০৯:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৬ মে ২০২৫, ২৩ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

৯ দিন ধরে অচল UIU, তদন্তেও অগ্রগতির চিহ্ন নেই

রাজধানীর ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (UIU) টানা ৯ দিন ধরে অচলাবস্থার মধ্যে রয়েছে। উপাচার্যসহ ১১ জন প্রশাসনিক কর্মকর্তার একযোগে পদত্যাগের পর গত ২৮ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষা কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে শিক্ষার্থীদের ‘UIU রিফর্ম’ আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে উপাচার্য ড. মুহাম্মদ আবুল কাশেম মিয়ার পদত্যাগের পরপরই প্রশাসনিক কার্যক্রম কার্যত থমকে যায়। একে একে ডিন, বিভাগীয় প্রধান ও দপ্তর পরিচালকরা পদত্যাগ করলে অচল হয়ে পড়ে প্রশাসনিক কাঠামো।

পরিস্থিতি সামাল দিতে ট্রাস্টি বোর্ড স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠন করলেও সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশনার পরও এখনো পর্যন্ত কোনো তথ্য প্রকাশ পায়নি। এমনকি কমিটি প্রধানের কাছে ই-মেইল পাঠিয়েও কোনো জবাব পাওয়া যায়নি।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে ১৩ দফা যৌক্তিক দাবি উপেক্ষা করে আসছিল কর্তৃপক্ষ। বরং আন্দোলন দমনে নানান কৌশল নেওয়া হয়েছিল, যা এই সংকটের জন্ম দিয়েছে। তাদের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়টিকে একটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা হয়েছে, যেখানে নানা খাতে অযৌক্তিক ফি বাড়িয়ে আর্থিক চাপ তৈরি করা হচ্ছে।

এদিকে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) পরিচালক ড. সুলতান মাহমুদ ভূঁইয়া জানিয়েছেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ট্রাস্টি বোর্ডকে দ্রুত অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম চালুর জন্য চিঠি পাঠানো হয়েছে। শিক্ষার্থীরাও ক্লাসে ফিরতে চায় বলে উল্লেখ করেন তিনি।

এই পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীরা দ্রুত স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্ত নিশ্চিত করে ক্লাস চালুর দাবি জানিয়েছেন এবং সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।

ট্যাগ
পোস্টকারীর সকল তথ্য

মামলা নিষ্পত্তিতে সময় কমবে অর্ধেকে: আইন উপদেষ্টার ঘোষণা

৯ দিন ধরে অচল UIU, তদন্তেও অগ্রগতির চিহ্ন নেই

প্রকাশিত হয়েছে: ১১:৩৭:২২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ মে ২০২৫

রাজধানীর ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (UIU) টানা ৯ দিন ধরে অচলাবস্থার মধ্যে রয়েছে। উপাচার্যসহ ১১ জন প্রশাসনিক কর্মকর্তার একযোগে পদত্যাগের পর গত ২৮ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষা কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে শিক্ষার্থীদের ‘UIU রিফর্ম’ আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে উপাচার্য ড. মুহাম্মদ আবুল কাশেম মিয়ার পদত্যাগের পরপরই প্রশাসনিক কার্যক্রম কার্যত থমকে যায়। একে একে ডিন, বিভাগীয় প্রধান ও দপ্তর পরিচালকরা পদত্যাগ করলে অচল হয়ে পড়ে প্রশাসনিক কাঠামো।

পরিস্থিতি সামাল দিতে ট্রাস্টি বোর্ড স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠন করলেও সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশনার পরও এখনো পর্যন্ত কোনো তথ্য প্রকাশ পায়নি। এমনকি কমিটি প্রধানের কাছে ই-মেইল পাঠিয়েও কোনো জবাব পাওয়া যায়নি।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে ১৩ দফা যৌক্তিক দাবি উপেক্ষা করে আসছিল কর্তৃপক্ষ। বরং আন্দোলন দমনে নানান কৌশল নেওয়া হয়েছিল, যা এই সংকটের জন্ম দিয়েছে। তাদের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়টিকে একটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা হয়েছে, যেখানে নানা খাতে অযৌক্তিক ফি বাড়িয়ে আর্থিক চাপ তৈরি করা হচ্ছে।

এদিকে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) পরিচালক ড. সুলতান মাহমুদ ভূঁইয়া জানিয়েছেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ট্রাস্টি বোর্ডকে দ্রুত অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম চালুর জন্য চিঠি পাঠানো হয়েছে। শিক্ষার্থীরাও ক্লাসে ফিরতে চায় বলে উল্লেখ করেন তিনি।

এই পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীরা দ্রুত স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্ত নিশ্চিত করে ক্লাস চালুর দাবি জানিয়েছেন এবং সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।