০১:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পা কাটা গেলেও মনোবল ভাঙবে না: নুরেদ্দিন ইলদিজের দৃঢ় উৎসাহ

নুরেদ্দিন ইলদিজ সাম্প্রতিক এক বক্তৃতায় মুসলিম সমাজের প্রতি জোরালো বার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেন, “ইন্টারনেট, ইহুদিবাদী শাসনব্যবস্থা বা অন্য কোনো বিষয়ই মুসলিমদের ধ্বংস করতে পারে না; কেবল নীতিহীনতাই মুসলিমদের ধ্বংস করবার উপযোগী।” ইলদিজ তাঁর শ্রোতাদের সতর্ক করে বলেছেন যে বাইরের যেকোনো চ্যালেঞ্জের মুখে মনোবল বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি।

বক্তৃতায় তিনি আরও বলেন, “সর্বদা আপনার মনোবল উঁচু রাখুন। আপনার পা কেটে ফেলা হলেও, আপনার মনোবল ভেঙে পড়তে দেবেন না।” এ প্রসঙ্গে তিনি এমন প্রতিযোগী কিংবা সমালোচকদের কথাও উপেক্ষা করতে বলেন যারা বলছে ‘উম্মাহ চলে গেছে’—ইলদিজ বলেছেন, এসব ভুক্তভোগ্য মন্তব্যে কান করবেন না।

ইলদিজের এই বক্তব্যে তিনি নৈতিকতা ও অন্তর্দৃষ্টি-ভিত্তিক পুনর্গঠনের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন। তার কথায়, বাহ্যিক শক্তি বা প্রযুক্তি কোনোরূপ স্থায়ী বিনাশ ঘটাতে পারে না যতক্ষণ মানুষ নিজেদের মধ্যে ন্যায়, নীতি ও ঐক্য ধরে রাখে। বক্তৃতায় কিছু অংশে তিনি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক বা ধর্মীয় শক্তির কথাও উল্লেখ করলেও তাঁর মূল সুর ছিল ঐক্য, ধৈর্য্য ও নৈতিকতা বজায় রাখার আহ্বান।

বিশ্লেষকরা বলছেন, তীব্র সংকট-সময়ে এমনধরনের উত্সাহমূলক বক্তব্য সমাজে মনোবল বজায় রাখতে ভূমিকা রাখতে পারে; তবে একই সঙ্গে তিনি যে শব্দচয়ন ব্যবহার করেছেন তা বিতর্কের কারণও হয়ে দাঁড়াতে পারে। বিশেষত সংবেদনশীল রাজনৈতিক বা ধর্মীয় ইস্যুতে যে ভাষা ব্যবহার করা হচ্ছে তা কিভাবে গ্রহণ করা হবে, তা স্থানীয় প্রেক্ষাপট ও শ্রোতাদের ওপর নির্ভর করবে।

ইলদিজের বক্তব্যের প্রতি বিভিন্ন স্তরের প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে; অনেকে তাঁর মনোবল-সংক্রান্ত বার্তাকে সমর্থন করলেও অনেকে সতর্ক করেছেন, এমন ভাষায় বিভেদ বা ভুল ব্যাখ্যার সৃষ্টি হতে পারে।

ট্যাগ

শিক্ষা ভবনের সামনে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

পা কাটা গেলেও মনোবল ভাঙবে না: নুরেদ্দিন ইলদিজের দৃঢ় উৎসাহ

প্রকাশিত হয়েছে: ১১:০০:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫

নুরেদ্দিন ইলদিজ সাম্প্রতিক এক বক্তৃতায় মুসলিম সমাজের প্রতি জোরালো বার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেন, “ইন্টারনেট, ইহুদিবাদী শাসনব্যবস্থা বা অন্য কোনো বিষয়ই মুসলিমদের ধ্বংস করতে পারে না; কেবল নীতিহীনতাই মুসলিমদের ধ্বংস করবার উপযোগী।” ইলদিজ তাঁর শ্রোতাদের সতর্ক করে বলেছেন যে বাইরের যেকোনো চ্যালেঞ্জের মুখে মনোবল বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি।

বক্তৃতায় তিনি আরও বলেন, “সর্বদা আপনার মনোবল উঁচু রাখুন। আপনার পা কেটে ফেলা হলেও, আপনার মনোবল ভেঙে পড়তে দেবেন না।” এ প্রসঙ্গে তিনি এমন প্রতিযোগী কিংবা সমালোচকদের কথাও উপেক্ষা করতে বলেন যারা বলছে ‘উম্মাহ চলে গেছে’—ইলদিজ বলেছেন, এসব ভুক্তভোগ্য মন্তব্যে কান করবেন না।

ইলদিজের এই বক্তব্যে তিনি নৈতিকতা ও অন্তর্দৃষ্টি-ভিত্তিক পুনর্গঠনের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন। তার কথায়, বাহ্যিক শক্তি বা প্রযুক্তি কোনোরূপ স্থায়ী বিনাশ ঘটাতে পারে না যতক্ষণ মানুষ নিজেদের মধ্যে ন্যায়, নীতি ও ঐক্য ধরে রাখে। বক্তৃতায় কিছু অংশে তিনি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক বা ধর্মীয় শক্তির কথাও উল্লেখ করলেও তাঁর মূল সুর ছিল ঐক্য, ধৈর্য্য ও নৈতিকতা বজায় রাখার আহ্বান।

বিশ্লেষকরা বলছেন, তীব্র সংকট-সময়ে এমনধরনের উত্সাহমূলক বক্তব্য সমাজে মনোবল বজায় রাখতে ভূমিকা রাখতে পারে; তবে একই সঙ্গে তিনি যে শব্দচয়ন ব্যবহার করেছেন তা বিতর্কের কারণও হয়ে দাঁড়াতে পারে। বিশেষত সংবেদনশীল রাজনৈতিক বা ধর্মীয় ইস্যুতে যে ভাষা ব্যবহার করা হচ্ছে তা কিভাবে গ্রহণ করা হবে, তা স্থানীয় প্রেক্ষাপট ও শ্রোতাদের ওপর নির্ভর করবে।

ইলদিজের বক্তব্যের প্রতি বিভিন্ন স্তরের প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে; অনেকে তাঁর মনোবল-সংক্রান্ত বার্তাকে সমর্থন করলেও অনেকে সতর্ক করেছেন, এমন ভাষায় বিভেদ বা ভুল ব্যাখ্যার সৃষ্টি হতে পারে।