সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় তিন বছরের সাজাপ্রাপ্ত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানের আপিল শুনানির জন্য আগামী বৃহস্পতিবার (২২ মে) দিন ধার্য করেছে হাইকোর্ট।

বুধবার (২১ মে) বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের একক বেঞ্চ শুনানির জন্য এ দিন ধার্য করেন।

এর আগে, গত ১৪ মে হাইকোর্ট থেকে জামিন পান জোবাইদা রহমান। একইসঙ্গে তার সাজা-প্রাপ্ত মামলায় দায়ের করা আপিলও গ্রহণ করে আদালত। জামিন আবেদনের শুনানিতে অংশ নেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট মাকসুদ উল্লাহ ও অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন।

এরও আগে, ১৩ মে তিন বছরের কারাদণ্ডের আপিলের জন্য দায়ের করা আবেদনটি গ্রহণ করে হাইকোর্ট, যেখানে ৫৮৭ দিনের বিলম্ব মার্জনা করা হয়।

২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) রাজধানীর কাফরুল থানায় জোবাইদা রহমান, তার স্বামী তারেক রহমান এবং তার মাতা সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানুর বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের অভিযোগে মামলা দায়ের করে।

মামলার দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে ২০২৩ সালের ২ আগস্ট, ঢাকার মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের তৎকালীন বিচারক মো. আছাদুজ্জামান এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে তারেক রহমানকে দুইটি অভিযোগে মোট ৯ বছর এবং জোবাইদা রহমানকে ৩ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একইসঙ্গে তাকে ৩৫ লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়।

তারেক রহমানকে দুদক আইনের ২৬(২) ধারায় তিন বছর এবং ২৭(১) ধারায় ছয় বছর কারাদণ্ড এবং তিন কোটি টাকা জরিমানা করা হয়।

২০২৪ সালের শেষের দিকে, সরকারের কাছে দাখিল করা এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জোবাইদা রহমানের সাজা এক বছরের জন্য স্থগিত করা হয়। ১০ অক্টোবর ২০২৪ তারিখে প্রকাশিত গেজেটে বলা হয়, মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার সুযোগ দিতে সাজা স্থগিত করা হয়েছে।

হাইকোর্টের আসন্ন শুনানিতে তার আপিলের ভবিষ্যৎ গতিপথ নির্ধারণ হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।