কে. এম. মিজানুর রহমান বলেন, বিদেশি এলএনজি উৎপাদনকারীদের সঙ্গে সরকারের দীর্ঘমেয়াদি ও স্বল্পমেয়াদি চুক্তি, পাশাপাশি অন-দ্য-স্পট ক্রয় নীতিমালা অনুযায়ী সেপ্টেম্বর মাসে এসব কার্গো গ্রহণ করা হয়েছে।

তিনি জানান, কাতার এনার্জি দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির আওতায় চারটি কার্গো সরবরাহ করেছে। ওমানের ওকিউ ট্রেডিং (OQT) সরবরাহ করেছে দুটি কার্গো— যার একটি দীর্ঘমেয়াদি এবং একটি স্বল্পমেয়াদি চুক্তির অংশ।

বাকি চারটি কার্গো স্পট মার্কেট থেকে ক্রয় করা হয়েছে, যাতে দেশে জ্বালানি সরবরাহে কোনো বিঘ্ন না ঘটে। এর আগে, আগস্ট মাসে সরকার ১১টি এলএনজি কার্গো আমদানি করেছিল, যার মোট পরিমাণ ছিল প্রায় ৩.৬৫ কোটি এমএমবিটিইউ (MMBtu)।

রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের (আরপিজিসিএল) মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মো. শাহ আলম বলেন, প্রতিটি কার্গোতে গড়ে ৩২ লাখ এমএমবিটিইউ এলএনজি থাকে।

সরকারের নিয়মিত প্রক্রিয়া অনুযায়ী, সাপ্তাহিক বৈঠকে দেশের তরল গ্যাসের চাহিদা পর্যালোচনা করে এলএনজি আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়।