০৬:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাসূল (সা.) কারো প্রতি গালি বা অভিশাপ দিতেন না

لَمْ يَكُنِ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَاحِشًا وَلَا مُتَفَحِّشًا، وَكَانَ يَقُولُ: «إِنَّ خِيَارَكُمْ أَحَاسِنُكُمْ أَخْلَاقًا»
সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিম
নবী (সা.) অশ্লীল বা গালিগালাজকারী ছিলেন না। তিনি বলতেন, “তোমাদের মধ্যে উত্তম সেই, যার চরিত্র উত্তম।”

রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর ব্যক্তিত্ব ছিল অনুপম এবং চরিত্র ছিল মহত্ত্বে ভরপুর। তিনি কখনো অশ্লীল, কুরুচিপূর্ণ বা বিদ্বেষপূর্ণ ভাষা ব্যবহার করতেন না। কারো প্রতি গালি, অভিশাপ বা ব্যঙ্গোক্তি তাঁর মুখে কখনোই উচ্চারিত হয়নি—even যখন তিনি শত্রুদের মুখোমুখি হতেন, তখনো তাঁর ভাষা থাকত মার্জিত ও সংযত।

রাসূল (সা.) তাঁর অনুসারীদের শেখাতেন, ভাষা যেন কখনো কাউকে অপমান বা কষ্ট দেওয়ার জন্য ব্যবহার না হয়। একজন প্রকৃত মুমিন কখনোই গালিগালাজকারী হতে পারে না। তিনি নিজে সর্বদা কোমল ও ভদ্র ভাষায় কথা বলতেন।

হাদীসটির দ্বিতীয় অংশে রাসূল (সা.) বলেন, “তোমাদের মধ্যে উত্তম সেই, যার চরিত্র উত্তম।” অর্থাৎ মানুষের আসল মর্যাদা তার চরিত্রে নিহিত। নামাজ, রোজা, দান ইত্যাদি ইবাদত যতই গুরুত্বপূর্ণ হোক না কেন, যদি মানুষের চরিত্রে অহঙ্কার, গালিগালাজ, কুৎসিত ভাষা বা দুর্ব্যবহার থাকে—তাহলে সেই ইবাদতের পূর্ণতা আসে না।

রাসূল (সা.) ছিলেন সমগ্র মানবজাতির জন্য আদর্শ। তিনি তাঁর শত্রুদের সাথেও এমনভাবে আচরণ করতেন, যেন তারা তাঁর আচরণে মুগ্ধ হয়ে ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট হয়। তাই একজন মুসলিমের উচিত, তাঁকে অনুসরণ করে নিজের আচরণ ও ভাষা সবসময় শান্তিপূর্ণ ও সম্মানজনক রাখা।

ইসলামের দাওয়াহ বা আহ্বান কার্যক্রমে মার্জিত ভাষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রাসূল (সা.) আমাদের শিক্ষা দিয়েছেন, কিভাবে কঠিন মুহূর্তেও নরম ভাষা ব্যবহার করে মানুষকে সত্যের পথে ডাকা যায়।

 

  • অশ্লীলতা, গালাগালি বা খারাপ ভাষা ব্যবহার ইসলাম কখনোই সমর্থন করে না।
  • উত্তম চরিত্রই একজন মুসলিমের পরিচয়।
  • কারো সঙ্গে বিরোধ হলেও নম্র ও ভদ্রভাবে কথা বলা উচিত।
  • রাসূল (সা.)-এর চরিত্র থেকে আমাদের এই শিক্ষা নিতে হবে যে, ভাষা ও আচরণে যেন আমরা সবসময় শান্তিপূর্ণ ও সৌম্য থাকি।
ট্যাগ

শিক্ষা ভবনের সামনে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

রাসূল (সা.) কারো প্রতি গালি বা অভিশাপ দিতেন না

প্রকাশিত হয়েছে: ১১:৪৭:০৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫

لَمْ يَكُنِ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَاحِشًا وَلَا مُتَفَحِّشًا، وَكَانَ يَقُولُ: «إِنَّ خِيَارَكُمْ أَحَاسِنُكُمْ أَخْلَاقًا»
সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিম
নবী (সা.) অশ্লীল বা গালিগালাজকারী ছিলেন না। তিনি বলতেন, “তোমাদের মধ্যে উত্তম সেই, যার চরিত্র উত্তম।”

রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর ব্যক্তিত্ব ছিল অনুপম এবং চরিত্র ছিল মহত্ত্বে ভরপুর। তিনি কখনো অশ্লীল, কুরুচিপূর্ণ বা বিদ্বেষপূর্ণ ভাষা ব্যবহার করতেন না। কারো প্রতি গালি, অভিশাপ বা ব্যঙ্গোক্তি তাঁর মুখে কখনোই উচ্চারিত হয়নি—even যখন তিনি শত্রুদের মুখোমুখি হতেন, তখনো তাঁর ভাষা থাকত মার্জিত ও সংযত।

রাসূল (সা.) তাঁর অনুসারীদের শেখাতেন, ভাষা যেন কখনো কাউকে অপমান বা কষ্ট দেওয়ার জন্য ব্যবহার না হয়। একজন প্রকৃত মুমিন কখনোই গালিগালাজকারী হতে পারে না। তিনি নিজে সর্বদা কোমল ও ভদ্র ভাষায় কথা বলতেন।

হাদীসটির দ্বিতীয় অংশে রাসূল (সা.) বলেন, “তোমাদের মধ্যে উত্তম সেই, যার চরিত্র উত্তম।” অর্থাৎ মানুষের আসল মর্যাদা তার চরিত্রে নিহিত। নামাজ, রোজা, দান ইত্যাদি ইবাদত যতই গুরুত্বপূর্ণ হোক না কেন, যদি মানুষের চরিত্রে অহঙ্কার, গালিগালাজ, কুৎসিত ভাষা বা দুর্ব্যবহার থাকে—তাহলে সেই ইবাদতের পূর্ণতা আসে না।

রাসূল (সা.) ছিলেন সমগ্র মানবজাতির জন্য আদর্শ। তিনি তাঁর শত্রুদের সাথেও এমনভাবে আচরণ করতেন, যেন তারা তাঁর আচরণে মুগ্ধ হয়ে ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট হয়। তাই একজন মুসলিমের উচিত, তাঁকে অনুসরণ করে নিজের আচরণ ও ভাষা সবসময় শান্তিপূর্ণ ও সম্মানজনক রাখা।

ইসলামের দাওয়াহ বা আহ্বান কার্যক্রমে মার্জিত ভাষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রাসূল (সা.) আমাদের শিক্ষা দিয়েছেন, কিভাবে কঠিন মুহূর্তেও নরম ভাষা ব্যবহার করে মানুষকে সত্যের পথে ডাকা যায়।

 

  • অশ্লীলতা, গালাগালি বা খারাপ ভাষা ব্যবহার ইসলাম কখনোই সমর্থন করে না।
  • উত্তম চরিত্রই একজন মুসলিমের পরিচয়।
  • কারো সঙ্গে বিরোধ হলেও নম্র ও ভদ্রভাবে কথা বলা উচিত।
  • রাসূল (সা.)-এর চরিত্র থেকে আমাদের এই শিক্ষা নিতে হবে যে, ভাষা ও আচরণে যেন আমরা সবসময় শান্তিপূর্ণ ও সৌম্য থাকি।