
আল-মুজিব (আরবিতে: ٱلْمُجِيبُ), আল্লাহর ৯৯টি সুন্দর নামের (আসমাউল হুসনা) মধ্যে এক অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ নাম, যার সরল অর্থ হলো ‘তিনি প্রার্থনার উত্তরদাতা’ বা ‘প্রত্যুত্তরদাতা’। এই নামটি আল্লাহর অসীম দয়া, নৈকট্য এবং ক্ষমতায়নের এক বিশেষ গুণকে তুলে ধরে। আল-মুজিব হিসেবে আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা তাঁর বিশ্বাসীদের খুব কাছে থাকেন এবং সর্বদা তাদের প্রার্থনা শুনতে ও উত্তর দিতে প্রস্তুত থাকেন। এই নামের মাধ্যমে মুমিনরা জানতে পারে যে আল্লাহ্ কেবল তাদের প্রার্থনাই শোনেন না, বরং তিনি সকল প্রয়োজন, আহ্বান এবং কষ্টের উত্তরদাতা। কোনো বিশ্বাসী যখন বিপদে পড়ে বা সাহায্যের প্রয়োজন হয়, তখন আল্লাহর এই নামটি স্মরণ (যিকর) করা অত্যন্ত ফলপ্রসূ। আল-মুজিব নামের তাৎপর্য বিশ্বাসীদের আশ্বস্ত করে যে আন্তরিকভাবে করা তাদের কোনো আহ্বান বা প্রার্থনা কখনোই বৃথা যায় না।
নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ দোয়া কবুলকারী। তিনি বান্দার আহ্বানে সাড়া দেন, তাঁর দোয়া শোনেন, এবং যা উত্তম— সেটাই দান করেন।
আল্লাহ বলেন:
“আমার পালনকর্তা নিকটেই আছেন, কবুল করে থাকেন; সন্দেহ নেই।”
[সূরা হুদ, আয়াত: ৬১]
যখন কোনো অসহায়, বন্দী, অসুস্থ বা দরিদ্র মানুষ আন্তরিকভাবে তাঁর দিকে ফিরে আসে—
তখন আল্লাহ তাআলা সেই দোয়া কবুল করেন।
তিনি নিরুপায় ব্যক্তির ডাকে সাড়া দেন, কষ্ট দূর করেন এবং তাঁর বান্দাকে নিরাপত্তা দান করেন।
“বল তো, কে নিঃসহায়ের ডাকে সাড়া দেন যখন সে ডাকে এবং কষ্ট দূরীভূত করেন?”
[সূরা আন-নামল, আয়াত: ৬২]
“আল-মুজীব” — অর্থাৎ দোয়া কবুলকারী।
যে তাঁকে বিশ্বাস করে, তাঁর নাম নিয়ে দোয়া করে— সে কখনো ব্যর্থ হয় না।
আল্লাহ কখনো সাথে সাথে দান করেন, কখনো উত্তম সময় পর্যন্ত বিলম্ব করেন,
আবার কখনো বিপদ দূর করে দেন — বা আখিরাতে পুরস্কার হিসেবে রেখে দেন।
🤲 হে আল-মুজীব! আমাদের দোয়া কবুল করো, দুঃখ দূর করো, ও জীবনকে কল্যাণময় করো।