০৬:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইসলাম ধর্মে এক গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত রোজা।

রোজা (সিয়াম) ইসলাম ধর্মে এক গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত, যা মুসলমানদের জন্য রমজান মাসে পালন করতে হয়। রোজা হল, দিনের নির্দিষ্ট সময় (সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত) খাওয়া, পানীয়, শারীরিক চাহিদা পূরণ, মিথ্যা, গালিগালাজ এবং সব ধরনের অশোভন আচরণ থেকে বিরত থাকা।

রোজার মূল উদ্দেশ্য:

  • আত্মসংযম: রোজা রাখার মাধ্যমে মানুষ তার আত্মসংযমের ক্ষমতা বাড়ায় এবং ইন্দ্রিয়ের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে।
  • আত্মবিশ্লেষণ: রোজা মানুষকে তার আচরণ, চিন্তা, ও কাজের প্রতি আত্মবিশ্লেষণ করতে সহায়তা করে।
  • ভক্তি নৈকট্য: আল্লাহর সাথে গভীর সম্পর্ক স্থাপন এবং তার প্রতি বিশ্বাস দৃঢ় করা।
  • সমাজসেবা: রোজা রাখার মাধ্যমে দীন-ধর্মের প্রতি এক ধরনের দায়বদ্ধতা অনুভব হয় এবং দুঃখী ও অসহায়দের জন্য দান-সদকা বাড়ানো হয়।

রোজা রাখার নিয়ম:

  1. সেহরি: রোজা শুরু করার পূর্বে, সূর্যোদয়ের আগে খাবার গ্রহণকে সেহরি বলা হয়। এটি শরীরকে সারাদিন রোজা রাখার শক্তি জোগায়।
  2. ইফতার: সূর্যাস্তের পর রোজা ভাঙা হয়, যাকে ইফতার বলা হয়। সাধারণত খেজুর দিয়ে ইফতার শুরু করা হয়, তারপর পানি ও খাবার গ্রহণ করা হয়।
  3. নিয়ত: রোজা রাখার জন্য সঠিক নিয়ত থাকতে হবে, অর্থাৎ আল্লাহর জন্য রোজা রাখার সংকল্প করা।
  4. অশুদ্ধ কাজ থেকে বিরত থাকা: রোজা রাখা শুধু খাওয়া-দাওয়া থেকে বিরত থাকা নয়, বরং মিথ্যা কথা, গালিগালাজ, খারাপ চিন্তা ও অন্যের ক্ষতি করার কাজ থেকেও বিরত থাকতে হয়।

রোজা ভঙ্গের কারণ:

  1. খাওয়া বা পানীয় গ্রহণ
  2. ইন্টারকোর্স (যৌন সম্পর্ক)
  3. ইচ্ছাকৃত বমি করা
  4. রোজা রাখার সময় কোনো কিছু (যেমন ধূমপান) ব্যবহার করা

রোজা রাখা মুসলমানদের জন্য কেবল শারীরিক সংযম নয়, এটি আধ্যাত্মিক পরিশুদ্ধতারও একটি মাধ্যম, যা মানুষকে আল্লাহর দিকে নিয়ে যায়।

এটি ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের একটি, এবং রমজান মাসে এটি প্রতিটি মুসলমানের জন্য ফরজ।

ট্যাগ
পোস্টকারীর সকল তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মূল সড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশা নিষিদ্ধ

ইসলাম ধর্মে এক গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত রোজা।

প্রকাশিত হয়েছে: ০৫:৩১:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

রোজা (সিয়াম) ইসলাম ধর্মে এক গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত, যা মুসলমানদের জন্য রমজান মাসে পালন করতে হয়। রোজা হল, দিনের নির্দিষ্ট সময় (সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত) খাওয়া, পানীয়, শারীরিক চাহিদা পূরণ, মিথ্যা, গালিগালাজ এবং সব ধরনের অশোভন আচরণ থেকে বিরত থাকা।

রোজার মূল উদ্দেশ্য:

  • আত্মসংযম: রোজা রাখার মাধ্যমে মানুষ তার আত্মসংযমের ক্ষমতা বাড়ায় এবং ইন্দ্রিয়ের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে।
  • আত্মবিশ্লেষণ: রোজা মানুষকে তার আচরণ, চিন্তা, ও কাজের প্রতি আত্মবিশ্লেষণ করতে সহায়তা করে।
  • ভক্তি নৈকট্য: আল্লাহর সাথে গভীর সম্পর্ক স্থাপন এবং তার প্রতি বিশ্বাস দৃঢ় করা।
  • সমাজসেবা: রোজা রাখার মাধ্যমে দীন-ধর্মের প্রতি এক ধরনের দায়বদ্ধতা অনুভব হয় এবং দুঃখী ও অসহায়দের জন্য দান-সদকা বাড়ানো হয়।

রোজা রাখার নিয়ম:

  1. সেহরি: রোজা শুরু করার পূর্বে, সূর্যোদয়ের আগে খাবার গ্রহণকে সেহরি বলা হয়। এটি শরীরকে সারাদিন রোজা রাখার শক্তি জোগায়।
  2. ইফতার: সূর্যাস্তের পর রোজা ভাঙা হয়, যাকে ইফতার বলা হয়। সাধারণত খেজুর দিয়ে ইফতার শুরু করা হয়, তারপর পানি ও খাবার গ্রহণ করা হয়।
  3. নিয়ত: রোজা রাখার জন্য সঠিক নিয়ত থাকতে হবে, অর্থাৎ আল্লাহর জন্য রোজা রাখার সংকল্প করা।
  4. অশুদ্ধ কাজ থেকে বিরত থাকা: রোজা রাখা শুধু খাওয়া-দাওয়া থেকে বিরত থাকা নয়, বরং মিথ্যা কথা, গালিগালাজ, খারাপ চিন্তা ও অন্যের ক্ষতি করার কাজ থেকেও বিরত থাকতে হয়।

রোজা ভঙ্গের কারণ:

  1. খাওয়া বা পানীয় গ্রহণ
  2. ইন্টারকোর্স (যৌন সম্পর্ক)
  3. ইচ্ছাকৃত বমি করা
  4. রোজা রাখার সময় কোনো কিছু (যেমন ধূমপান) ব্যবহার করা

রোজা রাখা মুসলমানদের জন্য কেবল শারীরিক সংযম নয়, এটি আধ্যাত্মিক পরিশুদ্ধতারও একটি মাধ্যম, যা মানুষকে আল্লাহর দিকে নিয়ে যায়।

এটি ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের একটি, এবং রমজান মাসে এটি প্রতিটি মুসলমানের জন্য ফরজ।