
কাশ্মিরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলার জেরে পাকিস্তানের অন্তত ৯টি স্থানে বিমান হামলা চালিয়েছে ভারতের সামরিক বাহিনী। বুধবার (৭ মে) মধ্যরাতে চালানো এই অভিযানে মাত্র ২৫ মিনিটে ২৪টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়। ভারতীয় সেনাবাহিনীর দাবি, এতে পাকিস্তানে অন্তত ৭০ জন নিহত হয়েছে। তবে পাকিস্তান বলছে, নিহত হয়েছে ২৬ জন।
এই ঘটনার পরই ভারত-পাকিস্তান সীমান্তজুড়ে বাড়ছে উত্তেজনা। নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) বরাবর ব্যাপক গোলাগুলিতে ভারতশাসিত কাশ্মিরে কমপক্ষে ১০ জন নিহত ও ৩০ জন আহত হয়েছেন। পাকিস্তান দাবি করেছে, তারা ভারতের পাঁচটি যুদ্ধবিমান ও দুটি ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করেছে। ভারত স্বীকার করেছে তিনটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার কথা।
এই সামরিক সংঘাতে আন্তর্জাতিক মহলে শুরু হয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে ইসরায়েল, আর পাকিস্তানের প্রতি সংহতি জানিয়েছে তুরস্ক।
ভারতে নিযুক্ত ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত রিউভেন আজার এক্স-এ বলেন, “সন্ত্রাসীদের জানা উচিত, নিরীহদের বিরুদ্ধে অপরাধ করে লুকিয়ে থাকার কোনও স্থান নেই।” তিনি ভারতের আত্মরক্ষার অধিকারে জোর সমর্থন জানিয়েছেন।
অন্যদিকে, তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান ফোন করে পাকিস্তানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দারকে সমর্থন জানিয়েছেন। আঞ্চলিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তুরস্ক বলেছে, এই সংকটে পাকিস্তানের পাশে থাকবে তারা।
এদিকে, পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির জরুরি বৈঠকে সেনাবাহিনীকে ভারতের হামলার জবাব দিতে ‘যথাযথ ব্যবস্থা’ নিতে বলা হয়েছে। পাকিস্তান বলছে, তারা যুদ্ধ শুরু করতে চায় না, তবে হামলার জবাব দেবে।
বিশ্ব সম্প্রদায় দুই পারমাণবিক শক্তিধর প্রতিবেশীকে সর্বোচ্চ সংযম দেখাতে আহ্বান জানিয়েছে।