০১:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাজউকের প্লট কেলেঙ্কারিতে শেখ হাসিনার নামে পরোয়ানা ।

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) পরিচালিত পূর্বাচল আবাসন প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দাখিল করা দুটি মামলার চার্জশিট আমলে নিয়ে এ আদেশ দেন। মামলাগুলোর একটিতে ১২ জন এবং অপরটিতে ১৭ জন আসামি।

দুদকের প্রসিকিউশন বিভাগের সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম আদালতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, আসামিরা সবাই বর্তমানে পলাতক থাকায় আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।

আসামিদের মধ্যে রয়েছেন—
জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা যেমন সাইফুল ইসলাম সরকার, পূরবী গোলদার, কাজী ওয়াছি উদ্দিন, শহীদ উল্লা খন্দকার; রাজউকের সাবেক কর্মকর্তারা যেমন আনিছুর রহমান মিঞা, খুরশীদ আলম, শেখ শাহিনুল ইসলাম, এবং হাফিজুর রহমান।
তাছাড়া অভিযুক্তদের মধ্যে আছেন—
সাবেক প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, সাবেক একান্ত সচিব সালাহউদ্দিন, এবং সাবেক সেনা কর্মকর্তা মেজর (অব.) সামসুদ্দীন আহমেদ চৌধুরী।

দুদকের তদন্তে উঠে আসে, পূর্বাচলের ২৭ নম্বর সেক্টরের ২০৩ নম্বর সড়কে অবস্থিত কূটনৈতিক জোনে ৬টি প্লট (৬০ কাঠা জমি) অনিয়মের মাধ্যমে শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের বরাদ্দ দেওয়া হয়।

তারা রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পদে থেকে ক্ষমতার অপব্যবহার করে এই বরাদ্দ নিয়েছেন বলে অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে।

আসামিদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ দণ্ডবিধি, ১৮৬০ সালের ১৬১, ১৬৩, ১৬৪, ৪০৯ ও ১০৯ ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় মামলাগুলো দায়ের করা হয়েছে।

দীর্ঘ দেড় দশক দেশ শাসনের পর, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে গত ৫ আগস্ট ভারতে আশ্রয় নেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। বর্তমানে তিনি সেখানেই অবস্থান করছেন।

ট্যাগ
পোস্টকারীর সকল তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

রাজউকের প্লট কেলেঙ্কারিতে শেখ হাসিনার নামে পরোয়ানা ।

প্রকাশিত হয়েছে: ০১:১০:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) পরিচালিত পূর্বাচল আবাসন প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দাখিল করা দুটি মামলার চার্জশিট আমলে নিয়ে এ আদেশ দেন। মামলাগুলোর একটিতে ১২ জন এবং অপরটিতে ১৭ জন আসামি।

দুদকের প্রসিকিউশন বিভাগের সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম আদালতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, আসামিরা সবাই বর্তমানে পলাতক থাকায় আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।

আসামিদের মধ্যে রয়েছেন—
জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা যেমন সাইফুল ইসলাম সরকার, পূরবী গোলদার, কাজী ওয়াছি উদ্দিন, শহীদ উল্লা খন্দকার; রাজউকের সাবেক কর্মকর্তারা যেমন আনিছুর রহমান মিঞা, খুরশীদ আলম, শেখ শাহিনুল ইসলাম, এবং হাফিজুর রহমান।
তাছাড়া অভিযুক্তদের মধ্যে আছেন—
সাবেক প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, সাবেক একান্ত সচিব সালাহউদ্দিন, এবং সাবেক সেনা কর্মকর্তা মেজর (অব.) সামসুদ্দীন আহমেদ চৌধুরী।

দুদকের তদন্তে উঠে আসে, পূর্বাচলের ২৭ নম্বর সেক্টরের ২০৩ নম্বর সড়কে অবস্থিত কূটনৈতিক জোনে ৬টি প্লট (৬০ কাঠা জমি) অনিয়মের মাধ্যমে শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের বরাদ্দ দেওয়া হয়।

তারা রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পদে থেকে ক্ষমতার অপব্যবহার করে এই বরাদ্দ নিয়েছেন বলে অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে।

আসামিদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ দণ্ডবিধি, ১৮৬০ সালের ১৬১, ১৬৩, ১৬৪, ৪০৯ ও ১০৯ ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় মামলাগুলো দায়ের করা হয়েছে।

দীর্ঘ দেড় দশক দেশ শাসনের পর, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে গত ৫ আগস্ট ভারতে আশ্রয় নেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। বর্তমানে তিনি সেখানেই অবস্থান করছেন।