১১:০৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আইএসপিআর: জীবন রক্ষায় মানবিক কারণে আশ্রয় দেওয়া হয়

জুলাই-আগস্ট মাসে ঘটে যাওয়া ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান ও তৎপরবর্তী রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর সৃষ্ট নিরাপত্তাহীন পরিস্থিতিতে দেশের বিভিন্ন শ্রেণিপেশার ৬২৬ জন নাগরিক প্রাণ রক্ষার্থে সেনানিবাসে আশ্রয় নিয়েছিলেন বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)। বৃহস্পতিবার (২২ মে) রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়ে আশ্রয়প্রাপ্তদের একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

আইএসপিআর জানায়, গণঅভ্যুত্থানের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটে। হামলা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডসহ নানা সহিংসতায় সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক নিরাপত্তাহীনতা তৈরি হয়। এমতাবস্থায়, ঢাকাসহ বিভিন্ন সেনানিবাসে রাজনৈতিক ব্যক্তি, বিচারক, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, পুলিশ সদস্য এবং সাধারণ নাগরিকরা আশ্রয়ের জন্য আবেদন করেন।

সংস্থাটি জানায়, সর্বমোট ৬২৬ জন সেনানিবাসে আশ্রয় নেন। এর মধ্যে রয়েছেন:

  • ২৪ জন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব

  • ৫ জন বিচারক

  • ১৯ জন প্রশাসনিক কর্মকর্তা

  • ৫১৫ জন পুলিশ সদস্য

  • ১২ জন বিভিন্ন পেশার মানুষ

  • ৫১ জন পরিবারের সদস্য (স্ত্রী ও শিশু)

এদের মধ্যে বেশিরভাগই ১-২ দিনের মধ্যেই সেনানিবাস ত্যাগ করেন। ৫ জনকে আইনি অভিযোগের ভিত্তিতে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়।

আইএসপিআর আরও জানায়, তৎকালীন পরিস্থিতিতে ব্যক্তিদের পরিচয় যাচাইয়ের চেয়ে জীবন রক্ষাই ছিল অগ্রাধিকার। সেনাবাহিনী শুধুমাত্র মানবিক দায়বদ্ধতা থেকেই এই ব্যবস্থা নেয়। আগেও এই বিষয়ে ১৮ আগস্ট একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি ও ১৯৩ জনের তালিকা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছিল।

বিজ্ঞপ্তিতে আইএসপিআর অভিযোগ করেছে, কিছু স্বার্থান্বেষী মহল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিভ্রান্তিকর সংবাদ ছড়িয়ে সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা চালাচ্ছে। এ ধরনের অপপ্রচারের বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।

সেনাবাহিনী পুনরায় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে যে, তারা দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি পেশাদারিত্ব, নিষ্ঠা ও আস্থার সঙ্গে জাতির পাশে থাকবে।

ট্যাগ

আইএসপিআর: জীবন রক্ষায় মানবিক কারণে আশ্রয় দেওয়া হয়

প্রকাশিত হয়েছে: ১১:৪৪:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫

জুলাই-আগস্ট মাসে ঘটে যাওয়া ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান ও তৎপরবর্তী রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর সৃষ্ট নিরাপত্তাহীন পরিস্থিতিতে দেশের বিভিন্ন শ্রেণিপেশার ৬২৬ জন নাগরিক প্রাণ রক্ষার্থে সেনানিবাসে আশ্রয় নিয়েছিলেন বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)। বৃহস্পতিবার (২২ মে) রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়ে আশ্রয়প্রাপ্তদের একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

আইএসপিআর জানায়, গণঅভ্যুত্থানের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটে। হামলা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডসহ নানা সহিংসতায় সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক নিরাপত্তাহীনতা তৈরি হয়। এমতাবস্থায়, ঢাকাসহ বিভিন্ন সেনানিবাসে রাজনৈতিক ব্যক্তি, বিচারক, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, পুলিশ সদস্য এবং সাধারণ নাগরিকরা আশ্রয়ের জন্য আবেদন করেন।

সংস্থাটি জানায়, সর্বমোট ৬২৬ জন সেনানিবাসে আশ্রয় নেন। এর মধ্যে রয়েছেন:

  • ২৪ জন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব

  • ৫ জন বিচারক

  • ১৯ জন প্রশাসনিক কর্মকর্তা

  • ৫১৫ জন পুলিশ সদস্য

  • ১২ জন বিভিন্ন পেশার মানুষ

  • ৫১ জন পরিবারের সদস্য (স্ত্রী ও শিশু)

এদের মধ্যে বেশিরভাগই ১-২ দিনের মধ্যেই সেনানিবাস ত্যাগ করেন। ৫ জনকে আইনি অভিযোগের ভিত্তিতে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়।

আইএসপিআর আরও জানায়, তৎকালীন পরিস্থিতিতে ব্যক্তিদের পরিচয় যাচাইয়ের চেয়ে জীবন রক্ষাই ছিল অগ্রাধিকার। সেনাবাহিনী শুধুমাত্র মানবিক দায়বদ্ধতা থেকেই এই ব্যবস্থা নেয়। আগেও এই বিষয়ে ১৮ আগস্ট একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি ও ১৯৩ জনের তালিকা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছিল।

বিজ্ঞপ্তিতে আইএসপিআর অভিযোগ করেছে, কিছু স্বার্থান্বেষী মহল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিভ্রান্তিকর সংবাদ ছড়িয়ে সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা চালাচ্ছে। এ ধরনের অপপ্রচারের বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।

সেনাবাহিনী পুনরায় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে যে, তারা দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি পেশাদারিত্ব, নিষ্ঠা ও আস্থার সঙ্গে জাতির পাশে থাকবে।