ইসরায়েলি সাংবাদিক বেন ক্যাসপিট ৭ অক্টোবরের হামলাকে ইসরায়েলের ইতিহাসে “সবচেয়ে কঠোর, সবচেয়ে বেদনাদায়ক এবং সবচেয়ে অপমানজনক পরাজয়” হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি স্পষ্টভাবে বলেন, “৭ অক্টোবর ইসরায়েলের পরাজয় তাদের ইতিহাসের সবচেয়ে কঠোর, সবচেয়ে বেদনাদায়ক এবং সবচেয়ে অপমানজনক পরাজয়। এমনকি আমাদের সবচেয়ে খারাপ দুঃস্বপ্নেও, আমরা কখনও কল্পনা করিনি যে আমাদের সাথে এমন কিছু ঘটতে পারে।”
এই বক্তব্য ইসরায়েলি সমাজে গভীর আলোচনার জন্ম দিয়েছে। কারণ, ওই দিন হামাসের আকস্মিক ও সমন্বিত আক্রমণে ইসরায়েলের সামরিক গোয়েন্দা ব্যবস্থা সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয়। দক্ষিণাঞ্চলের বহু সামরিক ঘাঁটি ও সীমান্ত পোস্ট ভেঙে পড়ে, শতাধিক সেনা ও বেসামরিক নাগরিক নিহত হন, এবং অনেককে বন্দী করে নিয়ে যায় হামাস যোদ্ধারা। এই অভূতপূর্ব ঘটনা ইসরায়েলের তথাকথিত “অপরাজেয় নিরাপত্তা ব্যবস্থার” ভেতরের ভঙ্গুরতা প্রকাশ করে দেয়।
বেন ক্যাসপিটের এই বক্তব্য কেবল এক সাংবাদিকের আবেগ নয়, বরং ইসরায়েলি সমাজের গভীর মানসিক ও রাজনৈতিক সংকটের প্রতিচ্ছবি।
৭ অক্টোবরের হামলার পর ইসরায়েলের নেতৃত্ব, বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন। যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হওয়ায় দেশজুড়ে জনঅসন্তোষ ও বিভাজন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বিশ্লেষকদের মতে, ক্যাসপিটের স্বীকারোক্তি ইঙ্গিত করছে—ইসরায়েল এখন এক “অস্তিত্ব সংকটের” মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, যেখানে তাদের নিরাপত্তা নীতি, গোয়েন্দা কাঠামো এবং রাজনৈতিক নেতৃত্ব—সবই প্রশ্নের মুখে। এই মন্তব্য একইসঙ্গে ইসরায়েলি গণমাধ্যমে এক নতুন বাস্তবতাবোধের প্রতিফলন, যেখানে তারা প্রথমবারের মতো নিজেদের ব্যর্থতাকে প্রকাশ্যে স্বীকার করছে।
প্রকাশক ও সম্পাদক
© কপিরাইট সমাচার বিশ্ব ২০২৫ | আমাদের ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।