
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের “মার্চ টু যমুনা” কর্মসূচিতে পুলিশের বাধা, লাঠিচার্জ ও টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপের ঘটনা উদ্বেগজনক এবং ছাত্র-আন্দোলনের প্রতি রাষ্ট্রের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তোলে। শিক্ষার্থীরা মূলত তিনটি মৌলিক দাবিকে সামনে রেখে তাদের আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন:
-
৭০ শতাংশ আবাসন ভাতা বাস্তবায়ন,
-
জাতীয় বাজেটে শিক্ষার্থীবান্ধব বরাদ্দ বৃদ্ধি, এবং
-
সব শিক্ষা প্রকল্পে শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার নিশ্চিত করা।
এই দাবিগুলো শুধুমাত্র শিক্ষার্থীদের স্বার্থ নয়; এটি একটি বৃহৎ শিক্ষা ব্যবস্থার কাঠামোগত সংস্কারের দাবি, যেখানে তরুণ প্রজন্ম রাষ্ট্রের দায়িত্বশীল আচরণ প্রত্যাশা করছে।
পুলিশি দমন-পীড়নের মাধ্যমে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবিকে স্তব্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা করছে কিনা, তা এখন স্পষ্টতই আলোচনার বিষয়। শিক্ষার্থীরা যেখানে শান্তিপূর্ণভাবে নিজেদের ভবিষ্যতের জন্য আওয়াজ তুলছে, সেখানে রাষ্ট্রীয় শক্তি প্রয়োগ গণতন্ত্র ও মতপ্রকাশের অধিকারের পরিপন্থী।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আহত শিক্ষার্থীদের নেওয়ার ঘটনা দেখায়, পরিস্থিতির তীব্রতা কতখানি ছিল। পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী তারা “নিরাপত্তা রক্ষায়” পদক্ষেপ নিয়েছে, কিন্তু আহতের সংখ্যা এবং আহতদের শরীরে লাঠির আঘাত, টিয়ারগ্যাসের প্রতিক্রিয়া—এসবই প্রমাণ করে যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বদলে সেখানে জোর-জবরদস্তি হয়েছে।
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে কয়েকটি প্রশ্ন সামনে আসে:
-
কেন শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ পদযাত্রায় পুলিশ বাধা দিল?
-
সরকারের পক্ষ থেকে কীভাবে দ্রুত ও কার্যকরভাবে এই দাবিগুলো পর্যালোচনা করা হবে?
-
ছাত্রদের প্রতি এই ধরনের দমনমূলক আচরণ ভবিষ্যতের রাজনীতি ও শিক্ষাঙ্গনে কী বার্তা দিচ্ছে?
যদি রাষ্ট্র সত্যিই শিক্ষাকে “অগ্রাধিকার” দেয়, তবে এই তিন দফা দাবি নিয়ে সংলাপ শুরু করাই হবে সভ্য সমাজের পথ। নয়তো ছাত্রদের আন্দোলন আরও বিস্তৃত ও তীব্র হবে—এমন ইঙ্গিতই তারা দিচ্ছে।
আপনি চাইলে এ নিয়ে একটি মতামত কলাম বা সংবাদ বিশ্লেষণও লিখে দিতে পারি।