
ইউক্রেন গত মঙ্গলবার সৌদি আরবের জেদ্দায় মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতিতে রাজি হওয়ার কথা জানিয়েছে। তবে, এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে কিনা, তা এখন রাশিয়ার সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে।
রাশিয়ার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে বিস্তারিত তথ্য পেলে সিদ্ধান্ত নেবে। তবে, রাশিয়ার একাধিক সূত্র জানিয়েছে, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এরকম একটি যুদ্ধবিরতিতে রাজি হতে পারেন না বলে তারা ধারণা করছে।
এই অবস্থায়, ইউক্রেনের যুদ্ধবিরতিতে রাজি হওয়ার পর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও সাংবাদিকদের বলেন, “এটা এখন পুরোপুরি রাশিয়ার ওপর নির্ভর করছে। তারা যদি হ্যাঁ বলে, তাহলে এটা খুবই ভালো খবর হবে, এবং পরবর্তী পদক্ষেপ শুরু হবে।”
এদিকে, জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ এক্স–এ দেওয়া পোস্টে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে আখ্যায়িত করেন। তিনি বলেন, “এটি শান্তি প্রতিষ্ঠার দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, তবে এখন পুতিনের ওপর নির্ভর করছে।”
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, সৌদি আরবে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের কর্মকর্তাদের মধ্যে গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে এবং এই যুদ্ধবিরতির সময় একটি শান্তিচুক্তির খসড়া তৈরির কাজ হতে পারে।