০৮:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রূপ-অভিনয়-আকর্ষণে ভরপুর নব্বইয়ের সোনালি নায়িকারা

নব্বইয়ের দশক ছিল বলিউডের সোনালি যুগ। রোমান্টিক গান, ক্লাসিক সিনেমা, আর মায়াবী নায়িকাদের সৌন্দর্যে ভরে উঠেছিল পুরো সময়টা। সেই দশকে এমন কিছু নারী ছিলেন, যাদের হাসি, চোখের চাহনি আর অভিনয় এক প্রজন্মের হৃদয়ে অমর হয়ে গেছে।

প্রথমেই আসবে মাধুরী দীক্ষিতের নাম। তার হাসি, নাচ, চোখের ভাষা—সবকিছুতেই ছিল এক অন্যরকম যাদু। ‘ধক ধক গার্ল’ নামে পরিচিত মাধুরী ছিলেন নব্বইয়ের প্রেমের প্রতীক। এরপর জুহি চাওলা, যার প্রাণবন্ত হাসি আর স্বতঃস্ফূর্ত অভিনয় কোটি দর্শকের মন জয় করেছিল।

কাজলের নাম এলেই মনে পড়ে ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’-এর সিমরন। তার সহজাত অভিনয়, চঞ্চল চোখ আর গভীর অনুভূতি তাকে বানিয়েছে এক প্রজন্মের চিরকালীন প্রিয় মুখ। কারিশ্মা কাপুর ছিলেন নব্বইয়ের ফ্যাশন আইকন। তার নাচ, স্টাইল ও শক্তিশালী চরিত্র একে একে তৈরি করেছে নতুন ধারার নায়িকা ভাবমূর্তি।

ঐশ্বরিয়া রায় ছিলেন সেই সময়ের রূপকথার নায়িকা—মিস ওয়ার্ল্ড খেতাব জয় করে তিনি পুরো ভারতকেই গর্বিত করেছিলেন। তার চোখের মায়া ও পরিমিত সৌন্দর্য তাকে বানায় আন্তর্জাতিক তারকা। রানি মুখার্জির গভীর কণ্ঠ আর সংবেদনশীল চরিত্র নব্বইয়ের সিনেমায় এনেছিল নতুন মাত্রা।

সুষমিতা সেন ছিলেন আত্মবিশ্বাস ও মর্যাদার প্রতীক। মিস ইউনিভার্স জয়ের পর তার প্রতিটি চরিত্রে ফুটে উঠেছে বুদ্ধিমত্তা আর সাহস। প্রীতি জিনতা—তার প্রাণবন্ত হাসি ও বাচাল চরিত্র নব্বইয়ের শেষ দিকের তরুণদের কাছে হয়ে উঠেছিল আদর্শ ক্রাশ।

রবিনা ট্যান্ডনের কথা না বললেই নয়। ‘তিপ তিপ বরসা পানি’ গানটি যেন নব্বইয়ের প্রজন্মের রোমান্টিকতার প্রতীক হয়ে আছে। আর সোনালী বেন্দ্রে—তার মোলায়েম চেহারা, শান্ত সৌন্দর্য আর সরল হাসি ছিল হৃদয় কাঁপানো।

এই ১০ নারী শুধু সিনেমা নয়, এক যুগের আবেগ, ভালোবাসা ও নস্টালজিয়ার অংশ হয়ে আছেন। নব্বইয়ের দশক মানেই ছিল তাদের পর্দায় দেখা, পোস্টারে মুখ খোঁজা, আর মনের গভীরে এক অজানা মুগ্ধতার অনুভব। এখনো তারা সেই সময়ের সৌন্দর্য ও তারুণ্যের প্রতীক হয়ে আছেন লক্ষ দর্শকের হৃদয়ে।

ট্যাগ
জনপ্রিয় সংবাদ

রূপ-অভিনয়-আকর্ষণে ভরপুর নব্বইয়ের সোনালি নায়িকারা

প্রকাশিত হয়েছে: ০১:০৫:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫

নব্বইয়ের দশক ছিল বলিউডের সোনালি যুগ। রোমান্টিক গান, ক্লাসিক সিনেমা, আর মায়াবী নায়িকাদের সৌন্দর্যে ভরে উঠেছিল পুরো সময়টা। সেই দশকে এমন কিছু নারী ছিলেন, যাদের হাসি, চোখের চাহনি আর অভিনয় এক প্রজন্মের হৃদয়ে অমর হয়ে গেছে।

প্রথমেই আসবে মাধুরী দীক্ষিতের নাম। তার হাসি, নাচ, চোখের ভাষা—সবকিছুতেই ছিল এক অন্যরকম যাদু। ‘ধক ধক গার্ল’ নামে পরিচিত মাধুরী ছিলেন নব্বইয়ের প্রেমের প্রতীক। এরপর জুহি চাওলা, যার প্রাণবন্ত হাসি আর স্বতঃস্ফূর্ত অভিনয় কোটি দর্শকের মন জয় করেছিল।

কাজলের নাম এলেই মনে পড়ে ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’-এর সিমরন। তার সহজাত অভিনয়, চঞ্চল চোখ আর গভীর অনুভূতি তাকে বানিয়েছে এক প্রজন্মের চিরকালীন প্রিয় মুখ। কারিশ্মা কাপুর ছিলেন নব্বইয়ের ফ্যাশন আইকন। তার নাচ, স্টাইল ও শক্তিশালী চরিত্র একে একে তৈরি করেছে নতুন ধারার নায়িকা ভাবমূর্তি।

ঐশ্বরিয়া রায় ছিলেন সেই সময়ের রূপকথার নায়িকা—মিস ওয়ার্ল্ড খেতাব জয় করে তিনি পুরো ভারতকেই গর্বিত করেছিলেন। তার চোখের মায়া ও পরিমিত সৌন্দর্য তাকে বানায় আন্তর্জাতিক তারকা। রানি মুখার্জির গভীর কণ্ঠ আর সংবেদনশীল চরিত্র নব্বইয়ের সিনেমায় এনেছিল নতুন মাত্রা।

সুষমিতা সেন ছিলেন আত্মবিশ্বাস ও মর্যাদার প্রতীক। মিস ইউনিভার্স জয়ের পর তার প্রতিটি চরিত্রে ফুটে উঠেছে বুদ্ধিমত্তা আর সাহস। প্রীতি জিনতা—তার প্রাণবন্ত হাসি ও বাচাল চরিত্র নব্বইয়ের শেষ দিকের তরুণদের কাছে হয়ে উঠেছিল আদর্শ ক্রাশ।

রবিনা ট্যান্ডনের কথা না বললেই নয়। ‘তিপ তিপ বরসা পানি’ গানটি যেন নব্বইয়ের প্রজন্মের রোমান্টিকতার প্রতীক হয়ে আছে। আর সোনালী বেন্দ্রে—তার মোলায়েম চেহারা, শান্ত সৌন্দর্য আর সরল হাসি ছিল হৃদয় কাঁপানো।

এই ১০ নারী শুধু সিনেমা নয়, এক যুগের আবেগ, ভালোবাসা ও নস্টালজিয়ার অংশ হয়ে আছেন। নব্বইয়ের দশক মানেই ছিল তাদের পর্দায় দেখা, পোস্টারে মুখ খোঁজা, আর মনের গভীরে এক অজানা মুগ্ধতার অনুভব। এখনো তারা সেই সময়ের সৌন্দর্য ও তারুণ্যের প্রতীক হয়ে আছেন লক্ষ দর্শকের হৃদয়ে।