০৭:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৮ মে ২০২৫, ২৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাণিজ্যের জন্যই যুদ্ধ? ভারত-পাক উত্তেজনায় নচিকেতার কড়া বার্তা

ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে সাম্প্রতিক সংঘাতের প্রেক্ষাপটে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ওপার বাংলার খ্যাতিমান জীবনমুখী শিল্পী নচিকেতা চক্রবর্তী। দীর্ঘ তিন দশক ধরে সমাজ, মানুষের ব্যথা-বেদনা ও প্রতিবাদকে সুরে তুলেছেন এই গায়ক। যুদ্ধবিরোধী মনোভাব তার গানেও বারবার উঠে এসেছে।

কাশ্মিরে সন্ত্রাসী হামলার জেরে পাকিস্তানের ৯টি স্থানে ভারতের সামরিক অভিযানের (অপারেশন সিঁদুর) পর দুই দেশের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। এই প্রেক্ষাপটে ভারতীয় গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নচিকেতা বলেন,
“একটাই কারণে আমি যুদ্ধ নিয়ে আতঙ্কিত— এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন সাধারণ মানুষ। আপনি-আমি।”

তিনি আরও বলেন,
“সারা পৃথিবীতে যত যুদ্ধ হয়েছে, সব যুদ্ধের নেপথ্যে রয়েছে বাণিজ্যিক স্বার্থ। সব যুদ্ধই একরকম ‘স্পনসর’ করা! আমি প্রমাণ করে দিতে পারি।”

নচিকেতা উদাহরণ টেনেছেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের। তার ভাষায়,
“রকফেলারদের তেল প্রস্তুতকারী সংস্থা তখন জার্মানি এবং ইতালি— উভয় দেশকেই পেট্রোল সরবরাহ করেছিল। কেউ বলেন এটা ছিল রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত, কেউ বলেন এটা শুধুই ব্যবসা।”

যুদ্ধ নিয়ে দীর্ঘকাল ধরেই আশঙ্কা প্রকাশ করে আসছেন এই শিল্পী। তার গানেই একসময় উঠে এসেছিল আশার বাণী—
“একদিন ঝড় থেমে যাবে, পৃথিবী আবার শান্ত হবে।”

নচিকেতার মতে,
“যুদ্ধ মানেই মুনাফার খেলা। কাদের মুনাফা, সেটা বুদ্ধিমানরাই ঠিক বুঝে নেন।”

এই সময়ে, যখন উপমহাদেশে যুদ্ধের সম্ভাবনা নতুন করে আলোচনায়, তখন এমন একটি কণ্ঠ সাধারণ মানুষের স্বার্থ ও বেদনার প্রতিনিধিত্ব করে যেন স্মরণ করিয়ে দেয়— গান শুধু বিনোদনের জন্য নয়, প্রতিরোধের জন্যও।

ট্যাগ
পোস্টকারীর সকল তথ্য

বাণিজ্যের জন্যই যুদ্ধ? ভারত-পাক উত্তেজনায় নচিকেতার কড়া বার্তা

প্রকাশিত হয়েছে: ১০:০০:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ মে ২০২৫

ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে সাম্প্রতিক সংঘাতের প্রেক্ষাপটে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ওপার বাংলার খ্যাতিমান জীবনমুখী শিল্পী নচিকেতা চক্রবর্তী। দীর্ঘ তিন দশক ধরে সমাজ, মানুষের ব্যথা-বেদনা ও প্রতিবাদকে সুরে তুলেছেন এই গায়ক। যুদ্ধবিরোধী মনোভাব তার গানেও বারবার উঠে এসেছে।

কাশ্মিরে সন্ত্রাসী হামলার জেরে পাকিস্তানের ৯টি স্থানে ভারতের সামরিক অভিযানের (অপারেশন সিঁদুর) পর দুই দেশের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। এই প্রেক্ষাপটে ভারতীয় গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নচিকেতা বলেন,
“একটাই কারণে আমি যুদ্ধ নিয়ে আতঙ্কিত— এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন সাধারণ মানুষ। আপনি-আমি।”

তিনি আরও বলেন,
“সারা পৃথিবীতে যত যুদ্ধ হয়েছে, সব যুদ্ধের নেপথ্যে রয়েছে বাণিজ্যিক স্বার্থ। সব যুদ্ধই একরকম ‘স্পনসর’ করা! আমি প্রমাণ করে দিতে পারি।”

নচিকেতা উদাহরণ টেনেছেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের। তার ভাষায়,
“রকফেলারদের তেল প্রস্তুতকারী সংস্থা তখন জার্মানি এবং ইতালি— উভয় দেশকেই পেট্রোল সরবরাহ করেছিল। কেউ বলেন এটা ছিল রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত, কেউ বলেন এটা শুধুই ব্যবসা।”

যুদ্ধ নিয়ে দীর্ঘকাল ধরেই আশঙ্কা প্রকাশ করে আসছেন এই শিল্পী। তার গানেই একসময় উঠে এসেছিল আশার বাণী—
“একদিন ঝড় থেমে যাবে, পৃথিবী আবার শান্ত হবে।”

নচিকেতার মতে,
“যুদ্ধ মানেই মুনাফার খেলা। কাদের মুনাফা, সেটা বুদ্ধিমানরাই ঠিক বুঝে নেন।”

এই সময়ে, যখন উপমহাদেশে যুদ্ধের সম্ভাবনা নতুন করে আলোচনায়, তখন এমন একটি কণ্ঠ সাধারণ মানুষের স্বার্থ ও বেদনার প্রতিনিধিত্ব করে যেন স্মরণ করিয়ে দেয়— গান শুধু বিনোদনের জন্য নয়, প্রতিরোধের জন্যও।