
দীর্ঘ ৩৫ বছর পর অনুষ্ঠিত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে সহসভাপতি (ভিপি) ও সহ–সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে জয় পেয়েছে ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেল ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট’। অন্যদিকে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে জয় পেয়েছেন ‘আধিপত্যবিরোধী ঐক্য’ প্যানেলের সালাউদ্দিন আম্মার।
শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. এফ নজরুল ইসলাম।
ভিপি পদে শিবিরের জাহিদের বিপুল জয়
ভিপি (সহসভাপতি) পদে ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেল ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট’-এর প্রার্থী মোস্তাকুর রহমান জাহিদ ১২,৬৮৭ ভোট পেয়ে বিপুল ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদল সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নতুন প্রজন্ম’ প্যানেলের শেখ নূর উদ্দিন আবীর পেয়েছেন ৩,৩৯৭ ভোট।
জিএস পদে আধিপত্যবিরোধী ঐক্যের সালাউদ্দিন আম্মার বিজয়ী
সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ‘আধিপত্যবিরোধী ঐক্য’ প্যানেলের সালাউদ্দিন আম্মার ১১,৫৩৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শিবির সমর্থিত ফাহিম রেজা পেয়েছেন ৫,৭২৯ ভোট।
এজিএস পদে জয় পেলেন শিবিরের সাব্বির
সহ–সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে জয় পেয়েছেন ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট’-এর এস এম সালমান সাব্বির। তিনি পেয়েছেন ৬,৯৭১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের জাহিন বিশ্বাস (এষা) পেয়েছেন ৫,৯৪১ ভোট।
রাকসুর ২৩টি পদের মধ্যে জিএস, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক এবং ক্রীড়া সম্পাদক ছাড়া বাকি সব পদে বিজয়ী হয়েছেন ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থীরা। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী এবং ক্রীড়া সম্পাদক পদে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন।
৬৯.৮৩ শতাংশ ভোটারদের অংশগ্রহণ
গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। মোট ২৮ হাজার ৯০৯ জন ভোটারের মধ্যে ভোট দেন ২০ হাজার ১৮৭ জন। অংশগ্রহণের হার ছিল ৬৯ দশমিক ৮৩ শতাংশ।
৩৫ বছর পর অনুষ্ঠিত রাকসু নির্বাচন
দীর্ঘ বিরতির পর অনুষ্ঠিত এবারের নির্বাচনে মোট ৯০৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে রাকসুর ২৪৮ জন, সিনেটের ছাত্র প্রতিনিধি পদে ৫৮ জন এবং ১৭টি আবাসিক হল সংসদে ৫৯৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. এফ নজরুল ইসলাম বলেন,
“দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর রাকসু নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ ছিল উৎসবমুখর ও গণতান্ত্রিক।”