০৪:৩০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৭ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গার্মেন্ট খাতে সংকট উত্তরণে জাতীয় উদ্যোগের আহ্বান ‘বি জি বি এ’ এর

বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পে সংকট, করণীয় প্রস্তাব করল বি জি বি এ

বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প দেশের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের প্রধান উৎসগুলোর একটি। এই খাতের ক্রেতা প্রতিনিধিদের স্বার্থ রক্ষা ও খাতটির সার্বিক উন্নয়নে বাংলাদেশ গার্মেন্ট বাইং হাউজ অ্যাসোসিয়েশন (বি জি বি এ) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। সংগঠনটি বর্তমানে এফবিসিসিআই-এর (FBCCI) Class-3 সদস্যপদপ্রাপ্ত একটি জাতীয় ট্রেড বডি।

২০২৩ সালের মধ্যে সংগঠনটির নিবন্ধিত সদস্য সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ১,৫০০ এরও বেশি। বাইং হাউজগুলো তৈরি পোশাক উৎপাদক ও আন্তর্জাতিক ক্রেতার মধ্যে সেতুবন্ধনের কাজ করে থাকে। সংগঠনের লক্ষ্য— বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি বৃদ্ধি, নতুন বাজার সৃষ্টি, ক্রেতা আস্থা অর্জন, এবং উৎপাদকদের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে বৈদেশিক আয় বাড়ানো।

বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের অবস্থান

বর্তমানে বাংলাদেশ চীনের পর বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক দেশ।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৪৮.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা আগের বছরের তুলনায় সামান্য বৃদ্ধি পেয়েছে।

তবে বৈশ্বিক বাজারে প্রতিযোগিতা দ্রুত বাড়ছে। ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া, ভারত ও শ্রীলঙ্কা নিজেদের অবস্থান শক্ত করছে। আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশের অংশীদারিত্ব এখন প্রায় ৬.৯%, যেখানে চীনের অংশ ৩২.৪%।

বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের অবস্থান

বর্তমানে বাংলাদেশ চীনের পর বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক দেশ।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৪৮.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা আগের বছরের তুলনায় সামান্য বৃদ্ধি পেয়েছে।

তবে বৈশ্বিক বাজারে প্রতিযোগিতা দ্রুত বাড়ছে। ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া, ভারত ও শ্রীলঙ্কা নিজেদের অবস্থান শক্ত করছে। আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশের অংশীদারিত্ব এখন প্রায় ৬.৯%, যেখানে চীনের অংশ ৩২.৪%।

🧭 সংকট উত্তরণে বি জি বি এ’ এর প্রস্তাব

বি জি বি এ মনে করে, রপ্তানি খাতকে টিকিয়ে রাখতে সরকারের তাৎক্ষণিক ও কাঠামোগত পদক্ষেপ জরুরি। সংগঠনটি নিম্নলিখিত প্রস্তাব দিয়েছে—

1️⃣ বাইং হাউজ খাতের নিয়মিত ও কার্যকর মনিটরিং কার্যক্রম নিশ্চিত করা।
2️⃣ রপ্তানি নীতিতে বাইং হাউজ খাতের প্রাতিষ্ঠানিক অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করা।
3️⃣ ব্যাংকিং নীতিমালা পুনর্বিবেচনা করে L/C প্রক্রিয়া সহজ করা।
4️⃣ ডিজিটাল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ও Man Made Fiber ব্যবহারের মাধ্যমে প্রযুক্তি-নির্ভর উৎপাদন বৃদ্ধি।
5️⃣ বিদ্যুৎ, গ্যাস ও কাঁচামালের সরবরাহ নিশ্চিতে সরকারি পদক্ষেপ।
6️⃣ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (EPB)–এর মাধ্যমে বাইং হাউজ প্রতিনিধিদের প্রশিক্ষণ ও সক্ষমতা বৃদ্ধি।
7️⃣ বাইং হাউজের জন্য কর সুবিধা ও প্রণোদনা প্রদান।
8️⃣ দ্রুত নিবন্ধন প্রক্রিয়া ও সরকারি স্বীকৃতি নিশ্চিত করা।

🗣 সরকারের প্রতি বি জি বি এ ’ এর আহ্বান:

বিজি বি এ বলেছে, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি শিল্প কেবল অর্থনীতির নয়, লাখ লাখ মানুষের জীবিকা ও জাতীয় স্থিতিশীলতার ভিত্তি।
তাই এই সংকট মোকাবিলায় সরকারের আন্তরিক সহায়তা প্রয়োজন।  বি জি বি এ’ এর আহ্বান:
“দেশের তৈরি পোশাক শিল্প ও বাইং হাউজ খাত টিকিয়ে রাখতে সরকারি সহায়তা অপরিহার্য। সংবাদকর্মীরা যেন বিশ্লেষণধর্মী প্রতিবেদন তৈরি করে নীতিনির্ধারকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন— এই আমাদের কামনা।”

শেষে সংগঠনটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে— “দেশের তৈরি পোশাক শিল্পের বিকাশ ও রপ্তানি টিকিয়ে রাখতে সকলের সম্মিলিত সহযোগিতা প্রয়োজন।


ট্যাগ

গার্মেন্ট খাতে সংকট উত্তরণে জাতীয় উদ্যোগের আহ্বান ‘বি জি বি এ’ এর

প্রকাশিত হয়েছে: ০৩:০৬:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫

বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পে সংকট, করণীয় প্রস্তাব করল বি জি বি এ

বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প দেশের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের প্রধান উৎসগুলোর একটি। এই খাতের ক্রেতা প্রতিনিধিদের স্বার্থ রক্ষা ও খাতটির সার্বিক উন্নয়নে বাংলাদেশ গার্মেন্ট বাইং হাউজ অ্যাসোসিয়েশন (বি জি বি এ) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। সংগঠনটি বর্তমানে এফবিসিসিআই-এর (FBCCI) Class-3 সদস্যপদপ্রাপ্ত একটি জাতীয় ট্রেড বডি।

২০২৩ সালের মধ্যে সংগঠনটির নিবন্ধিত সদস্য সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ১,৫০০ এরও বেশি। বাইং হাউজগুলো তৈরি পোশাক উৎপাদক ও আন্তর্জাতিক ক্রেতার মধ্যে সেতুবন্ধনের কাজ করে থাকে। সংগঠনের লক্ষ্য— বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি বৃদ্ধি, নতুন বাজার সৃষ্টি, ক্রেতা আস্থা অর্জন, এবং উৎপাদকদের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে বৈদেশিক আয় বাড়ানো।

বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের অবস্থান

বর্তমানে বাংলাদেশ চীনের পর বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক দেশ।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৪৮.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা আগের বছরের তুলনায় সামান্য বৃদ্ধি পেয়েছে।

তবে বৈশ্বিক বাজারে প্রতিযোগিতা দ্রুত বাড়ছে। ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া, ভারত ও শ্রীলঙ্কা নিজেদের অবস্থান শক্ত করছে। আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশের অংশীদারিত্ব এখন প্রায় ৬.৯%, যেখানে চীনের অংশ ৩২.৪%।

বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের অবস্থান

বর্তমানে বাংলাদেশ চীনের পর বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক দেশ।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৪৮.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা আগের বছরের তুলনায় সামান্য বৃদ্ধি পেয়েছে।

তবে বৈশ্বিক বাজারে প্রতিযোগিতা দ্রুত বাড়ছে। ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া, ভারত ও শ্রীলঙ্কা নিজেদের অবস্থান শক্ত করছে। আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশের অংশীদারিত্ব এখন প্রায় ৬.৯%, যেখানে চীনের অংশ ৩২.৪%।

🧭 সংকট উত্তরণে বি জি বি এ’ এর প্রস্তাব

বি জি বি এ মনে করে, রপ্তানি খাতকে টিকিয়ে রাখতে সরকারের তাৎক্ষণিক ও কাঠামোগত পদক্ষেপ জরুরি। সংগঠনটি নিম্নলিখিত প্রস্তাব দিয়েছে—

1️⃣ বাইং হাউজ খাতের নিয়মিত ও কার্যকর মনিটরিং কার্যক্রম নিশ্চিত করা।
2️⃣ রপ্তানি নীতিতে বাইং হাউজ খাতের প্রাতিষ্ঠানিক অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করা।
3️⃣ ব্যাংকিং নীতিমালা পুনর্বিবেচনা করে L/C প্রক্রিয়া সহজ করা।
4️⃣ ডিজিটাল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ও Man Made Fiber ব্যবহারের মাধ্যমে প্রযুক্তি-নির্ভর উৎপাদন বৃদ্ধি।
5️⃣ বিদ্যুৎ, গ্যাস ও কাঁচামালের সরবরাহ নিশ্চিতে সরকারি পদক্ষেপ।
6️⃣ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (EPB)–এর মাধ্যমে বাইং হাউজ প্রতিনিধিদের প্রশিক্ষণ ও সক্ষমতা বৃদ্ধি।
7️⃣ বাইং হাউজের জন্য কর সুবিধা ও প্রণোদনা প্রদান।
8️⃣ দ্রুত নিবন্ধন প্রক্রিয়া ও সরকারি স্বীকৃতি নিশ্চিত করা।

🗣 সরকারের প্রতি বি জি বি এ ’ এর আহ্বান:

বিজি বি এ বলেছে, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি শিল্প কেবল অর্থনীতির নয়, লাখ লাখ মানুষের জীবিকা ও জাতীয় স্থিতিশীলতার ভিত্তি।
তাই এই সংকট মোকাবিলায় সরকারের আন্তরিক সহায়তা প্রয়োজন।  বি জি বি এ’ এর আহ্বান:
“দেশের তৈরি পোশাক শিল্প ও বাইং হাউজ খাত টিকিয়ে রাখতে সরকারি সহায়তা অপরিহার্য। সংবাদকর্মীরা যেন বিশ্লেষণধর্মী প্রতিবেদন তৈরি করে নীতিনির্ধারকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন— এই আমাদের কামনা।”

শেষে সংগঠনটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে— “দেশের তৈরি পোশাক শিল্পের বিকাশ ও রপ্তানি টিকিয়ে রাখতে সকলের সম্মিলিত সহযোগিতা প্রয়োজন।