১০:১৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আল্লাহর ৯৯ নামের মহিমা

আল্লাহর ৯৯টি নাম বা আসমাউল হুসনা ইসলাম ধর্মে বিশেষ মর্যাদা ও ফজীলতপূর্ণ। পবিত্র কুরআন ও সহীহ হাদীসে বর্ণিত হয়েছে, আল্লাহর সুন্দর নামগুলো জানার মাধ্যমে মানুষের ঈমান দৃঢ় হয়, দোয়া কবুল হয় এবং জান্নাতের দরজা খুলে যায়।

আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনে বলেন—

আর আল্লাহরই রয়েছে উত্তম নামসমূহ; অতএব তোমরা তাঁকে সেই নামগুলো দ্বারা ডাকো।— (সূরা আল-আ’রাফ, আয়াত ১৮০)

এ আয়াতে আল্লাহ নিজেই শিক্ষা দিয়েছেন যেন বান্দারা তাঁর গুণবাচক নাম ধরে দোয়া করে। যেমন — ইয়া রহমান, ইয়া রহীম, ইয়া গফুর” বলে আহ্বান করলে দোয়া দ্রুত কবুল হয়।

আরও এক স্থানে আল্লাহ বলেন—বলুন, তোমরা ‘আল্লাহ’ বলে ডাকো কিংবা ‘রহমান’ বলে ডাকো; যেভাবেই ডাকো, সব সুন্দর নামই তাঁর।”— (সূরা আল-ইসরা, আয়াত ১১০)

রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেন

নিশ্চয়ই আল্লাহর নিরানব্বইটি নাম রয়েছে। যে ব্যক্তি সেগুলো শিখবে, বুঝবে এবং জীবনে বাস্তবায়ন করবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।— (সহীহ বুখারী: ২৭৩৬, সহীহ মুসলিম: ২৬৭৭)

এ হাদীস অনুযায়ী, শুধু মুখস্থ নয়—আল্লাহর নামের অর্থ জানা, হৃদয়ে ধারণ করা এবং সেই গুণাবলী নিজের জীবনে প্রয়োগ করাই জান্নাতের পথ।

আরেক হাদীসে রাসুল ﷺ দোয়া করেছেন—

হে আল্লাহ! আমি তোমার সেই সব নামের মাধ্যমে তোমার নিকট প্রার্থনা করছি — যেগুলো তুমি নিজেকে দিয়েছ, তোমার কিতাবে অবতীর্ণ করেছ, তোমার সৃষ্ট কাউকে শিক্ষা দিয়েছ, অথবা তোমার অদৃশ্য জ্ঞানে রেখেছ।—(মুসনাদ আহমাদ, হাদীস: ৩৭১২)

এ থেকে স্পষ্ট হয়, আল্লাহর নামের মাধ্যমেই দোয়া করা দোয়ার সর্বোত্তম পদ্ধতি।

আল্লাহর নাম জানার উপকারিত  ঈমান দৃঢ় হয়:   “আল-রহমান”, “আল-গফুর”, “আল-আজিজ”— এসব নামের অর্থ বোঝার মাধ্যমে মানুষ আল্লাহর প্রতি ভালোবাসা ও ভয় অনুভব করে।

দোয়া কবুলের মাধ্যম:  কুরআনে বলা হয়েছে— ফাদউহু বিহা অর্থাৎ “তাঁকে সেই নামগুলো দ্বারা ডাকো” (আল-আ’রাফ: ১৮০)।
যেমন — “ইয়া গফুর, আমার গুনাহ মাফ করো।”  “ইয়া রায্জাক, আমাকে হালাল রিজিক দাও।”

জান্নাতের পথ উন্মুক্ত হয়:রাসুল ﷺ বলেছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর ৯৯ নাম জানবে ও আমল করবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।

হৃদয়ে প্রশান্তি আসে:“জানবে — আল্লাহর স্মরণেই হৃদয় প্রশান্ত হয়।”— (সূরা আর-রাদ, আয়াত ২৮)

আসমাউল হুসনা জানা শুধু জ্ঞান অর্জন নয়, বরং আল্লাহর মহিমা অনুধাবনের পথ। এগুলোর মাধ্যমে দোয়া করলে আল্লাহ দোয়া কবুল করেন, পাপ মাফ হয় এবং জান্নাতের আশা জাগে।

ট্যাগ

সাইয়েদুল ইস্তেগফার : সর্বশ্রেষ্ঠ ক্ষমা প্রার্থনার দোয়া

আল্লাহর ৯৯ নামের মহিমা

প্রকাশিত হয়েছে: ০৮:৪৩:২২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫

আল্লাহর ৯৯টি নাম বা আসমাউল হুসনা ইসলাম ধর্মে বিশেষ মর্যাদা ও ফজীলতপূর্ণ। পবিত্র কুরআন ও সহীহ হাদীসে বর্ণিত হয়েছে, আল্লাহর সুন্দর নামগুলো জানার মাধ্যমে মানুষের ঈমান দৃঢ় হয়, দোয়া কবুল হয় এবং জান্নাতের দরজা খুলে যায়।

আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনে বলেন—

আর আল্লাহরই রয়েছে উত্তম নামসমূহ; অতএব তোমরা তাঁকে সেই নামগুলো দ্বারা ডাকো।— (সূরা আল-আ’রাফ, আয়াত ১৮০)

এ আয়াতে আল্লাহ নিজেই শিক্ষা দিয়েছেন যেন বান্দারা তাঁর গুণবাচক নাম ধরে দোয়া করে। যেমন — ইয়া রহমান, ইয়া রহীম, ইয়া গফুর” বলে আহ্বান করলে দোয়া দ্রুত কবুল হয়।

আরও এক স্থানে আল্লাহ বলেন—বলুন, তোমরা ‘আল্লাহ’ বলে ডাকো কিংবা ‘রহমান’ বলে ডাকো; যেভাবেই ডাকো, সব সুন্দর নামই তাঁর।”— (সূরা আল-ইসরা, আয়াত ১১০)

রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেন

নিশ্চয়ই আল্লাহর নিরানব্বইটি নাম রয়েছে। যে ব্যক্তি সেগুলো শিখবে, বুঝবে এবং জীবনে বাস্তবায়ন করবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।— (সহীহ বুখারী: ২৭৩৬, সহীহ মুসলিম: ২৬৭৭)

এ হাদীস অনুযায়ী, শুধু মুখস্থ নয়—আল্লাহর নামের অর্থ জানা, হৃদয়ে ধারণ করা এবং সেই গুণাবলী নিজের জীবনে প্রয়োগ করাই জান্নাতের পথ।

আরেক হাদীসে রাসুল ﷺ দোয়া করেছেন—

হে আল্লাহ! আমি তোমার সেই সব নামের মাধ্যমে তোমার নিকট প্রার্থনা করছি — যেগুলো তুমি নিজেকে দিয়েছ, তোমার কিতাবে অবতীর্ণ করেছ, তোমার সৃষ্ট কাউকে শিক্ষা দিয়েছ, অথবা তোমার অদৃশ্য জ্ঞানে রেখেছ।—(মুসনাদ আহমাদ, হাদীস: ৩৭১২)

এ থেকে স্পষ্ট হয়, আল্লাহর নামের মাধ্যমেই দোয়া করা দোয়ার সর্বোত্তম পদ্ধতি।

আল্লাহর নাম জানার উপকারিত  ঈমান দৃঢ় হয়:   “আল-রহমান”, “আল-গফুর”, “আল-আজিজ”— এসব নামের অর্থ বোঝার মাধ্যমে মানুষ আল্লাহর প্রতি ভালোবাসা ও ভয় অনুভব করে।

দোয়া কবুলের মাধ্যম:  কুরআনে বলা হয়েছে— ফাদউহু বিহা অর্থাৎ “তাঁকে সেই নামগুলো দ্বারা ডাকো” (আল-আ’রাফ: ১৮০)।
যেমন — “ইয়া গফুর, আমার গুনাহ মাফ করো।”  “ইয়া রায্জাক, আমাকে হালাল রিজিক দাও।”

জান্নাতের পথ উন্মুক্ত হয়:রাসুল ﷺ বলেছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর ৯৯ নাম জানবে ও আমল করবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।

হৃদয়ে প্রশান্তি আসে:“জানবে — আল্লাহর স্মরণেই হৃদয় প্রশান্ত হয়।”— (সূরা আর-রাদ, আয়াত ২৮)

আসমাউল হুসনা জানা শুধু জ্ঞান অর্জন নয়, বরং আল্লাহর মহিমা অনুধাবনের পথ। এগুলোর মাধ্যমে দোয়া করলে আল্লাহ দোয়া কবুল করেন, পাপ মাফ হয় এবং জান্নাতের আশা জাগে।