০৩:২৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ৩০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফেব্রুয়ারিতেই উৎসবমুখর নির্বাচন হবে — ড. ইউনূস

ফেব্রুয়ারিতেই উৎসবমুখর নির্বাচন হবে — ড. ইউনূস

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, “আপনারা সবাই মিলে জাতীয় সনদ তৈরি করেছেন। এখন সরকারের দায়িত্ব হলো উৎসবমুখর নির্বাচন আয়োজন করা।” বুধবার (১৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জুলাই সনদ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জরুরি বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, “নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই হবেই। উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন হবে। তার জন্য যা যা করতে হয়, সাধ্য অনুযায়ী আমরা সবকিছু করব। এর সঙ্গে কোনো কম্প্রোমাইজ করা হবে না।”

প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, “উৎসবমুখর পরিবেশে জুলাই সনদ সই হবে ১৭ অক্টোবর। জাতি অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় রয়েছে। আমরা সবাই মিলেই সেখানে যাব এবং ঐতিহাসিক এই দলিলে সই করব।”

ড. ইউনূস বলেন, “জুলাই সনদ সই হয়ে গেলেই কাজ শেষ নয়, বরং এটি এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হবে। এই দলিলকে হারিয়ে যেতে দেওয়া যাবে না। পাঠ্যবইসহ বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে দিতে হবে, যাতে জনগণ এর সঙ্গে যুক্ত হতে পারে।”

তিনি জানান, সরকার জুলাই সনদের বিষয়বস্তু জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে সামাজিক মাধ্যম ও অন্যান্য প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করবে। রাজনৈতিক দলগুলোর আলোচনাগুলো অমূল্য সম্পদ উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এই বিতর্কগুলো ভিডিও ও বই আকারে সংরক্ষণ করা হবে, যাতে ইতিহাস হারিয়ে না যায়।”

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আজকে আপনারা যে অসম্ভব কাজটি করেছেন, তা শুধু বাংলাদেশের ইতিহাসে নয়, বিশ্বের রাজনৈতিক ইতিহাসেও এক বিস্ময়কর উদাহরণ হয়ে থাকবে। কঠিন বিষয় নিয়ে আলোচনা করে আপনারা ঐকমত্যে পৌঁছেছেন — এজন্য জাতি অভিভূত।”

তিনি আরও বলেন, “আজকের এই দিনটি ইতিহাসের স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। আমি গর্বিত যে এই ঐতিহাসিক কাজের সঙ্গে আমি শরিক হতে পেরেছি।”

বৈঠকে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), গণসংহতি আন্দোলন, জেএসডি (রব), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, এবি পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা অংশ নেন।

ট্যাগ

ফেব্রুয়ারিতেই উৎসবমুখর নির্বাচন হবে — ড. ইউনূস

প্রকাশিত হয়েছে: ১২:২৫:৩৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, “আপনারা সবাই মিলে জাতীয় সনদ তৈরি করেছেন। এখন সরকারের দায়িত্ব হলো উৎসবমুখর নির্বাচন আয়োজন করা।” বুধবার (১৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জুলাই সনদ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জরুরি বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, “নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই হবেই। উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন হবে। তার জন্য যা যা করতে হয়, সাধ্য অনুযায়ী আমরা সবকিছু করব। এর সঙ্গে কোনো কম্প্রোমাইজ করা হবে না।”

প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, “উৎসবমুখর পরিবেশে জুলাই সনদ সই হবে ১৭ অক্টোবর। জাতি অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় রয়েছে। আমরা সবাই মিলেই সেখানে যাব এবং ঐতিহাসিক এই দলিলে সই করব।”

ড. ইউনূস বলেন, “জুলাই সনদ সই হয়ে গেলেই কাজ শেষ নয়, বরং এটি এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হবে। এই দলিলকে হারিয়ে যেতে দেওয়া যাবে না। পাঠ্যবইসহ বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে দিতে হবে, যাতে জনগণ এর সঙ্গে যুক্ত হতে পারে।”

তিনি জানান, সরকার জুলাই সনদের বিষয়বস্তু জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে সামাজিক মাধ্যম ও অন্যান্য প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করবে। রাজনৈতিক দলগুলোর আলোচনাগুলো অমূল্য সম্পদ উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এই বিতর্কগুলো ভিডিও ও বই আকারে সংরক্ষণ করা হবে, যাতে ইতিহাস হারিয়ে না যায়।”

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আজকে আপনারা যে অসম্ভব কাজটি করেছেন, তা শুধু বাংলাদেশের ইতিহাসে নয়, বিশ্বের রাজনৈতিক ইতিহাসেও এক বিস্ময়কর উদাহরণ হয়ে থাকবে। কঠিন বিষয় নিয়ে আলোচনা করে আপনারা ঐকমত্যে পৌঁছেছেন — এজন্য জাতি অভিভূত।”

তিনি আরও বলেন, “আজকের এই দিনটি ইতিহাসের স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। আমি গর্বিত যে এই ঐতিহাসিক কাজের সঙ্গে আমি শরিক হতে পেরেছি।”

বৈঠকে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), গণসংহতি আন্দোলন, জেএসডি (রব), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, এবি পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা অংশ নেন।