০৪:০৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মাগুরায় ৫ ব্যবসায়ী জিম্মি, সেনাবাহিনীর অভিযানে উদ্ধার

মাগুরা পৌর এলাকার সাজিয়াড়া গ্রামের একটি ছাত্রাবাসে গোপালগঞ্জের পাঁচ ব্যবসায়ীকে জিম্মি করে নির্মম নির্যাতনের পর ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। পরে সেনাবাহিনীর তৎপরতায় তাঁদের উদ্ধার করা হয়েছে।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সাতজনকে আসামি করে মাগুরা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

উদ্ধারকৃত পাঁচ ব্যবসায়ী হলেন গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার বড়ফা গ্রামের রাজীব সরদার (২৪), হৃদয় সরদার (২১), বাবু শেখ (২৪), ওসমান শেখ (২৪) ও রিয়াদ ইসলাম (২৩)।
তাঁরা জানান, গত ২১ মে ইলেক্ট্রনিক্স পণ্য বিক্রির উদ্দেশ্যে মাগুরায় এসে সাজিয়াড়া এলাকার এমএস ছাত্রাবাসে দুটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে অবস্থান করছিলেন।
কিন্তু গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় স্থানীয় ইশতিয়াক আহমেদ শান্ত ও তাঁর সহযোগীরা তাঁদের জিম্মি করে মারধর করেন, হত্যার হুমকি দেন এবং পরিবারের কাছে ফোন করে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন।

বুধবার (২৮ মে) দিবাগত রাতে মাগুরা সেনা ক্যাম্পের একটি টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ওই ছাত্রাবাস থেকে পাঁচ ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করে।
আটক করা হয় অভিযুক্তদের একজন, ইশতিয়াক আহমেদ শান্তকে, যিনি বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক তানজেল হোসেনের বড় ভাই রফিকুল ইসলামের ছেলে।

ভুক্তভোগী বাবু শেখ সাংবাদিকদের বলেন,

“আমাদের গানে বাজিয়ে মারধর করে ভিডিও করে রাখে। পরে সকালবেলা আলাদা ঘরে আটকে রাখা হয়। সেনাবাহিনী না এলে আমরা বাঁচতাম না।”

স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, মহম্মদপুরের প্রবাসী মহসিনের মালিকানাধীন এমএস ছাত্রাবাসটি আগে হুরাইরা নামের একজনের মাধ্যমে পরিচালিত হতো। তবে ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে ইশতিয়াক আহমেদ শান্ত ছাত্রাবাসটি জোরপূর্বক দখলে নিয়ে বন্ধুদের নিয়ে মাদক সেবন ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিলেন।

সেনা সদস্যরা অভিযানের সময় ছাত্রাবাস থেকে মাদক সেবনের উপকরণ, নির্যাতনে ব্যবহৃত লাঠি, দেশীয় অস্ত্র এবং ব্যবসায়ীদের ছিনতাই হওয়া ইলেক্ট্রনিক্স পণ্য উদ্ধার করেন।

মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আইয়ুব আলী বলেন,

“এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। সাতজনকে আসামি করে মামলা নেওয়া হয়েছে। অন্যান্যদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”

 

ট্যাগ

মাগুরায় ৫ ব্যবসায়ী জিম্মি, সেনাবাহিনীর অভিযানে উদ্ধার

প্রকাশিত হয়েছে: ০৮:২৪:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫

মাগুরা পৌর এলাকার সাজিয়াড়া গ্রামের একটি ছাত্রাবাসে গোপালগঞ্জের পাঁচ ব্যবসায়ীকে জিম্মি করে নির্মম নির্যাতনের পর ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। পরে সেনাবাহিনীর তৎপরতায় তাঁদের উদ্ধার করা হয়েছে।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সাতজনকে আসামি করে মাগুরা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

উদ্ধারকৃত পাঁচ ব্যবসায়ী হলেন গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার বড়ফা গ্রামের রাজীব সরদার (২৪), হৃদয় সরদার (২১), বাবু শেখ (২৪), ওসমান শেখ (২৪) ও রিয়াদ ইসলাম (২৩)।
তাঁরা জানান, গত ২১ মে ইলেক্ট্রনিক্স পণ্য বিক্রির উদ্দেশ্যে মাগুরায় এসে সাজিয়াড়া এলাকার এমএস ছাত্রাবাসে দুটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে অবস্থান করছিলেন।
কিন্তু গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় স্থানীয় ইশতিয়াক আহমেদ শান্ত ও তাঁর সহযোগীরা তাঁদের জিম্মি করে মারধর করেন, হত্যার হুমকি দেন এবং পরিবারের কাছে ফোন করে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন।

বুধবার (২৮ মে) দিবাগত রাতে মাগুরা সেনা ক্যাম্পের একটি টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ওই ছাত্রাবাস থেকে পাঁচ ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করে।
আটক করা হয় অভিযুক্তদের একজন, ইশতিয়াক আহমেদ শান্তকে, যিনি বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক তানজেল হোসেনের বড় ভাই রফিকুল ইসলামের ছেলে।

ভুক্তভোগী বাবু শেখ সাংবাদিকদের বলেন,

“আমাদের গানে বাজিয়ে মারধর করে ভিডিও করে রাখে। পরে সকালবেলা আলাদা ঘরে আটকে রাখা হয়। সেনাবাহিনী না এলে আমরা বাঁচতাম না।”

স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, মহম্মদপুরের প্রবাসী মহসিনের মালিকানাধীন এমএস ছাত্রাবাসটি আগে হুরাইরা নামের একজনের মাধ্যমে পরিচালিত হতো। তবে ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে ইশতিয়াক আহমেদ শান্ত ছাত্রাবাসটি জোরপূর্বক দখলে নিয়ে বন্ধুদের নিয়ে মাদক সেবন ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিলেন।

সেনা সদস্যরা অভিযানের সময় ছাত্রাবাস থেকে মাদক সেবনের উপকরণ, নির্যাতনে ব্যবহৃত লাঠি, দেশীয় অস্ত্র এবং ব্যবসায়ীদের ছিনতাই হওয়া ইলেক্ট্রনিক্স পণ্য উদ্ধার করেন।

মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আইয়ুব আলী বলেন,

“এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। সাতজনকে আসামি করে মামলা নেওয়া হয়েছে। অন্যান্যদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”