০৭:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যুদ্ধ না থামালে ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন ত্যাগ করবে যুক্তরাষ্ট্র

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলের চলমান হামলা বন্ধ না হলে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন হারাতে পারে তেল আবিব—এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহযোগীরা।

সোমবার (১৯ মে) মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট এক প্রতিবেদনে জানায়, ট্রাম্প শিবির থেকে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে—“যুদ্ধ বন্ধ না করলে আমরা ইসরায়েলকে ত্যাগ করব।”

প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, গাজায় মানবিক বিপর্যয় নিয়ে মার্কিন রাজনৈতিক মহলে অসন্তোষ বাড়ছে। ট্রাম্পের সহযোগীরা মনে করেন, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর যুদ্ধ বন্ধ করার ক্ষমতা থাকলেও তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে তা করছেন না।

সূত্র মতে, নেতানিয়াহু গাজায় সীমিত ত্রাণ প্রবেশের অনুমতি দিয়েছেন শুধুমাত্র কূটনৈতিক চাপ মোকাবেলার কৌশল হিসেবে। রোববার রাতে ইসরায়েলি মন্ত্রিসভার বৈঠকে তিনি একে “কৌশলগত সিদ্ধান্ত” হিসেবে ব্যাখ্যা করেন যাতে তার রাজনৈতিক দায় না পড়ে।

ট্রাম্প শিবির নেতানিয়াহুর ওপর অসন্তোষ প্রকাশ করে মধ্যপ্রাচ্য সফরে ইসরায়েলকে অন্তর্ভুক্ত না করার সিদ্ধান্ত নেয়, যা রাজনৈতিক বার্তার মতোই প্রতিভাত হয়েছে।

ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মহল মনে করছে, নেতানিয়াহু বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের নীতিতে অপ্রত্যাশিত প্রভাব বিস্তার করছেন। এই ধারণা থেকেই সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইসরায়েলের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ কমিয়ে দিয়েছেন।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ ইসরায়েল সফর বাতিল বা পিছিয়ে দেন, যা ওয়াশিংটনের অসন্তোষের বড় ইঙ্গিত বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

ট্যাগ

যুদ্ধ না থামালে ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন ত্যাগ করবে যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত হয়েছে: ১২:৫০:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলের চলমান হামলা বন্ধ না হলে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন হারাতে পারে তেল আবিব—এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহযোগীরা।

সোমবার (১৯ মে) মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট এক প্রতিবেদনে জানায়, ট্রাম্প শিবির থেকে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে—“যুদ্ধ বন্ধ না করলে আমরা ইসরায়েলকে ত্যাগ করব।”

প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, গাজায় মানবিক বিপর্যয় নিয়ে মার্কিন রাজনৈতিক মহলে অসন্তোষ বাড়ছে। ট্রাম্পের সহযোগীরা মনে করেন, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর যুদ্ধ বন্ধ করার ক্ষমতা থাকলেও তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে তা করছেন না।

সূত্র মতে, নেতানিয়াহু গাজায় সীমিত ত্রাণ প্রবেশের অনুমতি দিয়েছেন শুধুমাত্র কূটনৈতিক চাপ মোকাবেলার কৌশল হিসেবে। রোববার রাতে ইসরায়েলি মন্ত্রিসভার বৈঠকে তিনি একে “কৌশলগত সিদ্ধান্ত” হিসেবে ব্যাখ্যা করেন যাতে তার রাজনৈতিক দায় না পড়ে।

ট্রাম্প শিবির নেতানিয়াহুর ওপর অসন্তোষ প্রকাশ করে মধ্যপ্রাচ্য সফরে ইসরায়েলকে অন্তর্ভুক্ত না করার সিদ্ধান্ত নেয়, যা রাজনৈতিক বার্তার মতোই প্রতিভাত হয়েছে।

ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মহল মনে করছে, নেতানিয়াহু বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের নীতিতে অপ্রত্যাশিত প্রভাব বিস্তার করছেন। এই ধারণা থেকেই সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইসরায়েলের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ কমিয়ে দিয়েছেন।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ ইসরায়েল সফর বাতিল বা পিছিয়ে দেন, যা ওয়াশিংটনের অসন্তোষের বড় ইঙ্গিত বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।