১০:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এয়ারবাস ও মেনজিসের শীর্ষ নির্বাহীর সঙ্গে ইউনূসের সাক্ষাৎ।

চার দিনের সরকারি সফরে যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস মঙ্গলবার এক ব্যস্ত দিন পার করেছেন। এদিন তিনি বৈশ্বিক বিমান শিল্পের দুটি শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্টদের সঙ্গে পৃথক বৈঠকে মিলিত হয়েছেন। লন্ডনের একটি হোটেলে তিনি বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ বিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এয়ারবাস এবং এভিয়েশন পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা মেনজিস এভিয়েশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে এই সাক্ষাৎ করেন।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

এয়ারবাসের সঙ্গে বৈঠক: সহযোগিতার সম্ভাবনা
দিনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে অধ্যাপক ইউনূস ইউরোপীয় বিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এয়ারবাসের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট (ইভিপি) ওয়াউটার ভ্যান ওয়ার্শের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এয়ারবাস বিশ্বের প্রধান বিমান প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলোর মধ্যে একটি।

যদিও বৈঠকের আলোচনার সুনির্দিষ্ট বিষয়বস্তু এখনো প্রকাশ করা হয়নি, তবে সংশ্লিষ্ট মহল ধারণা করছে, বাংলাদেশের জাতীয় বিমানಯান সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জন্য未来তে এয়ারবাস থেকে নতুন উড়োজাহাজ সংগ্রহ, প্রযুক্তিগত সহায়তা এবং দেশের এভিয়েশন খাতের আধুনিকায়নে সম্ভাব্য সহযোগিতার বিষয়গুলো আলোচনায় স্থান পেতে পারে। এই বৈঠককে বাংলাদেশের সঙ্গে বৈশ্বিক এভিয়েশন জায়ান্টদের সম্পর্ক উন্নয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

মেনজিস এভিয়েশনের সঙ্গে আলোচনা: বিমানবন্দরের সেবা বৃদ্ধি
অপর একটি বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস মেনজিস এভিয়েশনের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট (ইভিপি) চার্লস ওয়াইলির সঙ্গে মিলিত হন। মেনজিস এভিয়েশন বিশ্বজুড়ে বিমানবন্দরগুলোতে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং, কার্গো হ্যান্ডলিং এবং অন্যান্য লজিস্টিক পরিষেবা প্রদানের জন্য সুপরিচিত।

ধারণা করা হচ্ছে, এই বৈঠকে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলোর গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সেবার মান উন্নয়ন, কার্গো ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়ন এবং যাত্রীসেবা আরও উন্নত করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আন্তর্জাতিক মানের সেবা নিশ্চিত করতে মেনজিসের অভিজ্ঞতা ও প্রযুক্তিগত সহায়তা বাংলাদেশের এভিয়েশন খাতের জন্য ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে।

উল্লেখ্য, অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস চার দিনের এক গুরুত্বপূর্ণ সরকারি সফরে সোমবার (৯ জুন) সন্ধ্যায় ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে রওনা হন। মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টার দিকে তিনি লন্ডনের হিথ্রো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন।

এই সফরকালে তিনি যুক্তরাজ্যের উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গেও বৈঠক করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। বৈশ্বিক বিমানಯান শিল্পের শীর্ষস্থানীয় দুটি প্রতিষ্ঠানের নির্বাহীদের সঙ্গে তাঁর এই বৈঠক বাংলাদেশের এভিয়েশন খাতের আধুনিকায়ন ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার ক্ষেত্রে সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টারই প্রতিফলন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

 

ট্যাগ

শিক্ষা ভবনের সামনে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

এয়ারবাস ও মেনজিসের শীর্ষ নির্বাহীর সঙ্গে ইউনূসের সাক্ষাৎ।

প্রকাশিত হয়েছে: ০৮:২১:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জুন ২০২৫

চার দিনের সরকারি সফরে যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস মঙ্গলবার এক ব্যস্ত দিন পার করেছেন। এদিন তিনি বৈশ্বিক বিমান শিল্পের দুটি শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্টদের সঙ্গে পৃথক বৈঠকে মিলিত হয়েছেন। লন্ডনের একটি হোটেলে তিনি বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ বিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এয়ারবাস এবং এভিয়েশন পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা মেনজিস এভিয়েশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে এই সাক্ষাৎ করেন।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

এয়ারবাসের সঙ্গে বৈঠক: সহযোগিতার সম্ভাবনা
দিনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে অধ্যাপক ইউনূস ইউরোপীয় বিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এয়ারবাসের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট (ইভিপি) ওয়াউটার ভ্যান ওয়ার্শের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এয়ারবাস বিশ্বের প্রধান বিমান প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলোর মধ্যে একটি।

যদিও বৈঠকের আলোচনার সুনির্দিষ্ট বিষয়বস্তু এখনো প্রকাশ করা হয়নি, তবে সংশ্লিষ্ট মহল ধারণা করছে, বাংলাদেশের জাতীয় বিমানಯান সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জন্য未来তে এয়ারবাস থেকে নতুন উড়োজাহাজ সংগ্রহ, প্রযুক্তিগত সহায়তা এবং দেশের এভিয়েশন খাতের আধুনিকায়নে সম্ভাব্য সহযোগিতার বিষয়গুলো আলোচনায় স্থান পেতে পারে। এই বৈঠককে বাংলাদেশের সঙ্গে বৈশ্বিক এভিয়েশন জায়ান্টদের সম্পর্ক উন্নয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

মেনজিস এভিয়েশনের সঙ্গে আলোচনা: বিমানবন্দরের সেবা বৃদ্ধি
অপর একটি বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস মেনজিস এভিয়েশনের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট (ইভিপি) চার্লস ওয়াইলির সঙ্গে মিলিত হন। মেনজিস এভিয়েশন বিশ্বজুড়ে বিমানবন্দরগুলোতে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং, কার্গো হ্যান্ডলিং এবং অন্যান্য লজিস্টিক পরিষেবা প্রদানের জন্য সুপরিচিত।

ধারণা করা হচ্ছে, এই বৈঠকে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলোর গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সেবার মান উন্নয়ন, কার্গো ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়ন এবং যাত্রীসেবা আরও উন্নত করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আন্তর্জাতিক মানের সেবা নিশ্চিত করতে মেনজিসের অভিজ্ঞতা ও প্রযুক্তিগত সহায়তা বাংলাদেশের এভিয়েশন খাতের জন্য ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে।

উল্লেখ্য, অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস চার দিনের এক গুরুত্বপূর্ণ সরকারি সফরে সোমবার (৯ জুন) সন্ধ্যায় ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে রওনা হন। মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টার দিকে তিনি লন্ডনের হিথ্রো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন।

এই সফরকালে তিনি যুক্তরাজ্যের উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গেও বৈঠক করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। বৈশ্বিক বিমানಯান শিল্পের শীর্ষস্থানীয় দুটি প্রতিষ্ঠানের নির্বাহীদের সঙ্গে তাঁর এই বৈঠক বাংলাদেশের এভিয়েশন খাতের আধুনিকায়ন ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার ক্ষেত্রে সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টারই প্রতিফলন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।