০৩:১৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ৩০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আল্লাহর ওপর ভরসার শ্রেষ্ঠ বাক্য

লা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ - 1

মানবজীবনের প্রতিটি ক্লেশ, অক্ষমতা ও পরিবর্তনের মুহূর্তে মুসলমানরা উচ্চারণ করে — (লা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ)। এই সংক্ষিপ্ত দোয়াটি শুধু মুখের উচ্চারণ নয়, এটি এক গভীর ঈমানি ঘোষণা — যে, মানুষের শক্তি বা ক্ষমতা কিছুই নয়, সমস্ত শক্তি ও সামর্থ্যের উৎস কেবল আল্লাহ তাআলা।

আরবি বাক্যটির অর্থ—“আল্লাহর সাহায্য ছাড়া (পাপ থেকে বিরত থাকা ও সৎকাজ করার) কোনো শক্তি ও সামর্থ্য নেই।

এই দোয়াটি মানুষকে শেখায় যে, জীবনের প্রতিটি কাজে সফলতার জন্য আল্লাহর সাহায্য অপরিহার্য। এটি মুমিনের মুখে একটি ধ্যানের মতো, যা তাকে বিনয়ী ও আল্লাহনির্ভর করে তোলে।

যদিও এই নির্দিষ্ট বাক্যটি সরাসরি কোনো আয়াতে উল্লেখ নেই, তবে এর ভাবার্থ বারবার এসেছে কোরআনের বিভিন্ন স্থানে।
আল্লাহ তাআলা বলেন —”আর যে আল্লাহর ওপর ভরসা করে, তিনি তার জন্য যথেষ্ট।”
(সূরা আত-তালাক, আয়াত ৩)

আল্লাহ তাআলা আরও বলেন —”তোমরা যদি আল্লাহর সাহায্য চাও, তবে তিনি তোমাদের সাহায্য করবেন এবং তোমাদের পদ দৃঢ় করবেন।”—(সূরা মুহাম্মদ, আয়াত ৭)

এই আয়াতগুলো স্পষ্ট করে দেয় যে, মানুষ যতই চেষ্টা করুক, প্রকৃত শক্তি ও পরিবর্তনের ক্ষমতা একমাত্র আল্লাহর কাছেই।

রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন —“লা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ “–হলো জান্নাতের গুপ্ত ধনভাণ্ডারের একটি ধন।”—(সহিহ বুখারী, হাদীস: ৬৩৮৪; সহিহ মুসলিম, হাদীস: ২৬৮০)

আরেক হাদীসে এসেছে —যে ব্যক্তি ‘লা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ “ বলে, তার ৯৯টি দুঃখ দূর হয়, এর মধ্যে অন্তত একটি দুঃখ হলো উদ্বেগ।”—(মুসনাদ আহমাদ, হাদীস: ২৩১৪৭)

ইসলামী চিন্তাবিদরা বলেন,–“লা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ শুধু দোয়া নয়, এটি এক ধরণের আত্মনিবেদন — যেখানে মানুষ নিজের অক্ষমতা স্বীকার করে আল্লাহর ক্ষমতার ওপর সম্পূর্ণ নির্ভর করে।”

( লা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ)— এটি মুমিনের মুখে থাকা এক স্থায়ী উচ্চারণ, যা দুর্বলতার মুহূর্তে দৃঢ়তা দেয় এবং আল্লাহর কাছে ভরসা রাখার শিক্ষা দেয়।

আল্লাহর ওপর ভরসার শ্রেষ্ঠ বাক্য

প্রকাশিত হয়েছে: ১২:১৭:৫৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫

মানবজীবনের প্রতিটি ক্লেশ, অক্ষমতা ও পরিবর্তনের মুহূর্তে মুসলমানরা উচ্চারণ করে — (লা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ)। এই সংক্ষিপ্ত দোয়াটি শুধু মুখের উচ্চারণ নয়, এটি এক গভীর ঈমানি ঘোষণা — যে, মানুষের শক্তি বা ক্ষমতা কিছুই নয়, সমস্ত শক্তি ও সামর্থ্যের উৎস কেবল আল্লাহ তাআলা।

আরবি বাক্যটির অর্থ—“আল্লাহর সাহায্য ছাড়া (পাপ থেকে বিরত থাকা ও সৎকাজ করার) কোনো শক্তি ও সামর্থ্য নেই।

এই দোয়াটি মানুষকে শেখায় যে, জীবনের প্রতিটি কাজে সফলতার জন্য আল্লাহর সাহায্য অপরিহার্য। এটি মুমিনের মুখে একটি ধ্যানের মতো, যা তাকে বিনয়ী ও আল্লাহনির্ভর করে তোলে।

যদিও এই নির্দিষ্ট বাক্যটি সরাসরি কোনো আয়াতে উল্লেখ নেই, তবে এর ভাবার্থ বারবার এসেছে কোরআনের বিভিন্ন স্থানে।
আল্লাহ তাআলা বলেন —”আর যে আল্লাহর ওপর ভরসা করে, তিনি তার জন্য যথেষ্ট।”
(সূরা আত-তালাক, আয়াত ৩)

আল্লাহ তাআলা আরও বলেন —”তোমরা যদি আল্লাহর সাহায্য চাও, তবে তিনি তোমাদের সাহায্য করবেন এবং তোমাদের পদ দৃঢ় করবেন।”—(সূরা মুহাম্মদ, আয়াত ৭)

এই আয়াতগুলো স্পষ্ট করে দেয় যে, মানুষ যতই চেষ্টা করুক, প্রকৃত শক্তি ও পরিবর্তনের ক্ষমতা একমাত্র আল্লাহর কাছেই।

রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন —“লা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ “–হলো জান্নাতের গুপ্ত ধনভাণ্ডারের একটি ধন।”—(সহিহ বুখারী, হাদীস: ৬৩৮৪; সহিহ মুসলিম, হাদীস: ২৬৮০)

আরেক হাদীসে এসেছে —যে ব্যক্তি ‘লা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ “ বলে, তার ৯৯টি দুঃখ দূর হয়, এর মধ্যে অন্তত একটি দুঃখ হলো উদ্বেগ।”—(মুসনাদ আহমাদ, হাদীস: ২৩১৪৭)

ইসলামী চিন্তাবিদরা বলেন,–“লা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ শুধু দোয়া নয়, এটি এক ধরণের আত্মনিবেদন — যেখানে মানুষ নিজের অক্ষমতা স্বীকার করে আল্লাহর ক্ষমতার ওপর সম্পূর্ণ নির্ভর করে।”

( লা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ)— এটি মুমিনের মুখে থাকা এক স্থায়ী উচ্চারণ, যা দুর্বলতার মুহূর্তে দৃঢ়তা দেয় এবং আল্লাহর কাছে ভরসা রাখার শিক্ষা দেয়।