সরকার কয়েকটি সেতু এবং টানেলের নাম পরিবর্তন করেছে। বঙ্গবন্ধু সেতুর নাম পরিবর্তন করে যমুনা সেতু করা হয়েছে, যা উত্তরবঙ্গের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনকারী প্রধান সেতু হিসেবে পরিচিত। এই সেতুর নাম নিয়ে বিভিন্ন সরকারের সময়ে একাধিক পরিবর্তন এসেছে। উদাহরণস্বরূপ, এটি প্রথমে ‘যমুনা বহুমুখী সেতু’ নামে পরিচিত ছিল, পরে ‘বঙ্গবন্ধু সেতু’ এবং আবারও ‘যমুনা বহুমুখী সেতু’ নামকরণ করা হয়, এবং সর্বশেষ ‘বঙ্গবন্ধু সেতু’ রাখা হয়। এবার অন্তর্বর্তী সরকার ‘যমুনা বহুমুখী সেতু’ নামে ফিরে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

তেমনি, চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত দেশের প্রথম টানেলটির নামও পরিবর্তন করে ‘কর্ণফুলী টানেল’ রাখা হয়েছে, যা আগে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল’ নামে পরিচিত ছিল।

এই নাম পরিবর্তন প্রক্রিয়া সত্যিই সরকারের নতুন সিদ্ধান্ত এবং তাদের রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন। পূর্ববর্তী সরকারের সময় বিভিন্ন সেতু, মহাসড়ক এবং স্থাপনার নাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে রাখা হয়েছিল, যা একটি বিশেষ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থেকে হয়েছিল। বর্তমানে, অন্তর্বর্তী সরকার এই নামকরণ পরিবর্তন করে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি প্রদর্শন করছে, যা দেশটির ইতিহাস এবং রাজনৈতিক পরিস্থিতির প্রতি তাদের নিজস্ব অবস্থা এবং অবস্থান প্রকাশ করে।

এছাড়া, ১২টি মহাসড়ক ও সেতুর নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্তও একই রকম একটি উদাহরণ, যা পূর্ববর্তী নামকরণের পরিপ্রেক্ষিতে নতুন একটি দৃষ্টিভঙ্গি নির্দেশ করছে। এই নাম পরিবর্তনগুলি সরকারের শাসনভীতির পরিবর্তনের প্রতিফলন হিসেবে দেখা যেতে পারে এবং তারা কীভাবে দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে নতুন দৃষ্টিতে মূল্যায়ন করতে চাচ্ছে, তা স্পষ্ট করে।

যমুনা নদীর ওপর নির্মিত নতুন রেলসেতুটির নামও পরিবর্তন করা হয়েছে। এটি আগে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রেলসেতু’ নামে পরিচিত ছিল, কিন্তু বর্তমান সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এর নাম এখন ‘যমুনা রেলসেতু’ রাখা হয়েছে। এই নাম পরিবর্তনও পূর্বের নামকরণের প্রতি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি এবং বর্তমান সরকারের রাজনৈতিক অবস্থানকে প্রতিফলিত করে।

By admin

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *