০১:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সাইয়েদুল ইস্তেগফার : সর্বশ্রেষ্ঠ ক্ষমা প্রার্থনার দোয়া

ইসলাম ধর্মে ইস্তেগফার (ক্ষমা প্রার্থনা) আল্লাহর নিকট বান্দার ফিরে যাওয়ার অন্যতম শ্রেষ্ঠ আমল হিসেবে বিবেচিত। কুরআন ও হাদীস উভয় উৎসেই ইস্তেগফারের গুরুত্ব এবং এর অফুরন্ত ফজীলতের কথা স্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে। বিশেষত, নবী করিম ﷺ যে দোয়াটিকে “সাইয়েদুল ইস্তেগফার” বা “ক্ষমা প্রার্থনার সেরা দোয়া” বলে বর্ণনা করেছেন, তা জান্নাতপ্রাপ্তির নিশ্চয়তা বহন করে।

ইস্তেগফার শুধু পাপ মোচনের উপায় নয়; বরং এটি দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণের চাবিকাঠি।
আল্লাহ তাআলা বলেন—“অতএব আমি বলেছিলাম, তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করো, নিশ্চয়ই তিনি অতিশয় ক্ষমাশীল।”— (সূরা নূহ ৭১:১০)

এরপর তিনি আরও বলেন—“তিনি তোমাদের জন্য আকাশ থেকে বৃষ্টি বর্ষণ করবেন, সম্পদ ও সন্তান দান করবেন এবং উদ্যান ও নদী প্রবাহিত করবেন।”— (সূরা নূহ ৭১:১১–১২)

অর্থাৎ, ইস্তেগফার রিজিক, সন্তান এবং শান্তির পথ উন্মুক্ত করে।

নবী ইব্রাহিম (আ.) নিজের ও তাঁর পিতার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেছিলেন (সূরা ইবরাহিম ১৪:৪১)
আর রাসূলুল্লাহ ﷺ প্রতিদিন ৭০ থেকে ১০০ বার পর্যন্ত ইস্তেগফার করতেন (সহীহ বুখারী, হাদীস ৬৩০৭)

নবী করিম ﷺ বলেছেন– যে ব্যক্তি দিনে দৃঢ় বিশ্বাস নিয়ে এটি পাঠ করবে এবং সন্ধ্যার আগে মারা যাবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে; আর যে রাতে পাঠ করবে এবং ভোরের আগে মারা যাবে, সেও জান্নাতে প্রবেশ করবে।”(সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৬৩০৬)

রাসূলুল্লাহ ﷺ  অন্য হাদীসে বলেছেন —“যে ব্যক্তি নিয়মিত ইস্তেগফার করে, আল্লাহ তার জন্য প্রত্যেক সংকট থেকে মুক্তির পথ করে দেন, প্রত্যেক দুশ্চিন্তা দূর করেন এবং অপ্রত্যাশিত স্থান থেকে রিজিক দান করেন।”— (সুনান আবু দাউদ ১৫১৮; ইবন মাজাহ ৩৮১৯)

সাইয়েদুল ইস্তেগফার শুধু একটি দোয়া নয়, এটি একটি পূর্ণাঙ্গ তওবার রূপ। এতে রয়েছে ঈমান, দাসত্ব, কৃতজ্ঞতা, পাপ স্বীকার এবং ক্ষমা প্রার্থনার সমন্বয়। যে ব্যক্তি এই দোয়াটি আন্তরিকতা ও দৃঢ় বিশ্বাস নিয়ে নিয়মিত পাঠ করবে, আল্লাহ তাআলা তাঁর অতীতের পাপ ক্ষমা করবেন এবং জান্নাতের যোগ্য করবেন — এমনই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রিয় নবী ﷺ।

শিক্ষা ভবনের সামনে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

সাইয়েদুল ইস্তেগফার : সর্বশ্রেষ্ঠ ক্ষমা প্রার্থনার দোয়া

প্রকাশিত হয়েছে: ১০:১২:১০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫

ইসলাম ধর্মে ইস্তেগফার (ক্ষমা প্রার্থনা) আল্লাহর নিকট বান্দার ফিরে যাওয়ার অন্যতম শ্রেষ্ঠ আমল হিসেবে বিবেচিত। কুরআন ও হাদীস উভয় উৎসেই ইস্তেগফারের গুরুত্ব এবং এর অফুরন্ত ফজীলতের কথা স্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে। বিশেষত, নবী করিম ﷺ যে দোয়াটিকে “সাইয়েদুল ইস্তেগফার” বা “ক্ষমা প্রার্থনার সেরা দোয়া” বলে বর্ণনা করেছেন, তা জান্নাতপ্রাপ্তির নিশ্চয়তা বহন করে।

ইস্তেগফার শুধু পাপ মোচনের উপায় নয়; বরং এটি দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণের চাবিকাঠি।
আল্লাহ তাআলা বলেন—“অতএব আমি বলেছিলাম, তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করো, নিশ্চয়ই তিনি অতিশয় ক্ষমাশীল।”— (সূরা নূহ ৭১:১০)

এরপর তিনি আরও বলেন—“তিনি তোমাদের জন্য আকাশ থেকে বৃষ্টি বর্ষণ করবেন, সম্পদ ও সন্তান দান করবেন এবং উদ্যান ও নদী প্রবাহিত করবেন।”— (সূরা নূহ ৭১:১১–১২)

অর্থাৎ, ইস্তেগফার রিজিক, সন্তান এবং শান্তির পথ উন্মুক্ত করে।

নবী ইব্রাহিম (আ.) নিজের ও তাঁর পিতার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেছিলেন (সূরা ইবরাহিম ১৪:৪১)
আর রাসূলুল্লাহ ﷺ প্রতিদিন ৭০ থেকে ১০০ বার পর্যন্ত ইস্তেগফার করতেন (সহীহ বুখারী, হাদীস ৬৩০৭)

নবী করিম ﷺ বলেছেন– যে ব্যক্তি দিনে দৃঢ় বিশ্বাস নিয়ে এটি পাঠ করবে এবং সন্ধ্যার আগে মারা যাবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে; আর যে রাতে পাঠ করবে এবং ভোরের আগে মারা যাবে, সেও জান্নাতে প্রবেশ করবে।”(সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৬৩০৬)

রাসূলুল্লাহ ﷺ  অন্য হাদীসে বলেছেন —“যে ব্যক্তি নিয়মিত ইস্তেগফার করে, আল্লাহ তার জন্য প্রত্যেক সংকট থেকে মুক্তির পথ করে দেন, প্রত্যেক দুশ্চিন্তা দূর করেন এবং অপ্রত্যাশিত স্থান থেকে রিজিক দান করেন।”— (সুনান আবু দাউদ ১৫১৮; ইবন মাজাহ ৩৮১৯)

সাইয়েদুল ইস্তেগফার শুধু একটি দোয়া নয়, এটি একটি পূর্ণাঙ্গ তওবার রূপ। এতে রয়েছে ঈমান, দাসত্ব, কৃতজ্ঞতা, পাপ স্বীকার এবং ক্ষমা প্রার্থনার সমন্বয়। যে ব্যক্তি এই দোয়াটি আন্তরিকতা ও দৃঢ় বিশ্বাস নিয়ে নিয়মিত পাঠ করবে, আল্লাহ তাআলা তাঁর অতীতের পাপ ক্ষমা করবেন এবং জান্নাতের যোগ্য করবেন — এমনই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রিয় নবী ﷺ।