ঢাকা, ১০ মার্চ ২০২৫: রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির মিলনায়তনে সোমবার দুপুরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, পাচার করা টাকা উদ্ধার করতে সরকার প্রথম থেকেই তৎপর ছিল এবং এটি তাদের শীর্ষ অগ্রাধিকারের মধ্যে রয়েছে। প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, প্রফেসর ইউনূস প্রথম থেকেই বলেছিলেন, “এটা বাংলাদেশের মানুষের টাকা,” এবং পাচারকৃত অর্থ ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া সরকার গুরুত্বসহকারে চালিয়ে যাচ্ছে।

এ বিষয়ে সরকারের একাধিক পদক্ষেপের আওতায় গত সেপ্টেম্বর মাসে একটি ১১ সদস্যবিশিষ্ট টাস্কফোর্স গঠন করা হয়, যার নেতৃত্ব দিচ্ছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর। শফিকুল আলম জানান, আজ এই টাকাগুলো ফেরত আনার প্রচেষ্টা কতটা এগিয়েছে, তা নিয়ে একটি বড় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা নিজে নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং সেখানে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

সরকার এবং টাস্কফোর্স বিভিন্ন ল ফার্মের সঙ্গে আলোচনা করছে এবং ইতিমধ্যেই ২০০টি ল ফার্মের সঙ্গে কথাবার্তা সম্পন্ন হয়েছে, তবে এখনো সিলেকশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়নি। আইনি প্রক্রিয়ায় সিলেকশন হবে এবং ৩০টি ল ফার্মের সঙ্গে চুক্তি করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রেস সচিব।

বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, “এগুলো বাংলাদেশের টাকা, যত দ্রুত সম্ভব টাকা ফেরত আনা যায়।” এ ব্যাপারে প্রতি মাসে উচ্চপর্যায়ের মিটিং হবে এবং ঈদের পর আরও একটি বৈঠক ডাকা হয়েছে।

শফিকুল আলম জানান, পাচার করা টাকা কত পরিমাণ হয়েছে এবং তার বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। এনবিআর চেয়ারম্যান বৈঠকে জানিয়েছেন যে, বিদেশে পড়াশোনার জন্য অনেক ছাত্র-ছাত্রীর মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাঠানো হয়েছে। একটি উদাহরণ হিসেবে, এক ছাত্রের টিউশন ফি হিসেবে ৪০০-৫০০ কোটি টাকা বিদেশে পাঠানো হয়েছে, যা মানি লন্ডারিংয়ের অংশ হতে পারে।

ব্রিফিংয়ে উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার, অপূর্ব জাহাঙ্গীর এবং সহকারী প্রেস সচিব সুচিস্মিতা তিথি উপস্থিত ছিলেন।

By admin

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *