আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে দুনিয়াতে কোন বান্দার দোষ গোপন রাখে, আল্লাহ তাআলা কিয়ামতের দিন তার দোষ গোপন রাখবেন।

উমার (রাঃ) বলেন, একদা আল্লাহ রসূল(সা:) মিম্বরে চড়ে উচ্চশব্দে বলেন, যারা মুখে মুসলিম হয়েছ এবং যাদের অন্তরে এখনও ঈমান প্রবেশ করেনি (তারা শোন), তোমরা মুসলিমদেরকে কষ্ট দিয়ো না, তাদেরকে লাঞ্ছিত করো না যেহেতু যে ব্যক্তি তার মুসলিম ভাইয়ের দোষ অনুসন্ধান করে আল্লাহ তার দোষ অনুসন্ধান করেন। আর আল্লাহ যার দোষ অনুসন্ধান করেন (অর্থাৎ গোপন না করেন) আর আল্লাহ যার দোষ-ত্রুটি প্রকাশ করেন তাকে নিজের বাড়িতেই লাঞ্ছিত করেন।

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি, ’’আমার সকল উম্মত মাফ পাবে, তবে পাপ প্রকাশকারী ব্যতীত। কোন ব্যক্তি রাতে কোন পাপকাজ করে, যা আল্লাহ গোপন রাখেন। কিন্তু সকাল হলে সে বলে বেড়ায়, আমি আজ রাতে এই কাজ করেছি।’ অথচ সে এমন অবস্থায় রাত্রি অতিবাহিত করেছিল যে, আল্লাহ তার পাপ গুপ্ত রেখেছিলেন। কিন্তু সে সকালে উঠে সে বলার কারনে   তার উপর আল্লাহর আবৃত পর্দা খুলে ফেলে!

আরেক হাদিসে রাসূল সা. বলেছেন,  যে ব্যক্তি তার মুসলিম ভাইয়ের প্রয়োজন পূরণে সচেষ্ট হয় আল্লাহ তার প্রয়োজন পূরণ করে দেন। যে ব্যক্তি কোনো মুসলমানের একটি কষ্ট দূর করে দেয় এর বিনিময়ে আল্লাহ্ কিয়ামতের দিন তার কষ্টসমূহ থেকে একটি কষ্ট দূর করে দেবেন।ঠিক তেমনি যে ব্যক্তি কোনো মুসলমানের দোষ গোপন করে রাখবে, আল্লাহ কিয়ামতের দিন তার দোষ গোপন রাখবেন। ( সহিহ বুখারি

By admin

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *