
আগামী মাসে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২৭ থেকে ৩০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। তিনি বলেন, দীর্ঘমেয়াদে এই রিজার্ভ ৪০ বিলিয়ন ডলারে নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, তবে তা অর্জনে সময় লাগবে।
বুধবার রাজধানীতে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ (পিআরআই) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গভর্নর এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে “বাংলাদেশে আর্থিক উন্নয়নের ভৌগোলিক ও ঐতিহাসিক প্রবণতা” শীর্ষক একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন, “ব্যাংকিং খাতকে শক্তিশালী ও অন্তর্ভুক্তিমূলক করতে হলে কার্যকর সংস্কার দরকার। আমরা চাই, আর্থিক সেবা প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত পৌঁছে যাক।”
বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর ড. মো. হাবিবুর রহমান বলেন, গবেষণাটি দেশের সেই সব অঞ্চল চিহ্নিত করেছে যেখানে আর্থিক সেবা এখনও অপর্যাপ্ত। “কোনো জেলা বা জনগোষ্ঠী যাতে পিছিয়ে না পড়ে, তা নিশ্চিত করতে হবে,” তিনি বলেন।
পিআরআই চেয়ারম্যান ড. জাইদী সাত্তার জানান, এই গবেষণা প্রথমবারের মতো ব্যাংকিং খাতের একটি স্থানিক ও সময়ভিত্তিক চিত্র উপস্থাপন করেছে। এতে স্পষ্ট হয়েছে যে, ঢাকা ও চট্টগ্রামের বাইরে আর্থিক সেবা এখনও সীমিত।
মূল প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন পিআরআইয়ের প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. আশিকুর রহমান। তিনি বলেন, “জাতীয়ভাবে মাত্র ১ শতাংশ ঋণ গ্রহীতা দেশের মোট ঋণের ৭৫ শতাংশ পাচ্ছেন। পাশাপাশি, ৭৮ শতাংশ ঋণ ঢাকা ও চট্টগ্রামেই সীমাবদ্ধ।”
তিনি আরও বলেন, বেসরকারি ব্যাংকগুলো মূলত পূর্বাঞ্চলের ধনী এলাকায় সীমাবদ্ধ থেকে যাচ্ছে, ফলে দরিদ্র অঞ্চলে আর্থিক প্রবেশগম্যতা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন আইজিসি বাংলাদেশের সিনিয়র উপদেষ্টা ড. নাসিরুদ্দিন আহমেদ এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মো. আনিস উর রহমান।
পিআরআই, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং ইন্টারন্যাশনাল গ্রোথ সেন্টার (আইজিসি) যৌথভাবে এই গবেষণা অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে।