০৪:০৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ৩০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ছাত্রদল-শিবির মুখোমুখি সংঘর্ষ, এএসপির মাথায় আঘাত

ছাত্রদল-শিবির মুখোমুখি সংঘর্ষ, এএসপির মাথায় আঘাত

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু), হল ও হোস্টেল সংসদ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসজুড়ে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। বুধবার (১৫ অক্টোবর) রাত ৮টার পর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নম্বর গেট এলাকা ছাত্রদল ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের মুখোমুখি অবস্থানে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন পুলিশের কর্মকর্তারা। এ সময় সংঘর্ষের মধ্যে হাটহাজারী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) কাজী তারেক আজিজ মাথায় আঘাত পান। তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। চট্টগ্রাম জেলার এক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

রাত ৯টার পর থেকে উভয় পক্ষ গেটের দুই পাশে অবস্থান নেয়। কোনো কোনো কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণার পর বিজয়ী পক্ষ উল্লাস প্রকাশ করলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। ক্যাম্পাস ও আশপাশের এলাকায় পুলিশ, র‌্যাবের পাশাপাশি বিজিবিও মোতায়েন করা হয়েছে।

ছাত্রদলের চবি শাখার সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমান অভিযোগ করেন, “বহিরাগত শিবির কর্মীরা এসে উসকানিমূলক আচরণ করছে। তারা গেটে অবস্থান নিয়েছে।”
অন্যদিকে শিবির সমর্থিত জোটের ভিপি প্রার্থী ইব্রাহীম হোসেন রনি পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, “ছাত্রদল এসে স্লোগান দিয়ে উসকানি দিচ্ছে। আমরা সংঘর্ষ চাই না।”

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদ ভবনে ভোট গণনা শেষের দিকে। কোথাও ফলাফল ঘোষণা করা হচ্ছে, আবার কোথাও গণনা চলছে। নির্বাচন কমিশনের সদস্য সচিব অধ্যাপক কেএম আরিফুল হক সিদ্দিকী জানান, এবার আনুমানিক ৬০ শতাংশ ভোট পড়েছে।

চাকসুর ২৬টি পদে ৪১৫ জন এবং হল ও হোস্টেল সংসদের ২৪টি পদে ৪৯৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ফলাফল ধাপে ধাপে ঘোষণা করা হচ্ছে এবং বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে স্থাপন করা ১৪টি এলইডি স্ক্রিনে তা সরাসরি সম্প্রচার করা হচ্ছে।

ট্যাগ

ছাত্রদল-শিবির মুখোমুখি সংঘর্ষ, এএসপির মাথায় আঘাত

প্রকাশিত হয়েছে: ১২:৫৪:১১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু), হল ও হোস্টেল সংসদ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসজুড়ে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। বুধবার (১৫ অক্টোবর) রাত ৮টার পর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নম্বর গেট এলাকা ছাত্রদল ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের মুখোমুখি অবস্থানে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন পুলিশের কর্মকর্তারা। এ সময় সংঘর্ষের মধ্যে হাটহাজারী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) কাজী তারেক আজিজ মাথায় আঘাত পান। তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। চট্টগ্রাম জেলার এক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

রাত ৯টার পর থেকে উভয় পক্ষ গেটের দুই পাশে অবস্থান নেয়। কোনো কোনো কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণার পর বিজয়ী পক্ষ উল্লাস প্রকাশ করলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। ক্যাম্পাস ও আশপাশের এলাকায় পুলিশ, র‌্যাবের পাশাপাশি বিজিবিও মোতায়েন করা হয়েছে।

ছাত্রদলের চবি শাখার সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমান অভিযোগ করেন, “বহিরাগত শিবির কর্মীরা এসে উসকানিমূলক আচরণ করছে। তারা গেটে অবস্থান নিয়েছে।”
অন্যদিকে শিবির সমর্থিত জোটের ভিপি প্রার্থী ইব্রাহীম হোসেন রনি পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, “ছাত্রদল এসে স্লোগান দিয়ে উসকানি দিচ্ছে। আমরা সংঘর্ষ চাই না।”

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদ ভবনে ভোট গণনা শেষের দিকে। কোথাও ফলাফল ঘোষণা করা হচ্ছে, আবার কোথাও গণনা চলছে। নির্বাচন কমিশনের সদস্য সচিব অধ্যাপক কেএম আরিফুল হক সিদ্দিকী জানান, এবার আনুমানিক ৬০ শতাংশ ভোট পড়েছে।

চাকসুর ২৬টি পদে ৪১৫ জন এবং হল ও হোস্টেল সংসদের ২৪টি পদে ৪৯৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ফলাফল ধাপে ধাপে ঘোষণা করা হচ্ছে এবং বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে স্থাপন করা ১৪টি এলইডি স্ক্রিনে তা সরাসরি সম্প্রচার করা হচ্ছে।