
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে শুল্ক ও রোহিঙ্গা সংকটসহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তিনি জানান, বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রকে স্পষ্ট জানিয়েছে যে, রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান না হলে মিয়ানমারে শান্তি আসবে না।
শুক্রবার ফরেন সার্ভিস দিবস উপলক্ষে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় শুল্কের প্রসঙ্গ এসেছে। আমি বলেছি, আমরা বাণিজ্য বাধা কমিয়ে আনার চেষ্টা করছি। পাশাপাশি, আমি বলেছি যে, সেবা খাতে আমরা প্রচুর আমদানি করি, তাই বাস্তবে দু’দেশের মধ্যে যতটা তফাত বলা হয়, সেটি ততটা নয়।”
রোহিঙ্গা ইস্যুতে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, “মিয়ানমার ইস্যুতে আলোচনা হয়েছে। আমি স্পষ্টভাবে বলেছি— রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান না হলে মিয়ানমারে যুদ্ধ শেষ হলেও শান্তি ফিরে আসবে না। আমরা এখন একটি নতুন বাস্তবতায় আছি, যেখানে আমাদের নতুন প্রতিবেশী হিসেবে রয়েছে ‘নন-স্টেট অ্যাক্টর’। তাদের সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় যাওয়া যেমন কঠিন, তেমনি একেবারে উপেক্ষাও করা সম্ভব নয়। এটি অত্যন্ত জটিল পরিস্থিতি।”
তিনি আরও বলেন, “বর্তমানে আরাকান আর্মি একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এ গোষ্ঠীটি কোনো আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি না পাওয়ায় তাদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক আলোচনাও সম্ভব নয়। তারপরও, রোহিঙ্গা সংকটের সমাধানে তাদের ভূমিকা অস্বীকার করা যায় না।”
ভবিষ্যতের সম্ভাবনার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “সম্ভবত এক সময় পরিস্থিতি স্থিতিশীল হবে এবং সমাধানের দিকে যাবে। তখন আমাদের মিত্র ও শক্তিশালী রাষ্ট্রগুলোর উচিত হবে সেখানে চাপ সৃষ্টি করা, যেন নতুন নেতৃত্ব রোহিঙ্গাদের অধিকার ফিরিয়ে দেয় এবং মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে বিষয়টি বিবেচনা করে।”
এর আগে বৃহস্পতিবার, ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি নিকোল অ্যান চুলিক ও পূর্ব এশীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয়বিষয়ক ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অ্যান্ড্রু আর হেরাপ বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এবং পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে বৈঠক করেন।