০৫:৪৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ট্রাম্পের ভাষণের সময় ইসরায়েলি পার্লামেন্টে হট্টগোল

ইসরায়েলের পার্লামেন্ট নেসেটে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভাষণ চলাকালে হট্টগোলের ঘটনা ঘটেছে। কয়েকজন সংসদ সদস্যের প্রতিবাদের মুখে মার্কিন প্রেসিডেন্টের ভাষণ কিছু সময়ের জন্য থেমে যায়।

 ট্রাম্প যখন নেসেটে বক্তৃতা দিচ্ছিলেন, তখন বিরোধীদলীয় এক সংসদ সদস্য আকস্মিকভাবে উঠে দাঁড়িয়ে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবিতে একটি কাগজ উঁচিয়ে ধরেন। সেই কাগজে লেখা ছিল— “ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিন”।

ঘটনার পর পার্লামেন্টে বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়ে। নেসেটের স্পিকার আমির ওহানা দ্রুত সংসদ সদস্যদের শান্ত থাকার আহ্বান জানান এবং ওই প্রতিবাদী সদস্যকে কক্ষ থেকে বের করে দেওয়ার নির্দেশ দেন। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ওই সময় দুজন সংসদ সদস্যকে সংসদ কক্ষ থেকে বের করে দেওয়া হয়। যদিও স্পিকার কার নাম উচ্চারণ করেছিলেন, তা স্পষ্ট নয়।

কিছুক্ষণ বিরতির পর ট্রাম্প হাস্যরসের সুরে বলেন, “ওটা ছিল খুবই কার্যকর ব্যবস্থা।” এরপর তিনি তার বক্তৃতা পুনরায় শুরু করেন।

নিজের বক্তব্যে ট্রাম্প বলেন, “এটি নতুন মধ্যপ্রাচ্যের ঐতিহাসিক ভোর।” তিনি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর প্রশংসা করে বলেন, “প্রধানমন্ত্রী একজন অসাধারণ সাহসী মানুষ।” এ সময় সংসদ সদস্যদের অনেকে নেতানিয়াহুর ডাকনাম “বিবি” উচ্চারণ করে স্লোগান দিতে থাকেন।

ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখায় আরব বিশ্বের দেশগুলোর প্রশংসা করেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, “এটি এক অবিশ্বাস্য সাফল্য। তারা একসঙ্গে কাজ করেছে।”

ট্রাম্প আরও বলেন, “এখন এটি হবে ইসরায়েলের স্বর্ণযুগ — এবং একই সঙ্গে পুরো অঞ্চলেরও স্বর্ণযুগ।”

ইসরায়েলে আটক জিম্মিদের মুক্তির প্রসঙ্গে তিনি জানান, “দীর্ঘ দুই বছরের অন্ধকার ও বন্দিদশার পর ২০ জন সাহসী জিম্মি পরিবারের কাছে ফিরে এসেছেন। আরও ২৮ জনকে এই পবিত্র ভূমিতে চিরনিদ্রার জন্য ফিরিয়ে আনা হয়েছে।”

শেষে ট্রাম্প বলেন, “বন্দুক এখন থেমে গেছে। অঞ্চলটি এখন শান্তিতে রয়েছে — এবং আমরা চাই এই শান্তি যেন অনন্তকাল স্থায়ী হয়।”

ট্যাগ

ট্রাম্পের ভাষণের সময় ইসরায়েলি পার্লামেন্টে হট্টগোল

প্রকাশিত হয়েছে: ১১:৫৯:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫

ইসরায়েলের পার্লামেন্ট নেসেটে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভাষণ চলাকালে হট্টগোলের ঘটনা ঘটেছে। কয়েকজন সংসদ সদস্যের প্রতিবাদের মুখে মার্কিন প্রেসিডেন্টের ভাষণ কিছু সময়ের জন্য থেমে যায়।

 ট্রাম্প যখন নেসেটে বক্তৃতা দিচ্ছিলেন, তখন বিরোধীদলীয় এক সংসদ সদস্য আকস্মিকভাবে উঠে দাঁড়িয়ে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবিতে একটি কাগজ উঁচিয়ে ধরেন। সেই কাগজে লেখা ছিল— “ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিন”।

ঘটনার পর পার্লামেন্টে বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়ে। নেসেটের স্পিকার আমির ওহানা দ্রুত সংসদ সদস্যদের শান্ত থাকার আহ্বান জানান এবং ওই প্রতিবাদী সদস্যকে কক্ষ থেকে বের করে দেওয়ার নির্দেশ দেন। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ওই সময় দুজন সংসদ সদস্যকে সংসদ কক্ষ থেকে বের করে দেওয়া হয়। যদিও স্পিকার কার নাম উচ্চারণ করেছিলেন, তা স্পষ্ট নয়।

কিছুক্ষণ বিরতির পর ট্রাম্প হাস্যরসের সুরে বলেন, “ওটা ছিল খুবই কার্যকর ব্যবস্থা।” এরপর তিনি তার বক্তৃতা পুনরায় শুরু করেন।

নিজের বক্তব্যে ট্রাম্প বলেন, “এটি নতুন মধ্যপ্রাচ্যের ঐতিহাসিক ভোর।” তিনি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর প্রশংসা করে বলেন, “প্রধানমন্ত্রী একজন অসাধারণ সাহসী মানুষ।” এ সময় সংসদ সদস্যদের অনেকে নেতানিয়াহুর ডাকনাম “বিবি” উচ্চারণ করে স্লোগান দিতে থাকেন।

ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখায় আরব বিশ্বের দেশগুলোর প্রশংসা করেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, “এটি এক অবিশ্বাস্য সাফল্য। তারা একসঙ্গে কাজ করেছে।”

ট্রাম্প আরও বলেন, “এখন এটি হবে ইসরায়েলের স্বর্ণযুগ — এবং একই সঙ্গে পুরো অঞ্চলেরও স্বর্ণযুগ।”

ইসরায়েলে আটক জিম্মিদের মুক্তির প্রসঙ্গে তিনি জানান, “দীর্ঘ দুই বছরের অন্ধকার ও বন্দিদশার পর ২০ জন সাহসী জিম্মি পরিবারের কাছে ফিরে এসেছেন। আরও ২৮ জনকে এই পবিত্র ভূমিতে চিরনিদ্রার জন্য ফিরিয়ে আনা হয়েছে।”

শেষে ট্রাম্প বলেন, “বন্দুক এখন থেমে গেছে। অঞ্চলটি এখন শান্তিতে রয়েছে — এবং আমরা চাই এই শান্তি যেন অনন্তকাল স্থায়ী হয়।”