
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নতুন সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম বুলবুল। সোমবার (৬ অক্টোবর) রাজধানীর একটি পাঁচতারকা হোটেলে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে পরিচালকদের ভোটে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তিনি সভাপতি নির্বাচিত হন। সহসভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন সাবেক ক্রিকেটার ফারুক আহমেদ ও শাখাওয়াত হোসেন।
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি নির্বাচিত বুলবুল
বিসিবির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নির্বাচনে এনএসসি কোটায় ২ জন এবং তিনটি ক্যাটাগরি থেকে মোট ২৩ জন পরিচালক নির্বাচিত হন। এরপর পরিচালকদের মধ্য থেকে সভাপতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতি পদে বুলবুল ছাড়া অন্য কোনো প্রার্থী না থাকায় তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।
ক্যাটাগরি–১ অর্থাৎ জেলা ও বিভাগ কোটায় নির্বাচিত হয়েছেন ১০ জন পরিচালক, ক্যাটাগরি–২ (ঢাকার ক্লাব কোটা) থেকে ১২ জন এবং ক্যাটাগরি–৩ (সাবেক ক্রিকেটার ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান) থেকে নির্বাচিত হয়েছেন একজন। এনএসসি কোটায় পরিচালক হয়েছেন এম ইসফাক আহসান ও ইয়াসির মোহাম্মদ ফয়সাল আশিক।
নির্বাচিত হওয়ার পর রাতেই সংবাদ সম্মেলনে বুলবুল জানান, বাংলাদেশের ক্রিকেট উন্নয়নের প্রেমেই তিনি দীর্ঘ মেয়াদে এই দায়িত্ব নিয়েছেন। তাঁর ভাষায়,
“এটাকে একটা জার্নির অংশ করে নিয়েছি। বাংলাদেশ ক্রিকেটের উন্নয়নের প্রেমে পড়ে গিয়েছি। হয়তো স্বল্প মেয়াদে এসেছিলাম, কিন্তু যখন ছোট ছোট সাফল্যগুলো দেখতে পেলাম, সেই লোভটা ছাড়তে পারিনি। এখন একটাই লক্ষ্য, বাংলাদেশ ক্রিকেটকে আরও এগিয়ে নেওয়া।”
আইসিসির চাকরি ছেড়ে বিসিবির দায়িত্ব নেওয়া এই সাবেক অধিনায়ক বলেন, জীবিকার চিন্তা নয়, এখন তাঁর একমাত্র ফোকাস ক্রিকেট, “চাকরিটা ছেড়ে এসেছি। এখন একটাই চিন্তা—বাংলাদেশ ক্রিকেটকে সার্ভিস দেওয়া।”
নির্বাচনকে ঘিরে নানা বিতর্ক, মনোনয়ন প্রত্যাহার ও কাদা–ছোড়াছুড়ির পরও বুলবুলের প্রথম বার্তা ছিল ঐক্যের। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন,
“আমরা সকলে একসঙ্গে কাজ করতে চাই। কেউ বোর্ডে আছেন, কেউ নেই—সবাইকে আহ্বান জানাব বাংলাদেশের ক্রিকেটে একসঙ্গে কাজ করার জন্য। প্রয়োজনে আমরা নিজেরাই তাদের কাছে যাব, কারণ বাংলাদেশ ক্রিকেট সবার।”
তাঁর সহসভাপতি ফারুক আহমেদও একই সুরে বলেন, “কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে, কিন্তু এখন আমাদের লক্ষ্য একটাই—বাংলাদেশ ক্রিকেটকে এগিয়ে নেওয়া। অতীত ভুলে আমরা একসঙ্গে কাজ করতে চাই।”