১০:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গাজার জনগণ দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে, জাতিসংঘ যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ

গাজার পরিস্থিতি বর্তমানে ভয়াবহ মানবিক সংকটে প্রবেশ করেছে। জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা বিষয়ক প্রধান টম ফ্লেচার জানিয়েছেন, গাজার সম্পূর্ণ জনগণ অর্থাৎ ১০০ শতাংশ লোক দুর্ভিক্ষের শঙ্কায় রয়েছে, যা ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের দীর্ঘস্থায়ী প্রভাবের একটি ভয়ঙ্কর প্রকাশ। তিনি এই পরিস্থিতিকে যুদ্ধাপরাধ হিসেবে উল্লেখ করেছেন এবং আন্তর্জাতিক আদালতের বিচারাধীন হওয়ার সম্ভাবনা উল্লেখ করেছেন।

গাজার খাদ্য সংকট ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, ত্রাণ সামগ্রীর প্রবাহ সীমিত এবং ইসরায়েল সীমান্তে রাখা খাদ্য সরবরাহ গাজার নাগরিকদের কাছে পৌঁছতে বাধা দিচ্ছে। ইসরায়েলের অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ এই অবরোধকে গাজার জনগণের ওপর চাপ তৈরির কৌশল হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস আরব ও মুসলিম দেশগুলোকে ত্রাণ পাঠানোর জন্য আহ্বান জানিয়েছে এবং ইসরায়েলের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টির জন্য সহযোগিতা চেয়েছে। এদিকে, বিশ্ববিখ্যাত মানবাধিকার কর্মী গ্রেটা থুনবার্গ ও অন্যান্য অধিকারকর্মীরা আগামী রবিবার একটি মানবিক সহায়তাবাহী জাহাজ নিয়ে গাজার উদ্দেশ্যে যাত্রা করবেন, যা ইসরায়েলের মানবিক অবরোধ ও চলমান যুদ্ধের প্রতিবাদ জানাতে আয়োজিত।

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সভায় ফিলিস্তিনি প্রতিনিধি রিয়াদ মনসুর কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানান, চলমান সংঘাতে মার্চের পর থেকে ১,৩০০ শিশু নিহত হয়েছে এবং ৪,০০০ এর বেশি শিশু আহত হয়েছে।

শিক্ষা ক্ষেত্রেও সংকট গুরুতর; প্রায় ৭ লাখ ৮৫ হাজার শিক্ষার্থী মৌলিক শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বহু স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয় ধ্বংসপ্রাপ্ত হওয়ায় শিক্ষার্থীদের শিক্ষা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

গাজার এই মারাত্মক মানবিক সংকটে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতিক্রিয়া ও কার্যকর পদক্ষেপ এখন সময়োপযোগী ও অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। বিশ্ববাসীকে গাজার মানুষের মানবাধিকার রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হওয়া এবং দ্রুত সহায়তা পাঠানো জরুরি বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।

 

ট্যাগ
জনপ্রিয় সংবাদ

শিক্ষা ভবনের সামনে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

গাজার জনগণ দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে, জাতিসংঘ যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ

প্রকাশিত হয়েছে: ০৭:৪৯:৪৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩১ মে ২০২৫

গাজার পরিস্থিতি বর্তমানে ভয়াবহ মানবিক সংকটে প্রবেশ করেছে। জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা বিষয়ক প্রধান টম ফ্লেচার জানিয়েছেন, গাজার সম্পূর্ণ জনগণ অর্থাৎ ১০০ শতাংশ লোক দুর্ভিক্ষের শঙ্কায় রয়েছে, যা ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের দীর্ঘস্থায়ী প্রভাবের একটি ভয়ঙ্কর প্রকাশ। তিনি এই পরিস্থিতিকে যুদ্ধাপরাধ হিসেবে উল্লেখ করেছেন এবং আন্তর্জাতিক আদালতের বিচারাধীন হওয়ার সম্ভাবনা উল্লেখ করেছেন।

গাজার খাদ্য সংকট ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, ত্রাণ সামগ্রীর প্রবাহ সীমিত এবং ইসরায়েল সীমান্তে রাখা খাদ্য সরবরাহ গাজার নাগরিকদের কাছে পৌঁছতে বাধা দিচ্ছে। ইসরায়েলের অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ এই অবরোধকে গাজার জনগণের ওপর চাপ তৈরির কৌশল হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস আরব ও মুসলিম দেশগুলোকে ত্রাণ পাঠানোর জন্য আহ্বান জানিয়েছে এবং ইসরায়েলের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টির জন্য সহযোগিতা চেয়েছে। এদিকে, বিশ্ববিখ্যাত মানবাধিকার কর্মী গ্রেটা থুনবার্গ ও অন্যান্য অধিকারকর্মীরা আগামী রবিবার একটি মানবিক সহায়তাবাহী জাহাজ নিয়ে গাজার উদ্দেশ্যে যাত্রা করবেন, যা ইসরায়েলের মানবিক অবরোধ ও চলমান যুদ্ধের প্রতিবাদ জানাতে আয়োজিত।

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সভায় ফিলিস্তিনি প্রতিনিধি রিয়াদ মনসুর কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানান, চলমান সংঘাতে মার্চের পর থেকে ১,৩০০ শিশু নিহত হয়েছে এবং ৪,০০০ এর বেশি শিশু আহত হয়েছে।

শিক্ষা ক্ষেত্রেও সংকট গুরুতর; প্রায় ৭ লাখ ৮৫ হাজার শিক্ষার্থী মৌলিক শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বহু স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয় ধ্বংসপ্রাপ্ত হওয়ায় শিক্ষার্থীদের শিক্ষা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

গাজার এই মারাত্মক মানবিক সংকটে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতিক্রিয়া ও কার্যকর পদক্ষেপ এখন সময়োপযোগী ও অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। বিশ্ববাসীকে গাজার মানুষের মানবাধিকার রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হওয়া এবং দ্রুত সহায়তা পাঠানো জরুরি বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।