০২:০৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হাতেনাতে ধরা পড়ার এক সপ্তাহ পর শামীমা আক্তার বরখাস্ত

হাতেনাতে ধরা পড়ার এক সপ্তাহ পর শামীমা আক্তার বরখাস্ত

বেনাপোল কাস্টম হাউসে ঘুষের টাকাসহ গ্রেপ্তার হওয়া রাজস্ব কর্মকর্তা শামীমা আক্তারকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে সরকার। মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খানের সই করা প্রজ্ঞাপনে বরখাস্তের আদেশ জারি করা হয়। এর আগে ৬ অক্টোবর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) যশোর সমন্বিত কার্যালয়ের কর্মকর্তারা ঘুষের টাকাসহ শামীমা ও তার সহযোগী এনজিও কর্মী হাসিবুর রহমানকে আটক করেন। ৭ অক্টোবর শামীমাকে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। গ্রেপ্তারের সাতদিন পর এনবিআর তাকে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ এর ৩৯(২) ধারা অনুযায়ী, শামীমা আক্তারকে ৭ অক্টোবর থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো। বরখাস্তকালীন তিনি বিধি অনুযায়ী খোরপোষ ভাতা পাবেন।

দুদকের মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বেনাপোল কাস্টমস হাউসের শুল্কায়ন গ্রুপ-৬ এ কর্মরত রাজস্ব কর্মকর্তা শামীমা আক্তার দীর্ঘদিন ধরে এনজিও কর্মী হাসিবুর রহমানের মাধ্যমে ঘুষ আদায় করতেন। হাসিবুর রহমানকে তিনি “নিজস্ব লোক” হিসেবে ব্যবহার করতেন। সিএন্ডএফ এজেন্টদের কাছ থেকে ফাইল অনুমোদনের বিনিময়ে হাসিবুর টাকা সংগ্রহ করে শামীমার হাতে পৌঁছে দিতেন।

গত ৫ ও ৬ অক্টোবর হাসিবুর মোট ২ লাখ ৭৬ হাজার টাকা ঘুষের অর্থ সংগ্রহ করে শামীমার দপ্তরে নিয়ে যাওয়ার সময় দুদকের টিম অভিযান চালিয়ে তাকে হাতেনাতে ধরে ফেলে। টিম ঘটনাস্থল থেকে নগদ টাকাসহ প্রমাণ উদ্ধার করে। শামীমাকে তখন কমিশনারের জিম্মায় রাখা হয়।

দুদকের জিজ্ঞাসাবাদে শামীমা আক্তার স্বীকার করেছেন যে তিনি হাসিবুর রহমানকে ব্যক্তিগতভাবে চেনেন এবং ঘুষ লেনদেনের দিনে দু’বার মোবাইলে তার সঙ্গে কথা বলেন। তদন্তে জানা গেছে, শামীমা আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে হাসিবুরকে বিকাশের মাধ্যমে বিভিন্ন সময় টাকা পাঠানোর নির্দেশ দেন। দুদকের কর্মকর্তারা মনে করছেন, তিনি হাসিবুরকে ঘুষ লেনদেনের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করতেন।

দুদকের যশোর কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. সালাউদ্দীনের নেতৃত্বে পরিচালিত ওই অভিযানে স্থানীয় একটি এনজিওর সদস্য হাসিবুর রহমানকে ঘটনাস্থলেই আটক করা হয় এবং পরে তার মাধ্যমে রাজস্ব কর্মকর্তা শামীমা আক্তারের ঘুষ সংক্রান্ত নেটওয়ার্ক উন্মোচিত হয়।

ট্যাগ

হাতেনাতে ধরা পড়ার এক সপ্তাহ পর শামীমা আক্তার বরখাস্ত

প্রকাশিত হয়েছে: ১০:৩৬:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫

বেনাপোল কাস্টম হাউসে ঘুষের টাকাসহ গ্রেপ্তার হওয়া রাজস্ব কর্মকর্তা শামীমা আক্তারকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে সরকার। মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খানের সই করা প্রজ্ঞাপনে বরখাস্তের আদেশ জারি করা হয়। এর আগে ৬ অক্টোবর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) যশোর সমন্বিত কার্যালয়ের কর্মকর্তারা ঘুষের টাকাসহ শামীমা ও তার সহযোগী এনজিও কর্মী হাসিবুর রহমানকে আটক করেন। ৭ অক্টোবর শামীমাকে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। গ্রেপ্তারের সাতদিন পর এনবিআর তাকে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ এর ৩৯(২) ধারা অনুযায়ী, শামীমা আক্তারকে ৭ অক্টোবর থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো। বরখাস্তকালীন তিনি বিধি অনুযায়ী খোরপোষ ভাতা পাবেন।

দুদকের মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বেনাপোল কাস্টমস হাউসের শুল্কায়ন গ্রুপ-৬ এ কর্মরত রাজস্ব কর্মকর্তা শামীমা আক্তার দীর্ঘদিন ধরে এনজিও কর্মী হাসিবুর রহমানের মাধ্যমে ঘুষ আদায় করতেন। হাসিবুর রহমানকে তিনি “নিজস্ব লোক” হিসেবে ব্যবহার করতেন। সিএন্ডএফ এজেন্টদের কাছ থেকে ফাইল অনুমোদনের বিনিময়ে হাসিবুর টাকা সংগ্রহ করে শামীমার হাতে পৌঁছে দিতেন।

গত ৫ ও ৬ অক্টোবর হাসিবুর মোট ২ লাখ ৭৬ হাজার টাকা ঘুষের অর্থ সংগ্রহ করে শামীমার দপ্তরে নিয়ে যাওয়ার সময় দুদকের টিম অভিযান চালিয়ে তাকে হাতেনাতে ধরে ফেলে। টিম ঘটনাস্থল থেকে নগদ টাকাসহ প্রমাণ উদ্ধার করে। শামীমাকে তখন কমিশনারের জিম্মায় রাখা হয়।

দুদকের জিজ্ঞাসাবাদে শামীমা আক্তার স্বীকার করেছেন যে তিনি হাসিবুর রহমানকে ব্যক্তিগতভাবে চেনেন এবং ঘুষ লেনদেনের দিনে দু’বার মোবাইলে তার সঙ্গে কথা বলেন। তদন্তে জানা গেছে, শামীমা আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে হাসিবুরকে বিকাশের মাধ্যমে বিভিন্ন সময় টাকা পাঠানোর নির্দেশ দেন। দুদকের কর্মকর্তারা মনে করছেন, তিনি হাসিবুরকে ঘুষ লেনদেনের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করতেন।

দুদকের যশোর কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. সালাউদ্দীনের নেতৃত্বে পরিচালিত ওই অভিযানে স্থানীয় একটি এনজিওর সদস্য হাসিবুর রহমানকে ঘটনাস্থলেই আটক করা হয় এবং পরে তার মাধ্যমে রাজস্ব কর্মকর্তা শামীমা আক্তারের ঘুষ সংক্রান্ত নেটওয়ার্ক উন্মোচিত হয়।